তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে ডেরেক ও’ব্রায়েন।
পা কাটতেই পারে, তাই বলে এই রকম পচা শামুকে?
ঢাকঢোল বাজিয়ে ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ‘প্রমাণ’ করেই বসেছিলেন বিজেপি এবং সিপিএমের গোপন গাঁটছড়া। ছবি দেখিয়ে ফাঁস করলেন, বিজেপি কার্যালয়ে প্রকাশ কারাটকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ। এর পরেও কি আর বুঝতে বাকি থাকল দুই দলের সম্পর্কের গোপন বৃত্তান্ত!
কিন্তু পর্দা ফাঁস হয়ে গেল কিছু ক্ষণের মধ্যেই। আসল ছবিতে নরেন্দ্র মোদীকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন রাজনাথ। ডেরেকের সাংবাদিক বৈঠকে যে ছবি দেখানো হল, সেখানে ফোটোশপের কারসাজিতে মোদীর মুখ সরিয়ে বসানো হয়েছে কারাটকে! ঘুষের ছবির বিড়ম্বনার মধ্যেই এ বার জাল ছবির হুলের দংশন তৃণমূল শিবিরে। তৃণমূল পরে স্বীকারও করল, ভুল হয়ে গিয়েছে বটে। কিন্তু তত ক্ষণে ভাবমূর্তির ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সময়টা খারাপই যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের।
কিন্তু অন্য এক সঙ্কীর্ণতার ছবিও দেখল রাজ্য। তা গভীরতর। যদি এটা সত্যিও হত, রাজনাথ মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন প্রকাশকে, কী প্রমাণ বা অপ্রমাণ হত তাতে? কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভগীরথ হতে চাইছেন ডেরেকরা? যে কোনও সুস্থ গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সৌজন্যের যে অবকাশ ও পরিসর থাকে, সেখানে করমর্দন-মিষ্টিমুখ-হাস্য বিনিময় স্বাভাবিক। তার বিপরীত কোনও শরীর-ভাষা কিন্তু অন্য প্রশ্নের জন্ম দেবে আম নাগরিকের মনে। বিজেপি-র বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান যে অভিযোগটা করে থাকে, সেই অসহিষ্ণুতারই শিকার হল না তো তারা নিজেরাও?
নিন্দুকে বলার সুযোগ পাবে না তো, বিজেপি আসলে মিষ্টিটা খাইয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেসকেই। সেই মিষ্টি অসহিষ্ণুতার। স্বাদ তার তিক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy