Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মুখ দেখাতে পার্টিতে যাই না

নতুন ইনিংসেও সফল জুহি চাওলা। তাঁর মুখোমুখি আনন্দ প্লাসএত দিনের পুরনো কথা আমার মনে নেই। ছবি না করলেও আমরা একসঙ্গে ওয়ার্ল্ড টুর করেছি। সেখানে আমির, রবিনা টন্ডনও  ছিল। তখন অল্প বয়স ছিল। কিছু  না ভেবেই ‘হ্যাঁ-না’ বলে দিতাম। সে রকমই হয়তো কিছু হবে। এখন দেখছি, আমি ভুলে গেলেও সলমন সেটা মনে রেখেছে।

জুহি চাওনা।

জুহি চাওনা।

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৫
Share: Save:

প্র: কেরিয়ারের ৩৫ বছর হয়ে গেল। এখনকার ফিল্ম মেকিংয়ে আলাদা কী দেখেন?

উ: আমাদের সময়ে কাজ করতে করতে সেটে বসেই সংলাপ বা দৃশ্য লেখা হতো। গল্পের চার-পাঁচ লাইন শুনে গাট ফিলিংয়ের ভরসায় ‘হ্যাঁ’ বলে দিতাম। তবে যশ চোপড়া ‘আয়না’র পুরো স্ক্রিপ্ট আমাকে শুনিয়েছিলেন। এখন অনেক প্ল্যানিং করেই কাজ শুরু হয়।

প্র: আমির-শাহরুখের সঙ্গে কাজ করলেও সলমনের সঙ্গে কাজ করেননি। সলমন বলেন, আপনি নাকি ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চাননি।

উ: এত দিনের পুরনো কথা আমার মনে নেই। ছবি না করলেও আমরা একসঙ্গে ওয়ার্ল্ড টুর করেছি। সেখানে আমির, রবিনা টন্ডনও ছিল। তখন অল্প বয়স ছিল। কিছু না ভেবেই ‘হ্যাঁ-না’ বলে দিতাম। সে রকমই হয়তো কিছু হবে। এখন দেখছি, আমি ভুলে গেলেও সলমন সেটা মনে রেখেছে।

প্র: তখন আপনার আর মাধুরী দীক্ষিতের প্রতিযোগিতার কথা শোনা যেত। তা কতটা সত্যি ছিল?

উ: একেবারেই সত্যি। তখন এ বিষয়ে মুখ না খুললেও এখন বলতে দ্বিধা নেই। মাধুরীর সঙ্গে কোনও ছবিই করতে চাইতাম না। ও লিড হলে আমি সেকেন্ড লিড হতে রাজি হতাম না। যে কারণে ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ করিনি। ওটা করিশ্মা কপূর করল। রবিনা, করিশ্মার সঙ্গেও আমার প্রতিযোগিতা ছিল। ‘নাইন্টিন ফর্টিটু আ লাভ স্টোরি’তে মনীষা কৈরালাকে দেখার পর মনে হয়েছিল, ও আমাদের সবার ছুটি করে দেবে!

প্র: আপনার ছেলেমেয়ে অর্জুন-জাহ্নবী বিদেশে পড়াশোনা করে। ওদের বাইরে পাঠালেন কেন?

উ: ছোটবেলায় আমার মা যখন আমাকে বোর্ডিং স্কুলে দেওয়ার কথা বলতেন, আমি খুব কান্নাকাটি করতাম। তাই মা আমাকে বোর্ডিংয়ে পাঠাননি। কিন্তু আমার দুই ছেলে-মেয়েই বাইরে পড়াশোনা করতে চেয়েছে। দু’জনেই পড়াশোনায় ভাল। বিশেষ করে আমার মেয়ে। অলরাউন্ডার বলা যায়। খুব ভাল গোলকিপার, স্কুবা ডাইভ করে। অভিনেত্রী হতে চায় কি না সেটা বলা মুশকিল। কোনও সময়ে বলে মডেল হব, কখনও বলে সার্জন!

প্র: কয়েক বছর ধরে আপনি পরিবেশ সচেতনতামূলক কাজ করছেন...

উ: কেরিয়ারের শুরুতে সিনেমা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতাম না। কিন্তু সন্তান হওয়ার পরে আমার জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আসে। ওই সময়টা নিঃসন্দেহে টার্নিং পয়েন্ট ছিল। আগামী প্রজন্মকে কেমন পরিবেশ দিচ্ছি, কী ভাবে তারা থাকবে... এগুলো আমাকে ভাবায়। সেই থেকেই এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হই।

প্র: আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছে আছে?

উ: না, কারণ আমার জীবনে কিছু অধ্যায় আছে যা, সকলের সামনে তুলে ধরতে চাই না। তবে যদি কোনও দিন ইচ্ছে হয়, ছবির শুটিংয়ের অনেক অজানা গল্প নিয়ে লিখতে পারি।

প্র: এখন অনেকে মিড লাইফ ক্রাইসিসে ভোগেন। আপনি কী ভাবে এর মোকাবিলা করেন?

উ: আমাদের জীবন খুব সরল। আমরাই এটাকে জটিল বানাচ্ছি। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমি কিছু করি না। শুধু মুখ দেখানোর জন্য কোনও পার্টিতে যাই না। একটা কথা এখন সবাই খুব ব্যবহার করে, ফোমো। যার মানে ফিয়ার অব মিসিং আউট। এগুলো মানুষকে আরও কষ্ট দেয়। আমি এ সব থেকে দূরে থাকি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Juhi Chawla Interview madhuri dixit Bollywood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE