এত কষ্ট পাচ্ছি কেন? মনে হচ্ছে, যেন নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় চলে গেলেন!
কারণ আছে। সেই কারণ অনেক ছোটবেলার। হ্যাঁ, নারায়ণ দেবনাথ বাকি অনেকের ছেলেবেলার মতো আমার ছেলেবেলাও দখল করেছিলেন। মা-বাবার সঙ্গে বরাবর শ্যামবাজারের বাসিন্দা। ওখানকারই এক স্কুলে পড়ি। ফেরার পথে মায়ের কাছে রোজের বায়না, ‘হাঁদা-ভোঁদা’, ‘বাটুল দি গ্রেট’ নয়তো ‘নন্টে-ফন্টে’ কিনে দিতে হবে। মা কিনে দিতেন। তখনও আমি নিজে নিজে পড়তে শিখিনি। মাকেই তাই বই পড়ে শোনাতে হত।
একটু একটু করে বড় হলাম। তখন নিজে পড়তে পারি। ফলে, কমিকসের বইগুলো আর কাউকে পড়ে দিতে হত না। ও গুলো রোজ পড়তাম আর নিজের মনে এক একটি চরিত্র হয়ে উঠতাম। আয়নার সামনে কোনও দিন আমি বাঁটুল। কোনও দিন কেল্টুদা। কোনও দিন হয়তো সুপারিনটেনডেন্ট স্যর সাজতাম। মুখে নারায়ণ দেবনাথের লেখা সংলাপ। ওঁর লেখায় ভীষণ নাটকীয়তা। সব মিলিয়ে জমে যেত। সেই বয়সেই অভিনয়ে আসার প্রবল ঝোঁক। আমার মনের সেই ইচ্ছের বীজ কিন্তু বুনে দিয়েছিলেন বাংলার ভীষণ আদরের কার্টুনিস্ট! টিনটিন, ক্যাপ্টেন হ্যাডক বা বিদেশি কোনও কৌতুক চরিত্র নয়!