‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর সেই ভূতের নৃত্য।
২০১৬-র পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এ বার কি ভোটের ভবিষ্যত্ হতে চলেছে, নাকি ভূতের ভবিষ্যত্? প্রশ্নটা সরল। নির্বাচন কমিশনের অতন্দ্র নজরদারিতে অবাধ এবং ভয়হীন এক পরিবেশে কাতারে কাতারে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন? যদি পারেন, তবে তাঁদের ভোটই স্থির করে দেবে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত্। আর যদি তা না হয়? অনিলায়িত আবিষ্কারে যে বৈজ্ঞানিক ভূতেদের নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল, যথাযোগ্য উত্তরাধিকারে এ জমানায় মুকুলিত হয়ে সেই ভূতেরাই যদি নৃত্য করে, অবাধ ও যথেষ্ঠ সুষ্ঠু ভাবেই? এই প্রেত নৃত্যে পেশীর প্রয়োজন পড়ে না, হুঙ্কার-রব থাকে না, থাকে না কোনও বাহ্যিক আস্ফালন। শুধু থাকে অঙ্কের উপর ভিত্তি করে বুথের পর বুথ ১ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার ভূতের নির্মাণ। যারা বিরাজ করে না, শুধু ভোট দিয়ে যায়।
এ ভূত অশুভ। গাঁধীজি থাকলে বলতেন, অতএব এ ভূতের ভবিষ্যত্ অশুভ! ভোট শুভ, অতএব ভবিষ্যত্ও সেই মতোই। কিন্তু, সময়টা যে হেতু সত্য যুগ নয়, তাই শুভ এবং অশুভের লড়াইয়ে রেফারির হস্থক্ষেপ ছাড়াই প্রথম পক্ষের জয় ঘটবে, এমনটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয় না। এ বারের রেফারি নির্বাচন কমিশন। সংশয় নেই এ বারের খেলায় রেফারির গর্জনটা টের পাওয়া যাচ্ছে ভালই। ঘরপোড়া গরু শুধু এটাই ভাবছে, বর্ষণটাও সেই মতো হবে তো? ওই সুতোর উপরেই দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত্। কোন পথে যাবে, ভোটের না ভূতের?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy