মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিলিগুড়িতে জনসভার কয়েক ঘণ্টা আগে ভাঙন ধরল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার সকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক সিপি যোশীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তৃণমূলের অলোক চক্রবর্তী, জ্যোতি তিরকে-সহ সাতজন। উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে পরিচিত নাম অলোকবাবু জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ছাড়াও ভাইচুং ভুটিয়ার নিবার্চনী কমিটির অন্যতম পরামর্শদাতা। মহকুমা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি জ্যোতি তিরকে জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী। এ ছাড়াও আজ দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিধাননগরের তৃণমূল নেতা সূর্যশীল শর্মা, ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ অলোক ঘোষ, নকশালবাড়ি ব্লকের তৃণমূল নেতা নদীন রায়, বিশ্বজিৎ বসু এবং বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির তৃণমূল সংগঠনের প্রবীণ নেতা অরূপ বসু।
দলত্যাগীদের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলে কথা বেশি, কাজ কম। যোগ্য সম্মান দেওয়া ছাড়াও একাংশ নেতানেত্রীদের ইচ্ছা ছাড়া কোনও কাজই করা যাচ্ছে না। দলে কোনও গণতন্ত্র নেই।’’ সেই সঙ্গে শাসক দল সমাজবিরোধীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে বলেও ব্লক স্তরের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেছেন। দলবদলের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবু বলেছেন, ‘‘শিলিগুড়ি থেকে তৃণমূল হঠানোর অভিযান শুরু হয়েছে। এবার সেই শিলিগুড়ি থেকে তৃণমূলে ভাঙন শুরু হল। এবার ধীরে ধীরে তা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের সঙ্গে আরও অনেকে যোগাযোগ করেছেন। ধীরে ধীরে সব সামনে আসবে।’’
আগামী রবিবার শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ আসনে ভোট। তার উপরে এদিনই প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি আসছেন। দলবদলের এই খবরে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলে। দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘ওঁরা স্বেচ্ছায় আমাদের দলে ছিল। আবার স্বেচ্ছায় দল ছেড়েছেন। এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। আর ওঁরা যা বলছেন, সেগুলির ভিত্তি নেই। দল ছাড়লে অনেকে অনেক কথা বলে।’’ রঞ্জনবাবু জানান, প্রকাশ্যে কংগ্রেস, সিপিএমে জোটে যাঁরা খুব স্বাচ্ছন্দ্য তাঁরা তো আর তৃণমূলে থাকতে পারবেন না। অলোকবাবুরা খুব ভাল থাকুন, এটাই আমরা চাইব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy