রাজনীতিটা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির কাছ থেকে শেখা। অতএব ভবানীপুরে তাঁর লড়াই বাম-কংগ্রেস জোটকে অনেকটা এগিয়ে দেবে। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বললেন দীপা দাশমুন্সি। বুঝিয়ে দিলেন, কিছু দিন ইচ্ছা করেই প্রচারের আলো থেকে সরে ছিলেন তিনি। তবে ভবানীপুরের লড়াইতে ছেড়ে কথা বলতে আসেননি।
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসে এখনও শেষ কথা। এহেন দীপা দাশমুন্সি এ বার কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোটের তরফে ভবানীপুরে প্রার্থী। জোট যে মমতার বিরুদ্ধে এমনি এমনি তাঁকে বাজি ধরেনি, অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তা ভালই বুঝিয়ে দিলেন দীপা। বরাবরই লড়াকু ইমেজ। কখনও গোয়ালপোখরের দুর্ভেদ্য ফরওয়ার্ড ব্লক ঘাঁটি থেকে জিতে এসেছেন। কখনও উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ কংগ্রেসের দখলে এনেছেন। কখনও অসুস্থ প্রিয়রঞ্জনের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিনিয়ে এনেছেন বিপুল জয়। হেরেওছেন। কিন্তু ঘর আর বাইরের লড়াই, দিল্লি আর বাংলার লড়াই এক সঙ্গে সামলে ফের ফিরেছেন উত্তর দিনাজপুরে। পুর নির্বাচনে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। প্রিয়বাবুর জেলায় ফের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসকে।
দেখুন সেই সাক্ষাত্কারের ভিডিও
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে হারার পর থেকে ২০১৬-র মার্চ পর্যন্ত প্রায় বছর দু’য়েক প্রচারের আলো থেকে দূরে ছিলেন দীপা। তার পর সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী। এটা কি ‘কাম ব্যাক’? দীপা বলছেন, তা নয়। আসলে রাজনীতিতে কোনও কোনও সময় আসে, যখন সময়টাকে ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। অকপটে বললেন, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির থেকে পেয়েছেন এই শিক্ষা। বললেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে আমার সামনে একটা খুব বড় দেওয়াল তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমাকে বাড়ি ছাড়তে হবে, আমি কোথায় যাব, আমার ঠিকানা অনিশ্চিত! তার মধ্যেই আমার জেলা, আমার দিল্লির ঠিকানা এবং অ্যাপোলো হাসপাতালে প্রিয় দাশমুন্সি। নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য আমার একটু সময় দরকার ছিল।’’
আরও পড়ুন
২০টা প্রশ্ন ছিল, একটারও উত্তর দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী!
নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া সারা। আবার নতুন লড়াইয়ে দীপা দাশমুন্সি। বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমি প্রার্থী হওয়ায় বাম এবং কংগ্রেস জোট একটা বাড়তি সুবিধা পেল। বাম এবং কংগ্রেস জোটের জন্য একটা বাড়তি সংযোজন হল। আরও একটা মুখকে প্রতিষ্ঠা করা গেল। এতে আমাদের কর্মীরা অক্সিজেন পেয়েছেন এবং হইহই করে পথে নেমেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy