Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ভোটপাখিদের মুখ বদলাবে, বদলাবে না নবাবের রাজ্যের দুর্দশা

মুর্শিদাবাদ থেকে কলম ধরলেন ঘোড়শালা উমরপুর জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাণা আলম। আমরা হলুম গিয়ে নবাব-বাদশা’র এলাকার লোক। কাজেই আমাদের চাওয়া-টাওয়া বিশেষ অভ্যেসে থাকার কথা নয়। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার এক কালের রাজধানী হিসেবে পায়ের উপর পা তুলেই আমাদের কাটিয়ে দেওয়া উচিত ছিল আর কি! কিন্তু সেই রামও নেই, সুতরাং অযোধ্যা তো দূর অস্ত্‌।

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১২:১৩
Share: Save:

আমরা হলুম গিয়ে নবাব-বাদশা’র এলাকার লোক। কাজেই আমাদের চাওয়া-টাওয়া বিশেষ অভ্যেসে থাকার কথা নয়। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার এক কালের রাজধানী হিসেবে পায়ের উপর পা তুলেই আমাদের কাটিয়ে দেওয়া উচিত ছিল আর কি! কিন্তু সেই রামও নেই, সুতরাং অযোধ্যা তো দূর অস্ত্‌।

অগত্যা ভোট এলেই আমরা হিসেবে বসি যে, আমাদের কী আছে? কী নেই? আর কী পাওয়া উচিত ছিল? কত্তা, ভোট মানে ভারত রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের খাতিরে চলা নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছি। কলিকালে নবাবিয়ানা গেছে ইস্ট জর্জিয়াতে, তাই আমাদেরও চেয়ে-চিন্তে চলতে হয়। ভোট দিয়ে বিধায়ক, সাংসদ নির্বাচন করি, তাঁরাই আমাদের বর্তমান বাদশা। ভিখারির মতন চেয়ে থাকি, তেঁনারা দয়া করলে বাধিত হই।

এ বার মুর্শিদাবাদের দিকে খানিক তাকানো দরকার। উত্তরে মালদহ জেলা, দক্ষিণে নদিয়া, পূর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত, পশ্চিমে বীরভূম, দক্ষিণ-পশ্চিমে বর্ধমান আর উত্তর-পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় ও সাহেবগঞ্জ দিয়ে ঘেরা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এই জেলাটি। ২০১১-র জনগণনায় এ জেলার জনসংখ্যা ৭১ লাখের কিছু বেশি। সাক্ষরতার হার মোটের উপর ৬৭ শতাংশ। লোকসভায় আসন ৩টে আর বিধানসভাতে ২২টি।

মুর্শিদাবাদ জেলায় ৬৭ শতাংশের কাছাকাছি অধিবাসী ইসলাম ধর্মাবলম্বী। খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ ইত্যাদি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও কিছু আছেন, তবে তাঁরা সংখ্যায় খুব কম। ৩৩ শতাংশের মতো হিন্দু আছেন। এখানকার মানুষজন মূলত কৃষিজীবী। ৮০ শতাংশ মানুষই গ্রামে বাস করেন।

সাক্ষরতার হার সরকারি খাতাকলমে যাই দেখাক না কেন, বাস্তবে এই জেলার শিক্ষাচিত্র খুব উন্নত নয়। স্কুল-ছুটের সংখ্যা প্রচুর। বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রমিক— এই দুই অভিশাপ প্রবল ভাবে বিদ্যমান। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। প্রচুর মানুষ এই জেলা থেকে বাইরের শহরে এবং মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে যান।

যাদবপুরের ‘সেন্টার অব সোশ্যাল স্টাডিজ’ কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে একটি আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করেছিল ২০০৯-১০ সাল নাগাদ। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুসলিমদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ নিরক্ষর আর অ-মুসিলমদের মধ্যে এই সংখ্যা ২৫ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ মুসলিম আর ৮ শতাংশ অ-মুসলিম উচ্চমাধ্যমিক অবধি পড়াশোনা করে। বাকিরা অভাবের কারণে পড়া ছাড়তে বাধ্য হয়। ক্লাস এইট-এর মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে স্কুল-ছুটের গড়পড়তা ৭০ শতাংশ মতন আর অ-মুসলিমদের মধ্যে এই তা প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি।

স্কুল-ছুটের কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ বলেন আর্থিক অসুবিধার কথা। অর্থাৎ, সরকারি শিক্ষা অবৈতনিক হলেও পড়াশোনার আনুষঙ্গিক খরচ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন বহন করতে অসমর্থ হচ্ছেন। আমাদের সাধারণ সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা কোনও রকম কর্ম সংস্থান নিশ্চিত করে না। ভোকেশনাল এডুকেশনের হাল খুবই খারাপ। গরিব অভিভাবক স্বভাবতই ছেলেমেয়েকে বেশি দূর পড়ানোর আগ্রহ রাখেন না।

হিন্দু, মুসলিমদের একটা বড় অংশের পুরুষেরা কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন শহরে অথবা বাইরের রাজ্যে মজুর খাটতে যান। মূলত রাজমিস্ত্রি অথবা জোগালি হিসেবে খাটেন। এঁরা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক। স্বাস্থ্যবীমা বা কোনও রকম আর্থিক নিরাপত্তা এঁরা পান না। কিছু মানুষ মধ্য প্রাচ্যে কাজ করতে যান। তাঁদের পাঠানো টাকায় সংসার চলে। বলা ভাল যে, এই বাইরে কাজ না করতে গেলে অনেক মানুষকেই না খেতে পেয়ে মরতে হত! এই ‘মাইগ্রেশন’ এটাও প্রমাণ করে যে জেলায় কাজ নেই।

প্রশ্নটা হচ্ছে যে ২০১৬তে মুর্শিদাবাদ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? স্কুল বেড়েছে। তবে এখনও তা পর্যাপ্ত নয়। যে সব জায়গায় স্কুল দরকার সেখানে ‘নিউ সেট আপ’ হিসেবে কিছু স্কুল খোলা হয়েছে। পরিকাঠামো আর শিক্ষকের অভাবে স্কুলগুলো ধুঁকছে। স্কুল-ছুটের সংখ্যা সামান্য কমলেও তা এখন অবধি চোখে পড়ার মতন নয়। কন্যাশ্রী প্রকল্প যতটা প্রচার পেয়েছে ততটা কাজে আসেনি। গ্রামাঞ্চলে বেশির ভাগ মেয়েরই কিশোর-বয়সে বিয়ে হয়ে যায় চুপিসাড়ে। খুব কম ক্ষেত্রেই প্রশাসন জানতে পারে।

এবং এ ক্ষেত্রে একটা কথা বলা দরকার যে, পোশাক অনুদান, সাইকেল বা কন্যাশ্রী-র টাকা— এগুলো সবই পড়াশোনার সহায়ক হওয়ার কথা ছিল। খারাপ বিষয়টা কী জানেন? বর্তমানে এই প্রকল্পগুলির সুবিধে পাওয়াটাই অনেক সময় স্কুলে আসার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকটা স্কুল সঠিক পরিকাঠামো আর শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে। সরকার বাহাদুরের এই সব দিকে কোনও নজর নেই। সর্বশিক্ষার টাকা নয়ছয় হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে।

শিশুশ্রমিকজনিত সমস্যা এই জেলার অভিশাপ। প্রবল দারিদ্র আর সঠিক কর্মসংস্থানের অভাব এখানকার মানুষজনেদের বাধ্য করে তাঁদের সন্তানদের কাজে পাঠাতে। এঁরা মূলত কাজ করেন বিভিন্ন ধরনের কারখানা, গ্যারেজ, ইটভাঁটায়। বাড়িতে বাচ্চা মেয়েরা বিড়ি বাঁধে কোনও রকম প্রোটেকশন ছাড়াই। এদের পড়ানোর জন্য ‘ন্যাশনাল চাইল্ড লেবার প্রোজেক্ট’ (এনসিএলপি) প্রকল্পের অধীনে এই জেলাতেই ১৪০টি স্কুল আছে। রাজ্য সরকারের অসীম কর্মদক্ষতায় আপাতত অনুদানের অভাবে স্কুলগুলোর অধিকাংশই বন্ধ।

আরও পড়ুন
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, ফেসবুকে আমাকে ব্লক করলেন কেন ?

আইন করে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়। আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা আর সামাজিক সচেতনা ছাড়া শিশুশ্রমের অভিশাপ দূর করা যাবে না। বাস্তবে কোনও রাজনৈতিক দলই সমস্যাটা নিয়ে ভাবিত নয়। নিজেদের কারখানায় শিশুশ্রমিকদের দিয়ে কাজ করান এ রকম বহু ব্যবসায়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে মোটা টাকা চাঁদা দিয়ে থাকেন। সুতরাং, এই বাচ্চাগুলোর কথা কেউ ভাবে না।

মুর্শিদাবাদের আর এক সমস্যা হল ভাঙন। পদ্মা তার সীমানা বাড়িয়ে চলেছে প্রতি বছর। বেশ ক’টি এলাকা এখন জলের তলায়। মানুষ ঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হচ্ছেন। ভাঙন প্রতিরোধের টাকা নিয়ে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কাজের কাজ কিন্তু খুব কমই হয়েছে।

সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় অবৈধ পাচার আর চোরাচালান এখানকার স্বাভাবিক পেশায় পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, পুলিশ আর দু’নম্বরী ব্যবসায়ীদের জোরাল আঁতাঁত রয়েছে। সীমান্তের থানাগুলো রীতি মতো মাফিয়াদের মধ্যে ‘নীলাম’ হয় বলে শোনা যায়। একটা গরু বাংলাদেশ পাচার করে লাভ থাকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। নিষিদ্ধ নেশার দ্রব্য, বেআইনি অস্ত্র পাচার হয় সীমান্তের এ দিক থেকে ও দিকে। প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে থাকেন গরিব মানুষেরা। তাঁরাই ক্যুরিয়রের কাজ করেন। আর তাঁদের মাথায় থাকেন তাবড় রাজনৈতিক নেতা আর ব্যবসায়ীরা। পুলিশ-প্রশাসন ভাগের টাকা খেয়ে চুপ করে থাকে। ভোটের সমীকরণে এই দু’নম্বরী ব্যবসায়ী তথা মাফিয়াদের প্রভাব রয়েছে যথেষ্ট।

বাকিটা পড়তে ‘২’ ক্লিক করুন

ধূলিয়ান-ঔরঙ্গাবাদ এলাকা নারী পাচারের জন্য কুখ্যাত। দারিদ্রের সুযোগ নেয় পাচারকারীরা। সরকার বা রাজনৈতিক দল এ সব নিয়ে ভাবিত নয়। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিজের মতন করে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

বাইরে কাজ করতে যাওয়ার প্রবণতা আরও বেড়েছে। বেশি টাকা পাওয়া যায় বলে মানুষ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে যাচ্ছেন। তাতে গ্রামে বাড়িঘর পাকা হচ্ছে। বাড়িতে রঙিন টেলিভিশন ঢুকছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে।

কিন্তু এটা দিয়ে উন্নয়ন বিচার করতে যাওয়াটা মুর্খামি হবে। গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা এখনও ঠিকঠাক নেই। অধিকাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই চিকিত্সকের দেখা পাওয়া যায় না। বাল্যবিবাহের দরুণ প্রসূতিকালীন মৃত্যু এবং শিশু মৃত্যু এখনও যথেষ্ট হয়ে চলেছে।

আর্সেনিক দূষণ খুব ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে। চিকিত্সকেদের কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এটা নিয়ে কাজ করে চললেও সরকারি উদ্যোগের অভাবটা চোখে পড়ে। স্বচ্ছ এবং পরিস্রূত পানীয় জলের জোগান এখনও সব জায়গায় নেই।

এই জেলাতে বর্তমানে স্থানীয় কিছু ক্ষেত্র ছাড়া (প্ল্যাস্টিক, রেশম, কাঁসা ইত্যাদি) বড় মাপের শিল্প সে ভাবে গড়ে ওঠেনি। ফলে, শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। বলার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের গড়া সাগরদিঘিতে বিদ্যুত্ প্রকল্প।

আরও পড়ুন-

তা হলে এই নেই-রাজ্যে আছেটা কী?

মুর্শিদাবাদে মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। এখনও পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হয়নি। তবে আশা করা যায় যে, ভব্যিষতে এটি জেলার মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত চাহিদা মেটাতে পারবে।

আহিরণে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অধিবাসীদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা একটি নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। সে চাহিদা কবে মিটবে জানা নেই। কংগ্রেস, সিপিএমসমেত কোনও রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে সে ভাবে সরব নয়। অগ্যতা, আলিগড়ের ক্যাম্পাস নিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছে জেলার মানুষ।

পর্যটনে এই জেলার সমূহ সম্ভাবনা আছে। নবাবি আমলের নিদর্শন ছাড়াও জেলাতে ছড়িয়ে আছে শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ এবং প্রাচীন কিছু মন্দির। মণিগ্রামের দিকে সম্প্রতি কিছু খনন কার্য শুরু হয়েছে। সরকারি উদ্যোগ বেড়েছে। তবে পরিকাঠামোর আরও উন্নতি দরকার।

আরও পড়ুন-দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমাদের কেউ নিজের স্বার্থে টাকা নেয়নি’

শুরুতেই বলেছিলাম যে, ভোট এলেই প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব নিয়ে বসি। এ বারেও তার অনথ্যা হবে না। তবে ওই হিসেব-নিকেশই সার হয় আর কি! জেলাতে মূল শক্তিধর সিপিএম-কংগ্রেস। তৃণমূল মাথাচাড়া দিলেও এখনও কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া সে ভাবে লড়াইয়ে নেই। হরিহরপাড়া, সূতি, জঙ্গীপুর আর ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীরা লড়াইতে থাকবেন। সাগরদিঘি গত বারে তৃণমূলের একমাত্র জেতা সিট ছিল। সেটা এ বার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হারার সম্ভাবনাই বেশি।

উল্লেখ্য যে, এই জেলাতে আরএসএস এবং জামাত, দুটোরই শক্তি বেড়েছে। ফলে বিজেপি আর জামাতের পলিটিক্যাল আউটফিটেরা ভোট পাবে বেশ কিছু। এখন তারা কাদের ঘরে কতটা কোপ বসাবে সেটাই দেখার।

সার্বিক উন্নয়নের অভাব, দুর্নীতি, চোরাচালান, দারিদ্র, ভাঙন আর আর্সেনিক দূষণ নিয়ে মুর্শিদাবাদে সমস্যাগুলো একই রকম রয়ে গিয়েছে বরাবর। যেই-ই জিতুক, তাতে খুব একটা হেরফের হবে বলে মনে হয় না।

১২ বছরের ছেলে স্কুল ছেড়ে বাইরে খাটতে যাবে, ১৪ বছরের মেয়ে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা পড়বে, ৪০ বছরের লোক আর্সেনিক দূষণে আক্রান্ত হয়ে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে, প্রতি বছর ভাঙনে কিছু মানুষ ঘর হারাবে আর তাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পাঁচ বছর অন্তর ভোটপাখি সাজবেন, তবেই না নবাবের দেশ মুর্শিদাবাদের অস্তিত্বের সার্থকতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE