Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩
entertainment

ফেডারেশন সবাইকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য, আলাদা করে সেটা জানানোর কী আছে: প্রশ্ন সুদীপ্তার

মঙ্গলবার পরিচালক প্রভাত রায় প্রথম নেটমাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। ওই দিন রাতেই সরব হন সুদীপ্তা চক্রবর্তীও।

সুদীপ্তা চক্রবর্তী, অভিনেত্রী।

সুদীপ্তা চক্রবর্তী, অভিনেত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২১ ১৫:০৯
Share: Save:

ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একে একে মুখ খুলছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার পরিচালক প্রভাত রায় প্রথম নেটমাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। ওই দিন রাতেই সরব হন সুদীপ্তা চক্রবর্তীও। ফেডারেশনের হোয়াটসঅ্যাপ হুমকি বার্তার প্রতিবাদে তাঁর বক্তব্য, ফেডারেশনের মিছিলে যাঁরা গেলেন না তাঁদের নিয়ে 'গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা করা হবে' জেনে একটু অদ্ভুত লাগছে তাঁর। প্রশ্ন রেখেছেন, ‘গোটা মিছিলটা আদৌ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল তো’?

Advertisement

কেন এমন প্রশ্ন অভিনেত্রীর. জানতে আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল। সুদীপ্তার স্পষ্ট জবাব, তার দায়ও ফেডারেশনেরই। সত্যিই স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান হলে এই ধরনের ‘নেতিবাচক বার্তা’ দিতে হত না সংগঠনকে। দাবি, ‘‘নেতিবাচক শব্দটি ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করলাম। অন্তত আমি এই বার্তায় কোনও ইতিবাচক দিক খুঁজে পাইনি।’’ নিজের কথার স্বপক্ষে আরও যুক্তি তাঁর, ‘‘শিল্পী কলাকুশলীদের নিয়ে ভাবাটাই ফেডারেশনের কাজ। এই দায়িত্ব নিয়েই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। এবং সেই ভাবনারও যথেষ্ট গভীরতা থাকবে। এ আর নতুন কী?’’ তার পরেই বলেছেন, কেন আলাদা বার্তা দিয়ে সে কথা নতুন করে জানাতে হচ্ছে সংগঠনকে? সেটাই বুঝতে পারছেন না তিনি।

পাশাপাশি, শিল্পী-কলাকুশলী--এই বিভাজনও চান না সুদীপ্তা। সে কথাও তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁর পোস্টে, ‘সিনেমা/ টিভির কাজে যাঁদের টেকনিশিয়ান বা কলাকুশলী বলা হয়, আমার কাছে তাঁরা প্রত্যেকেই শিল্পী। একটা গল্প বা চিত্রনাট্য লেখা বা তাকে সঠিক নির্দেশনার মাধ্যমে পর্দায় আনা, বা ক্যামেরায় ছবি তোলা যেমন কোনও দিনই শুধু যান্ত্রিক ব্যাপার নয়, সঠিক সময়ে সঠিক আলো দেওয়া বা কেটে দেওয়াও শিল্প ছাড়া আর কিছুই নয়’। দাবি, ‘দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজ করেন বলে তাঁরা যদি শ্রমিক বা টেকনিশিয়ান হন, তা হলে সেই হিসেবে আমিও একজন টেকনিশিয়ান’।

সুদীপ্তার এই পোস্ট ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন নেটাগরিকেরাও। বেশ কিছু জনের দাবি, ‘শিল্পীদের নিয়ে কিছু বলা হলেই তাঁরা তখন মুখ খোলেন। রাজনীতি করার অপরাধে যখন ৮২ বছরের বৃদ্ধাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় তখন শিল্পীসত্তা নীরব, কেন?’ নেটাগরিকদের কথা অনুযায়ী শিল্পীরা কি সত্যিই স্বার্থপর? উত্তরে সুদীপ্তার কটাক্ষ, গতকাল তবু তো তিনি আর পরিচালক প্রভাত রায় মুখ খুলেছেন! ‘‘আর কেউ তো মুখই খুলছেন না। সবাই গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেদের’’, ক্ষোভ তাঁর। এও জানাতে ভুললেন না, তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত নন। এমনও বাধ্যবাধকতা নেই, প্রতি বিষয়েই তাঁকে মুখ খুলতে হবে। যথেষ্ট ব্যস্ততার মধ্যেও যা তাঁকে ছুঁয়ে যায়, তারই প্রতিবাদ তিনি করেন। আগামী দিনেও করবেন। প্রশ্ন তোলেন, শিল্পীদের হয়ে শিল্পীরা মুখ না খুললে মুখ খুলবে কে? কারণ, অধিকাংশ শিল্পীই এখন কোনও না কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত। ফলে, তাঁরা চাইলেও প্রতিবাদে শামিল হতে পারেন না।

Advertisement

সুদীপ্তাও কি প্রভাত রায়ের মতোই অভিনেতাদের রাজনীতিতে আসার ঘোর বিরোধী? ‘‘একেবারেই না", সাফ জানালেন তিনি। বললেন, একজন চিকিৎসক বা আইনজীবী যদি রাজনীতি করতে পারেন তা হলে অভিনেতারাও পারেন। তবে যাঁরা রাজনীতি করতে চান না তাঁদের জোর করে এই ময়দানে নামানোর ঘোরতর বিরোধী তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.