Advertisement
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Bickram Ghosh

Bikram Ghosh: নতুন ছন্দে বিক্রম-রসিকা-রাজেশ, অতিমারির মৃত্যুভয় মুছবে তাঁদের সুর-তাল-লয়?

বিক্রমের কথায়, তিনি নিজে অনেক ধরনের সুর সম্মেলন উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। কিন্তু কখনও তালবাদ্যের সঙ্গে বীণা আর বাঁশি মিলেমিশে একাকার হয়নি।

শুক্রবার সন্ধ্যা জমজমাট হবে পণ্ডিত বিক্রম ঘোষের তালবাদ্য, রসিকা শেখরের বাঁশি, আর রাজেশ বৈদ্যের ইলেকট্রিক বীণাতে।

শুক্রবার সন্ধ্যা জমজমাট হবে পণ্ডিত বিক্রম ঘোষের তালবাদ্য, রসিকা শেখরের বাঁশি, আর রাজেশ বৈদ্যের ইলেকট্রিক বীণাতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৪১
Share: Save:

তাল,রাগ, বাদ্য— তিনে মিলে ‘তারাভা’। কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটির উদ্যোগে টলি ক্লাবে শুক্রবার সন্ধ্যা জমজমাট হবে পণ্ডিত বিক্রম ঘোষের তালবাদ্য, রাজেশ বৈদ্যের ইলেকট্রিক বীণা আর রসিকা শেখরের বাঁশিতে। সুরের মিশ্রণ। বিক্রমের রুমস্কেপ, ড্রামস্কেপ, রিদমস্কেপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ বারের অনুষ্ঠানে নতুনত্ব কী? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তালবাদ্যকারের সঙ্গে। বিক্রমের দাবি, ‘‘আজ পর্যন্ত আমরা তিন জনে এক মঞ্চে কোনও দিন অনুষ্ঠান করিনি। ওঁরা নিজেদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রতিভাশালী। ইলেকট্রনিক বীণার পাশাপাশি রাজেশ খুব ভাল গানও গাইতে পারেন। ওঁদের কাজ এই প্রজন্ম ভালবাসে। তাই মনে হল, তালবাদ্যের সঙ্গে যদি এ বার সুর মিশে যায় তা হলে কেমন হয়? সেই ভাবনা থেকেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।’’

এই তিন সুরের মানুষের সঙ্গে ড্রামে থাকবেন সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়। কি- বোর্ডে সায়ন গঙ্গোপাধ্যায়।

সুরের মিশ্রণে নানা ধরনের ছন্দ, বাদ্যযন্ত্র, গান বহু বছর ধরে জায়গা করে নিয়েছে। বিক্রমের কথায়, তিনি নিজেও অনেক ধরনের সুর সম্মেলন উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। কিন্তু কখনও তালবাদ্যের সঙ্গে বীণা আর বাঁশি মিলেমিশে একাকার হয়নি। এ বার তাই হবে। ‘গোলন্দাজ’ ছবির সুরকারের এই বিশেষ সান্ধ্য অনুষ্ঠানে তা হলে কোন বয়েসের শ্রোতারা আসবেন? তালবাদ্যকারের কথায়, ‘‘আঠেরো থেকে আশি আমার বাজনা, সুর শুনতে ভালবাসেন। বৃহস্পতিবারে টলি ক্লাবে মহড়া দেওয়ার সময় থেকেই অনেকে জিজ্ঞেস করে গিয়েছেন, কবে, কখন শুরু হবে অনুষ্ঠান। এর থেকেই বুঝতে পারছি সব বয়সের মানুষই নতুনত্বের পূজারি। ফিউশন শুধুই এই প্রজন্মের নয়। পাশাপাশি, এই প্রজন্মও কিন্তু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখছেন। আমি নিজেও ফিউশনের পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠানও করি।’’

খাঁটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতও উঠে আসতে পারত এই তিন বাদ্যের মাধ্যমে। তা হল না কেন? বিক্রমের যুক্তি, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সাধারণত বেশি ভাল লাগে সভাগৃহে। চারপাশ ঢাকা কোনও স্থানে। ফিউশন সঙ্গীতে যেহেতু নানা ধরনের সুর, লয় থাকে তাই এই ধরনের অনুষ্ঠান উন্মুক্ত প্রাঙ্গনের পক্ষে উপযুক্ত। সেই ভাবনা থেকেই টলি ক্লাবের খোলা প্রান্তর মুখরিত হবে তিন ধরনের বাজনার ছন্দে, সুরে। সেই অনুযায়ী তিন বাদ্যকার নিজেদের পছন্দ বাছবেন। তাকে মিলিয়ে দেবেন বাকিদের বাজনার সঙ্গে। শুক্রবারের সন্ধ্যায় হাতে হাত রেখে আসবে রাগ ভৈরবী, যোগ, কিরওয়ানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE