Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পা ধোওয়াল ভোটার, শ্রদ্ধা বললেন প্রার্থী

প্রচারের সময়ে কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রার্থীর পা ধুইয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে হুড়ায়। সোমবার পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকের লক্ষ্মণপুর পঞ্চায়েতের দেউলি রাঙাডি গ্রামে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন কাশীপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া। প্রচার চলাকালীন দুই কিশোরী তাঁর পা ধুইয়ে দেয়। এই ঘটনায় দেখা দিয়েছে বিতর্ক।

প্রচারে স্বপন বেলথরিয়া।—নিজস্ব চিত্র

প্রচারে স্বপন বেলথরিয়া।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হুড়া শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৬ ০১:৪৮
Share: Save:

প্রচারের সময়ে কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রার্থীর পা ধুইয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে হুড়ায়। সোমবার পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকের লক্ষ্মণপুর পঞ্চায়েতের দেউলি রাঙাডি গ্রামে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন কাশীপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া। প্রচার চলাকালীন দুই কিশোরী তাঁর পা ধুইয়ে দেয়। এই ঘটনায় দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ঘটনাটিকে দৃষ্টিকটু আখ্যা দিয়েছেন বিরোধীরা। তবে স্বপনবাবু নিজে বিষয়টিতে বিতর্কের কিছু দেখছেন না। তাঁর পাল্টা দাবি, বিধায়ক হিসাবে সুখে-দুঃখে সব সময় এলাকার বাসিন্দাদের পাশে থাকায় তাঁরা তাঁকে এই সম্মান দেখিয়েছেন।

এ দিন লক্ষ্মণপুর পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান মোহনচন্দ্র মুর্মু যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ঘটনাচক্রে এ দিনের বিতর্কিত ঘটনাটি মোহনবাবুর গ্রামেই ঘটেছে। এ দিন দেউলি রাঙাডি গ্রামে মিছিল করে ভোটের প্রচার করছিলেন বিধায়ক। মিছিল থেমেছিল গ্রামের মোড়ে। সেই সময় দুই কিশোরী বালতিতে জল নিয়ে উপস্থিত হয়। থালায় জল নিয়ে বিধায়কের পা ধুইয়ে দেয় তারা। বিধায়কের মতোই এই ঘটনায় বিতর্কের কিছুই দেখছেন না ওই দুই কিশোরীর মা বাসন্তী মাহাতো এবং চন্দ্রাণী মাহাতোরা। তাঁরা বলেন, ‘‘বাড়িতে অতিথি এলে তাঁর পা ধুইয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে মাহাতো সম্প্রদায়ের মধ্যে। বিধায়ক আমাদের গ্রামে এসেছেন। উনি অতিথি। তাই রীতি মেনেই ওঁর পা ধুইয়ে দেওয়া হয়েছে।”

তবে প্রকাশ্যে পা ধুইয়ে দেওয়ার মতো দৃষ্টিকটু বিষয়টি বিধায়ক এড়িয়ে যেতেই পারতেন বলে মনে করছেন তৃণমূলের একাংশই। ঘটনাটি কতটা যুক্তিযুক্ত এবং তিনি নিজে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে কী করতেন, তা জানতে চাওয়া হলে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। এ দিন হুড়ার ঘটনার বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অনেক আগে এই ধরনের প্রথা ছিল। কিন্তু এখন সে সবের পাট উঠে গিয়েছে।’’ এ দিনের ঘটনাটি তাঁর জানা নেই বলে দাবি করে শান্তিরামবাবু বলেন, তিনি নিজে এমন কোনও পরিস্থিরতে পড়লে কাউকে তাঁর পা ধোয়াতে দিতেন না। অন্যদিকে কাশীপুরের সিপিএম প্রার্থী সুদীন কিস্কুর কটাক্ষ, ‘‘আগে প্রজারা রাজাদের পা ধুইয়ে দিত। তৃণমূলের জমানায় বিধায়করা যে নিজেদের রাজা আর সাধারণ মানুষকে প্রজা মনে করেন, এই ঘটনায় তার হাতে নাতে প্রমাণ মিলল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE