বসিরহাটে বোমায় আহত শিশু।—নিজস্ব চিত্র।
গণতন্ত্রের মূল শর্তটাই ভারসাম্যের। নানা স্তম্ভ সমান্তরাল ভাবে কাজ করে চলেছে, একের ভুল ধরিয়ে দিচ্ছে অন্যে, শুধরে দিচ্ছে আরও এক জন হয়তো বা। কেউই নিরঙ্কুশ নয়, অবাধ ক্ষমতার অধিকারী নয় কেউ, অপূর্ব এক ভারসাম্যের ব্যবস্থা করা রয়েছে আমাদের গণতন্ত্রে।
এমত অবস্থায়, শাসকের বিপুল সংখ্যা এবং বিরোধীর দুর্বল কণ্ঠ গণতন্ত্রের জন্য ঈশানকোণে মেঘের সঞ্চার করে নিশ্চয়। সংখ্যার আধিক্য শাসকের দায়িত্ব যেমন বাড়ায়, দায়বদ্ধতায় শৈথিল্যের অবকাশও এনে দেয়, ইতিহাস বারংবার তা প্রমাণ করেছে।
বিরোধীরা হীনবল, তবু সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের বিজয় মিছিলে সংঘর্ষ হল কেন? বিরোধী দুর্বল বলেই কি প্রতিপক্ষ হয়ে গেল একই দলের দু’টি গোষ্ঠী? লাঠি-রড চলল দুদ্দাড়, ব্যাপক সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সাঁইথিয়া! কেন বসিরহাটে তৃণমূলের বিজয় মিছিলে হাতে বোমা নিয়ে হাঁটে কেউ, যে বোমা ফেটে আহত হতে হয় শিশুকেও! ওই শিশুর মুখ কি এ বার আমাদের যথেষ্ট সাবালক করে তুলবে?
২৯৪টা আসনেই লড়েছিলেন তিনি নিজে। এই বিপুল জনাদেশও তাঁরই জন্য। তাঁতেই ভরসা রেখেছেন মানুষ। প্রত্যাশাও তাঁরই কাছে। বসিরহাটের শিশু কিন্তু তার জন্য বাসযোগ্য পৃথিবীর দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই মুখাপেক্ষী।
এ কথা অবশ্য সবচেয়ে বেশি বোঝেন যিনি, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy