কনীনিকা
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবির কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। লোকের কাছে দ্রুত পৌঁছে যাওয়াটা সমস্যার। কারণ, অবশ্যই বাজেট এবং ইন্ডাস্ট্রির বাকিদের দাদাগিরি! যদি না সেই ছবির ওয়ার্ড অব মাউথ প্রচার জবরদস্ত হয়। পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্যের ‘বিলু রাক্ষস’-এর ট্রেলার ইউটিউবে ৯ লক্ষের উপর ‘ভিউ’ পেয়েছে।
নবাগত পরিচালকের কাছে এটা একটা পাওনা। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে জয় সেনগুপ্ত, কন়ীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় নাম না থাকলে বাংলায় ছবি বিপণন করাটাই তো ঝক্কির! প্রশ্নটা ইন্দ্রাশিসকে করতে বললেন, ‘‘যাকে মানানসই মনে হয়েছে, তাকেই নিয়েছি। জয়ের মধ্যে একটা শিক্ষিত কর্পোরেট লুক রয়েছে। কনীনিকার মধ্যে যে ঘরোয়া বিষয় রয়েছে, সেটা এই ছবির জন্য প্রয়োজন ছিল। বাংলা ছবিতে একটু মুখ বদল হওয়ার দরকার।’’
জয়
গল্পের নামেই টুইস্ট। ‘রাক্ষস’ শব্দের ব্যাখ্যা কী ছবিতে? ‘‘এক এক সময়ে নিজেদেরই কেমন রাক্ষস মনে হয়। বিলুর কাছের মানুষ মা, স্ত্রী সকলে তাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সেটা যেন তারই দোষে। আর রাক্ষসের প্রাণভোমরার কথা আমরা ছোটবেলার রূপকথার গল্পে পড়েছি। সেই প্রাণভোমরা প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার একটা ভয় কাজ করে,’’ বিস্তারে বললেন ইন্দ্রাশিস। বিলুর চরিত্রে জয়। কনীনিকা তারই স্ত্রী। বিলু ভাল সংস্থায় কাজ করে। এ দিকে আবার গান গায়। কাজের চাপে গান ক্রমশ পিছু হটতে থাকে। ‘‘একটা কনফ্লিক্ট অব জার্নি রয়েছে ছবিতে,’’ বলছিলেন পরিচালক।
ছবির জন্য প্রযোজক পেতে সমস্যা হয়েছিল। তার পর ইন্দ্রাশিসের এক বন্ধুই এগিয়ে এসেছেন। ‘‘সত্রাজিৎ সেন আর ‘আলেখ’ এগিয়ে এসেছিল বলেই কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারলাম। জানি না কত দিন হল মালিকেরা ছবিটা চালাতে দেবেন। তিন দিনে ভাল পার্সেন্টেজ না থাকলে ছবি নামিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন অনেকে,’’ বললেন ইন্দ্রাশিস। কনীনিকাও যেমন মনে করেন, ভাল ছবি কিছু দিন চলতে না দিলে খবরটা দর্শকের কাছে পৌঁছবে না। ‘‘দর্শককে তো জানতে হবে ‘বিলু রাক্ষস’ বলে একটা ছবি এসেছে। সেটা ভাল। তার পর তো তাঁরা দেখতে যাবেন। আমাদের তো বড় সংস্থার মতো বাজেট নেই যে, দারুণ ভাবে প্রচার করব। জানি না, ছবিটাকে কতটা সুযোগ দেওয়া হবে,’’ আশঙ্কা কনীনিকার গলায়।
‘বিলু রাক্ষস’ বিদেশে একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে। ইন্দ্রাশিস তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘পিউপা’র কাজও প্রায় সেরে ফেলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy