রাজ্যে প্রথম তিন দফার ভোট দেখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করছিলেন বিরোধীরা। তখন ‘অবাধ নির্বাচন’ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল শাসক দল। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম দফার ভোটে কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় শুরু হয়ে গেল উলটপুরান। পঞ্চম দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করছেন বিরোধীরাও। কিন্তু এখন ক্ষোভ দিদির গলায়। বুধবারও বেহালায় তিনি বলেন, ‘‘ভোটে এমন জুলুম কখনও দেখিনি। ভোটে তাণ্ডব করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়াবাড়ি করছে।’’
শুধু সভায় ক্ষোভ জানানো নয়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদীকে চিঠিও দিয়েছেন মুকুল রায়। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে l বুথে ঢোকার সময় ভোটারদের পরিচয়পত্র কারা পরীক্ষা করবে? l বুথের ছ’শো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা যেতে পারে। উপদ্রুত এলাকা না হলে গোটা জেলায় কেন ভোটের দিন কার্ফু থাকবে? এরই সঙ্গে তৃণমূলের দাবি, কমিশন ‘পুলিশ পর্যবেক্ষক’দের পরিচয় ও ফোন নম্বর সব রাজনৈতিক দলকে দিতে হবে।
রাজ্যে দু’দফার ভোট বাকি। কমিশন কড়া হওয়ায় শাসক দল কি তবে ভয় পাচ্ছে? মুকুলবাবুর জবাব, ‘‘তা কেন? কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলেই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’’ সিপিএমের মহম্মদ সেলিমের দাবি, ‘‘ওঁরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।’’ কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওদের আশঙ্কা আগামী দু’দিন পুলিশ আরও ঘুরে দাঁড়াবে। বুথ দখল, ছাপ্পা কড়া হাতে রুখবে। তৃণমূল জিতবে কীভাবে? তাই এই উৎকন্ঠা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy