‘আমি বরাবর বেসিক গান নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। কিন্তু ২০১০ থেকে সময়টা বদলেছে।’
পুজো আসছে!
এ শহরে বৃষ্টিভেজা বাঁশের গন্ধ যেমন লেগে আছে, তেমনই পুজোর বাজারের ভিড় আর যানজটের মধ্যে গাড়ির অডিও প্লেয়ারে বেজে উঠছে ‘কালবৈশাখী’, অনুপম রায়ের বেসিক অ্যালবামের গান।
এই কালবৈশাখী বেগুনি রঙে রাঙানো। সেখানে রেলগাড়ির বাঁশিতে হঠাৎ প্রেম। গান বলে দেয়, কালবৈশাখীর কোনও সময় হয় না।
এই গান এনেছে প্রায় পাঁচলক্ষ ভিউ!এসভিএফ-এর মিউজিক প্ল্যাটফর্ম থেকে শোনা যাবে ‘কালবৈশাখী’।
‘‘আমি বরাবর বেসিক গান নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। কিন্তু ২০১০ থেকে সময়টা বদলেছে। সিনেমার গানের রমরমায় আমিও একের পর এক ছবির জন্য গান তৈরি করে চলেছি। বাংলা ছবির গান লোকে শুনছেন এটা খুব ভাল বিষয়। তার সঙ্গে কিন্তু বেসিক গানকেও থাকতে হবে। আমি এই কারণেই আরও আরও গান রিলিজ করব’’, বলছেন অনুপম রায়। কারণ, তিনি মনে করেন বাংলা বেসিক গানকে ধরে রাখতে আর্টিস্টদের এগিয়ে আসতে হবে। কতগুলো প্রচলিত ধারণাকে নিজের সাফল্য আর অভিজ্ঞতা দিয়ে ভেঙে দিলেন অনুপম। তিনি তাঁর বেসিক গান ‘কালবৈশাখী’ প্রথমেই ইউটিউবে রিলিজ করেননি।‘‘শুনুন, ইউটিউবে গুচ্ছের পয়সা দিয়ে ভিডিও করে বুস্ট করে গান দিলেই লোকে শুনবে এমনটা নয়। জোর করে কাউকে ভাল ছবি দেখিয়ে গান শোনানো যায় না! একসঙ্গে অনেকগুলো প্ল্যাটফর্মে গান রিলিজ করতে হবে। সকলের কাছেই এখন ইন্টারনেট, তাই ‘গানা’,‘সাওন’, ‘অ্যাপলস’, ‘আই টিউনস’,এই ধরনের অ্যাপে বিনা পয়সায় অডিও স্ট্রিম করে গান শুনুন। স্ট্রিমিং-ই কিন্তু এই বেসিক গানের ঘরে লক্ষ্মী আনবে।’’
আরও পড়ুন: ‘ভারত’-এ সলমনের বাবার ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে জানেন?
পুজোয় নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে নাচের গানের সিঙ্গল নিয়ে হাজির হবেন অনুপম।
বিষয়টা পরিষ্কার করে দিলেন অনুপম রায়। এখন অনলাইনের যুগ। সিডি আর পাওয়া যাবে না। ‘‘প্লিজ, আপনারা দশ টাকা দিয়ে অনলাইনে গান শুনুন। গান দেখার নয়, শোনার।’’ সাফ জানালেন অনুপম।
জানা গেল, এ বার পুজোয় নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে নাচের গানের সিঙ্গল নিয়ে হাজির হবেন তিনি।
হঠাৎ নাচের গান?
আরও পড়ুন: প্রিয়ঙ্কার উপরে কি রাগ করেছেন? সলমন বললেন...
‘‘আমার বন্ধুরা সারাক্ষণ অভিযোগ করে, বাংলায় নাচের জন্য সেরকম গান নেই। আমার বেসিক গানের সিঙ্গল-এ একটু অন্যরকম করতেই পারি। ছবির গান তো ধরাবাঁধা থাকে। তাই ভাবলাম, নিজেকে ভাঙি নাচের জন্য। কনটেন্টের কথা একটু কম ভেবে নাচের গানের সিঙ্গল করি!’’
বিশ্বায়নের যুগে বদলে গিয়েছে প্রেক্ষাপট। বাংলা গানের অর্থ কম। উপরন্তু তাকে ঝকঝকে হিন্দি আর ইংরেজি গানের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে। বাঙালি শিল্পীদের কাছে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন অনুপম রায়। তাঁর নিজের ভাষার জন্য! গানের জন্য! নির্মাণের ভবিষ্যৎ তাঁর শব্দে, ছন্দে।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের সমস্ত গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy