শীতলখুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনায় নিহত ৪ জনের পরিবারের হাতে বুধবার সরকারি ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দেওয়া হল। সেই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ৩ জনের মৃত্যুর কারণ বুলেটের আঘাত হলেও চতুর্থ ব্যক্তি সমিউল মিয়াঁ গুলিতে নিহত হননি।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জানাচ্ছে, সমিউলের বুকে স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় রয়েছে শক্ত কোনও বস্তুর আঘাত। গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ পর্বের ভোটগ্রহণের সময় মাথাভাঙা ব্লকের জোরপাটকায় আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বুথে অশান্তির সময় সিআইএসএফ গুলি চালিয়েছিল। সমিউলের পাশাপাশি ওই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মণিরুল মিয়াঁ, হামিদুল মিয়াঁ এবং নুর ইসলাম মিয়াঁ। তাঁদের ৩ জনের দেহের বুলেটের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লিখিত হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর চতুর্থ দফার ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পরে বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, ১২৬ নম্বর বুথে একজন ভোটার অসুস্থ হয়ে গেলে তার শুশ্রূষার জন্য বেশ কয়েকজন সেখানে জটলা তৈরি করেন। সেই জটলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরে এলে, জওয়ানেরা কী হয়েছে তা দেখতে যান। সে সময় স্থানীয়দের একাংশ ভেবে বসেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আক্রমণেই ওই ভোটার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরপর গ্রাম থেকে প্রায় ৩০০ জনের একটি দল লাঠি এবং হাতে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে।