বিরোধীরা শেষ পর্যন্ত নেতির পথেই হাঁটলেন। মানুষের রায়ে নির্বাচিত সরকারের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন তাঁরা। এবং, দল ও সরকারের মধ্যে ব্যবধান-রেখাটাকে বিস্মৃত হয়ে শেষ পর্যন্ত অসম্মান করলেন গণতন্ত্রকেই।
এ কথা ঠিক, নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা, তাতে শাসক দলের জড়িত থাকার অভিযোগ এবং পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিরোধীদের ক্ষোভ যে সারগর্ভহীন, একান্ত আলোচনায় শাসক-নেতারাও তা বলবেন না। মানুষের রায় পেয়ে ক্ষমতায় ফিরে বিরোধী কণ্ঠস্বরের উপর আক্রমণ হেনে শাসক যদি গণতন্ত্রের অসম্মান করে থাকে, ততটাই অসম্মান বয়কট-পন্থার মাধ্যমে করল বিরোধীরা। গণতন্ত্র চায় সর্বস্তরে বিরোধীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। শাসকের ভূমিকা সঙ্গত রাখার জন্য সাধারণ মানুষের রায়েই অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা বিরোধীদের। বয়কট-পন্থায় সেই অতন্দ্রতা রক্ষিত হয় না, লঙ্ঘিত হয় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের দায়বদ্ধতাও।
মানুষের রায় শিরোধার্যই যদি হয়, তবে সেই রায়ে-আসা সরকারের শপথেও অবশ্যই অংশ নেওয়া উচিত ছিল। শাসক যখন বিপুল সংখ্যা নিয়ে ক্ষমতায় আসে, গণতন্ত্রের স্বার্থেই বিরোধীর দায় তখন আরও বেড়ে যায়। নতুন সরকারের প্রথম চৌকাঠে বিরোধীরা হোঁচট খেলেন।
ওই হোঁচটে আঘাতটা না লাগল বিরোধীর, না শাসকের। আহত হল গণতন্ত্র। এটা বোঝার সময় এ বার এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy