নারদ-মামলার ভিডিও কতটা খাঁটি এ দিন সেই প্রশ্নে সরগরম হয়ে উঠল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, নারদ নিউজের ভিডিওয় ঘুষ নিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মন্ত্রী, দেশের সাংসদ ও শাসক দলের নেতাকে। এই ঘটনায় এক আইপিএস অফিসারের নামও জড়িয়েছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, ভিডিও ফুটেজে কারচুপি রয়েছে। তাই সবার আগে ওই ভিডিও ফুটেজ যাচাই করা দরকার। জানা দরকার, ফুটেজ কতটা খাঁটি।
এই সওয়াল শুনে প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর নারদ-এর আইনজীবী বিমল চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনি আদালতে হলফনামা দিয়ে বলুন, এই ফুটেজ ‘জেনুইন’ (খাঁটি) কি না। খাঁটি না হলে এই ফুটেজ আদালত গ্রহণই করবে না।’’ বিমলবাবু বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কেউ এই অভিযোগ করেননি। খাঁটি কি না, তা চ্যালেঞ্জও করেনি কেউ। তবে আদালতের নির্দেশ মতো আমি হলফনামা দেব। আদালতকে সন্তুষ্ট করব।’’
এর পর তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি এই ফুটেজের সত্যতা স্বীকার করছেন?’’ কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘একেবারেই করছি না।’’ ঘুষ-বিতর্কে নাম জড়ানো আইপিএস এসএম মির্জা-র আইনজীবী কিশোর দত্ত তখন প্রশ্ন তোলেন, যে সংস্থা ভিডিও ফুটেজ তাদের বলে দাবি করছে, সেই সংস্থার পরিচয় কী? কারা চালায় সেটি? কে সেই সংস্থাকে টাকা জোগায়? টাকা কি বিদেশ থেকে এসেছে? সংস্থার আগের কাজকর্ম নিয়ে আদালতের খোঁজ নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন কিশোরবাবু।
এর পরে কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘ফুটেজে কারচুপি করা হয়েছে। এর সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে।’’ একই সঙ্গে ২০১৪য় তোলা ওই ভিডিও কেন বিধানসভা ভোটের মুখে প্রকাশ করা হল, সে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফুটেজটি প্রকাশ করা হয়েছে।’’
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবীদের নির্দেশ দেন, তাঁদেরও হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, এই ফুটেজ খাঁটি জেনেই তারা জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছেন। নারদের সিইও ম্যাথু স্যামুয়েলও আজ দিল্লিতে জানিয়েছেন, স্টিং অপারেশনের সমস্ত সরঞ্জাম ও ফুটেজ তিনি আদালতের কাছে তুলে দিতে সাজিয়ে রেখেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy