বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ নন্দীগ্রামে। মঙ্গলবার শেষ হয়েছে প্রচার পর্ব। ভোট পর্যন্ত নন্দীগ্রামেই তিনি থাকবেন বলে আগে জানালেও বুধবার হুগলিতে জোড়া সভা করছেন মমতা। প্রথমে গোঘাট ও পরে সিঙ্গুর। দুপুরে সিঙ্গুরের প্রার্থী বেচরাম মান্নার বাড়ির কাছে রতনপুরে সভা মমতার।
তৃণমূলের উত্থানের পিছনে নন্দীগ্রামের যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনই বাংলার রাজনীতিতে জোড়াফুলকে জমি দিয়েছে সিঙ্গুর। এ বার আন্দোলন ভূমি নন্দীগ্রামে নিজে প্রার্থী হয়ে ওই আসনকে ‘হট সিট’ বানিয়েছেন মমতা। দলের প্রাক্তন সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই তাঁর মুখোমুখি লড়াই। একই রকম ভাবে সিঙ্গুরেও এ বার মুখোমুখি জমি আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা তৃণমূলের দুই মুখের মধ্যে। এক দিকে বেচারাম অন্যদিকে মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
নির্বাচন ঘোষণার অনেক পরে এমনকি, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণারও পরে বিজেপি-তে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ। তৃণমূলের পক্ষে বলা হয় সিঙ্গুরের বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথকে বয়সের কারণেই এ বার প্রার্থী করা হয়নি। অন্য দিকে ইদানীং মাস্টারমশাইয়ের এক সময়ের ‘শিষ্য’ হরিপালের বিদায়ী বিধায়ক বেচারামকে প্রার্থী করেন মমতা। এর পর অনেক দিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ্যে আনা রবীন্দ্রনাথ গেরুয়াশিবিরে যোগ দেন। ৮৯ বছরের মাস্টারমশাইকে সিঙ্গুরে প্রার্থীও করে বিজেপি। ফলে নীলবাড়ির লড়াইয়ে সিঙ্গুরের জমিও হয়ে ওঠে বড় লড়াইয়ের ময়দান।