Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

‘অন্য হিরোরাও তো প্রোডিউসার হয়েছেন, ডিফারেন্স দেখতে পাচ্ছেন?’ বলছেন দেব

পুজোয় হইচই করতে আসছেন দেব। অনিকেত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘হইচই আনলিমিটেড’ দেবের প্রোডাকশনের নতুন ছবি। তারই প্রোমোশন নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে। তার মধ্যেই নায়কের সাউথ সিটির অফিসে আড্ডা জমল চেনা মেজাজে। অন্য মুডে স্বরলিপি ভট্টাচার্যের কাছে ধরা দিলেন আনপ্লাগড দেব।পুজোয় হইচই করতে আসছেন দেব। অনিকেত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘হইচই আনলিমিটেড’ দেবের প্রোডাকশনের নতুন ছবি। তারই প্রোমোশন নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে। তার মধ্যেই নায়কের সাউথ সিটির অফিসে আড্ডা জমল চেনা মেজাজে।

দেব। ছবি: দেবের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

দেব। ছবি: দেবের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:২৩
Share: Save:

আপনি কি এমবিএ পাশ আউট?
হা হা হা...। এই প্রশ্ন কেন?

অ্যাজ আ প্রোডিউসার এত ডিফারেন্ট ওয়ে অব প্রোমোশন করছেন...
না। দেব এমবিএ করেনি। তবে দেব এটা জানে, প্রত্যেকটা ছবির কনটেন্ট যেমন আলাদা, তার প্রোমোশনও আলাদা হওয়া উচিত। গল্প তো আলাদা হয়, তা হলে প্রোমোশন এক করব কেন? এটা নিয়ে এক সময় প্রচুর তর্ক হত আমার অন্য প্রোডিউসারদের সঙ্গে। যখন আমার কোনও ছবি রিলিজ হত, আমি বলতাম ওই একই জিনিস তো করছি। মিডিয়াও এক রকমের প্রশ্ন করত। ফানি ইনসিডেন্টগুলো কী, ভাল মুহূর্তগুলো কী, কমন কোয়েশ্চেন। আমার মনে হত, এখান থেকে না বেরলে কিছু হবে না। যখনই কিছু করতে যেতাম বাধা আসত। প্রবাবলি সেটার জন্যই হয়তো নিজের প্রোডাকশন হাউজ খুলেছি। এটাই বোঝাতে চাইছিলাম, এক তো কনটেন্ট, আর প্রোমোশনও আলাদা হওয়া উচিত। এখন আমি দেখতেও পাচ্ছি, অন্যরাও পাল্লা দিয়ে অন্য রকম প্রোমোশন করছে। দেখে ভাল লাগছে।

ডিফারেন্ট আইডিয়া কি আপনারই ব্রেনচাইল্ড?
আই থিঙ্ক ইটস আ টিম ওয়ার্ক। সি, আই অ্যাম দ্য ডিসিশন মেকার। বাট আই ওনলি কান্ট টেক দ্য ক্রেডিট। আমার আইডিয়া এলেও সেটা এগজিকিউট করতে যে লোকগুলোকে লাগবে তারাই আমার টিম। আমার টিম দারুণ। যাদের ওপর আমি চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারি। মাত্র চার জনের টিম আমার...।

আরও পড়ুন, শ্রীলেখা-সিধুর ‘দাম্পত‍্য’... দার্জিলিঙে?

বাহ্, ‘চ্যাম্প’, ‘ককপিট’, ‘কবীর’— তিনটে ডিফারেন্ট সাবজেক্ট নিয়ে কাজ করার পর, আবার ‘হইচই আনলিমিটেড’ দিয়ে কমার্শিয়ালে ফিরলেন কেন?
ইটস ট্রু। কমার্শিয়াল। কিন্তু আপনার কি কোনও ডিফারেন্স মনে হচ্ছে না?

মানে?
দেখুন, কমার্শিয়াল মানে কী? কমার্স থেকেই তো শব্দটা এসেছে। মানে টাকা। ছবিটা যদি কোনও লোক দেখতে না যায়, মাত্র একটা পুরস্কার পায়, তা হলে প্রোডিউসার তো খুশি হতে পারে না। সে তো একটা টাকা ইনভেস্ট করেছে। সে তো টাকা রিটার্ন চাইবেই। আমার প্রত্যেকটা ছবির পিছনেই কিন্তু কমার্স লুকিয়ে ছিল।

উজবেকিস্তানে শুটিংয়ে দেব এবং খরাজ।

অন্য কমার্শিয়ালের থেকে ডিফারেন্স কোথায়?
লেট মি এক্সপ্লেন...। এই ছবিতে আমি তো চারটে হিরোকে নিতে পারতাম। এটা তো একটা ‘কেলোর কীর্তি’ হতে পারত। একটা ‘জিও কাকা’ও হতে পারত। খরাজদা (খরাজ মুখোপাধ্যায়) বা অপুদার (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) বদলে অন্য হিরোও হতে পারত। যেটা ইনিশিয়ালি ছিল হয়তো। কিন্তু ইটস ডিফারেন্ট। আমি চারটে হিরোকে না নিয়ে চারটে ক্যারেক্টারকে নিলাম। চার জন চারটে ওয়ার্ল্ড থেকে এসেছে। অর্ণ (মুখোপাধ্যায়) নাটকের জগত্ থেকে এসেছে। আপনি যতটা ওকে দেখতে পাচ্ছেন, ততটা আমাকে দেখতে পাচ্ছেন। ও তো হিরো।

অর্থাত্ এই ছবির চার জন হিরো?
ইয়েস। খরাজদার সঙ্গে আমি এত দিন শুধু কমেডি করেছি। আর একটা ছবিতে দুটো-তিনটে সিন। একটা ছবিতে খরাজদা কতটা পার্ট পায়? হয়তো চারটে ভাল সিন পায়। খরাজদার অভিনয় নিয়ে তো কোনও প্রশ্ন নেই। ট্রেলার রিলিজ করলে দেখবেন খরাজদা ফাইটও করছে। অর্থাত্, একটা হিরো যা যা করে সেটা শুধু দেব একা করছে না, আমার সঙ্গে অর্ণ, খরাজদা, অপুদা সকলে করছে। এটা কি নতুন ট্রিটমেন্ট নয়? দর্শক তো এখন শুধু গান দেখেছেন। ট্রেলার দেখলে বুঝবেন কনটেন্টও নতুন।

আরও পড়ুন, ‘ওহ ম্যাম, ইউ আর মাই ক্রাশ...’ জুন মালিয়াকে কে বললেন এ কথা?

এই ছবিতে তো উজবেকিস্তানকে রিভিল করেছেন আপনি?
এটাও খুব ইম্পর্ট্যান্ট পয়েন্ট। আজকে ট্রাভেলগ ছবি ক’টা হয়েছে বাংলায়? আপনি মনে করে বলুন তো...।

এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
মনে পড়বে না। কারণ ট্রাভেলগ নিয়ে বাংলায় এর আগে ছবি হয়নি। আমি কিন্তু চিপ ছবি করছি না। প্রেজেন্ট করছি মুম্বইয়ের মতো করে। আমি যবে থেকে প্রোডিউস করছি, সেই লুক অ্যান্ড ফিলটা তো আসছে। বলতে নেই, তবে ‘রেড চিলিজ’ থেকে, ‘যশরাজ’ থেকে ফোন আসে আমার অফিসে। জানতে চায়, তোমরা এটা কী ভাবে ক্র্যাক করলে? হুজ হ্যান্ডলিং দ্য পিআর অব ইয়োর টিম? সেটাকে মেনটেন করতে করতে গেলে আমার অন্য রকম কনটেন্ট চাই। চারটে আনইউজুয়াল হিরো নিয়ে আগে এমন ধরনের ছবিও তো কেউ ভাবেনি।

একটাই গান রিলিজ হয়েছে, এখনও পর্যন্ত। ‘সুজন মাঝি রে’...
(প্রশ্ন শেষ করতে না দিয়েই) গানের প্রেজেন্টেশনটা কী? বাথটব পরে চারটে ছেলে নাচছে। বাথ টাওয়েল পরে এমন পেপি নাম্বার কি হয়েছে আগে? আমার তো মনে হয় দেব এই রেকর্ডটা হোল্ড করে, সবচেয়ে বেশি বিদেশে যে হিরো নেচেছে, গান করেছে, সেটা হল দেব। সেই দেবই বিদেশে নাচছে। কিন্তু প্যাটার্নটা আলাদা। এখানে আমিই তো প্রোডিউসার। আমি চাইলেই তো ওদেরকে না নিয়ে গিয়ে একা ডান্স করতে পারতাম। কিন্তু চারটে ক্যারেক্টারকে সমান গুরুত্ব দিয়েছি। পোস্টারেও আমি তো একা আসতে পারতাম। কিন্তু চার জনকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য হিরোরাও তো প্রোডিউসার হয়েছেন, ডিফারেন্স দেখতে পাচ্ছেন তো?

অর্ণ এবং শাশ্বতও এই ছবির নায়ক।

নিজেকে একা দেখানোর লোভটা হয়নি?
না। দেখুন, আপনি যখন ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে ভাবছেন, আপনাকে এটা বুঝতে হবে, যখন কমার্শিয়াল ছবি রমরমিয়ে চলত, মানে আমি দাপটে কাজ করছি, আমার ‘রংবাজ’ তখন ব্লকবাস্টার। বিগেস্ট কালেকশন সে সময়। সে সময় আমি দুটো ছবি সাইন করেছিলাম। ‘বুনো হাঁস’ আর ‘চাঁদের পাহাড়’। এক মাসের এ দিক ও দিকে। তখন আমাকে প্রশ্ন করা হত, কেন তুই আঁতেল ছবি করছিস? আমার মনে হয়েছিল একই রকম কমার্শিয়াল ছবি করছি। কোথাও মনে হয়েছিল, না বস, নতুন কিছু করছি না। একই তো গান, একই তো নাচ। হুইচ ওয়াজ গুড। বক্স অফিসে রমরমিয়ে চলছে। প্রত্যেকটা পুজো প্যান্ডেলে গান বাজছে। এখনও কিন্তু প্যান্ডেলে পাগলু চলে। সেই সময় আমি অন্য ছবি করেছি।

অর্থাত্ আপনি রিস্ক নিয়েছিলেন, আজও নিচ্ছেন?
ইয়েস। তখন কর্মাশিয়াল ছবি সাকসেসফুল ফর্মুলা ছিল। আজ কিন্তু তা নয়। আজ বরং ‘ককপিট’ বেশি সেফ। ‘কবীর’ বেশি সেফ। এখন আমার মনে হল, লেটস কামব্যাক টু দ্য থিঙ্ক। কারণ আমার মনে হয়েছে আমার নতুন অনেক কিছু করার আছে। আজকে যেটা সবচেয়ে বেশি রিস্কি, সেই সাহসটা আমি দেখাচ্ছি। কারণ আই ডু দ্য রিস্কিয়েস্ট থিং। দর্শক হলে গিয়ে ছবিটা দেখুন, তার পর প্রশ্ন করুন। তাঁদের সেই অধিকার আছে।

আরও পড়ুন, জন্মাষ্টমীতে নতুন খবর দিলেন অদিতি

আপনার প্রোডিউস করা প্রথম ছবি ‘ধুমকেতু’ এখনও তো রিলিজই করল না...
দুঃখজনক। ‘ধুমকেতু’ এখনও রিলিজ করল না। কিন্তু ‘ধুমকেতু’ই আমার প্রথম ছবি। আজ সবাই প্রস্থেটিক মেকআপ নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু দেব চার বছর আগে করে ফেলেছে। আমি ৮২ বছরের লোকের চরিত্রে কাজ করেছি। সেই ফার্স্ট লুক দেখে লোকে চমকে গিয়েছিল। আই ওয়ান্ট টু বি অ্যাহেড অফ টাইম। অ্যাজ আ প্রোডিউসার আমার ওপর ভরসা রাখতে হবে। আমাকে তিনটে ছবিতে প্রোডিউসার হিসেবে দেখেছে মানুষ। কিন্তু আমার পাঁচ বছরের কেরিয়ার যদি দেখেন, আমার কাছে সব ধরনের ছবি আছে। একজন কাউকে তো সাহস দেখাতে হবে।

আপনার সঙ্গেই তা হলে এ বার পুজোয় বেড়াতে যাবেন দর্শক...
হা হা হা...। পুজোর সময় বাঙালি বেড়াতে ভালবাসে। যার যতটুকু ক্ষমতা। কেউ হয়তো দিঘা গেল, কেউ মন্দারমণি, কেউ বিদেশ। এই ডায়লগগুলোও কিন্তু সিনেমায় আছে। বিদেশে যাওয়ার পর ছেলে হোক বা মেয়ে, মানে, বন্ধুদের গ্রুপ যা যা করে, যা যা ভাবে, ছবিটা দেখে অডিয়েন্স সেটা রিলেট করতে পারবে। বিবাহিত লোকেরা বেশি রিলেট করতে পারবেন, যাঁরা বিবাহিত নন, তাঁরাও রিলেট করতে পারবেন।

উজবেকিস্তানকে অন্য ভাবে এই ছবিতে দেখিয়েছেন দেব।

এত জন অভিনেতাকে নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হয়নি?
বাবা...। সমস্যা আবার হয়নি! (দু’হাত জড়ো করে কপালে ঠেকালেন) ‘হইচই’ খুব ডিফাকাল্ট ফিল্ম, ডিফাকাল্ট ফ্যাঞ্চাইজি, অ্যাজ আ প্রোডিউসার। আমি তো দিব্যি খেয়েছিলাম, যে আর করব না। কিন্তু আমাদের পরের ছবিটাও প্ল্যান হয়ে গিয়েছে। এর পর উই আর লুকিং ফর আ ডেস্টিনেশন। দ্যাট শুড বি আ ভার্জিন লোকেশন। চেষ্টা করব, যেটা ভারতীয় ছবিতে আগে দেখানো হয়নি। যেমন, উজবেকিস্তান এর আগে ভারতীয় ছবিতে দেখানো হয়নি। সে জন্য আরও ফ্রেশ লাগছে। এত অ্যাক্টর, তাঁদের ডেট অ্যাডজাস্ট করাটা খুব ডিফিকাল্ট। খরাজদা ব্যস্ততম অভিনেতা। অপুদা যত না টলিউডে কাজ করে, তার থেকে বেশি বলিউডে কাজ করে। তার পর লোকটা আবার ফোন ইউজ করে না (অট্টহাসি)। সকাল ন’টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠতে হত আমাকে, বা রাত ১২টার পর ফোন করতে হত। তার পর রনিদা। সে আরও ব্যস্ত। সিরিয়ালের অভিনেত্রীরা ছিল। কনীনিকা, মানসীদি, তাদের ডেট ম্যানেজ করতে অবস্থা খারাপ...। রোজার মতো মডেল আছে, পুজো আসছে, ভীষণ ব্যস্ত এখন ও। পূজা মুম্বইতে ব্যস্ত। তাকে চার মাস আগে ডেট দিতে হবে, না হলে সে ছবিটা করতে পারবে না। তার পর কৌশানী, প্রত্যেক মাসে একটা করে ছবি বেরচ্ছে। আমি তো দেখলাম, আমার কাছেই কোনও কাজ নেই (হা হা হা...)।

আরও পড়ুন, বিয়ের পর কতটা বদলেছে ঋদ্ধিমার জীবন?

উজবেকিস্তানে যে ভালই ‘হইচই’ হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে...।
৬৫ জনের টিম নিয়ে কাজ করেছি উজবেকিস্তানে। ২১ দিনের শিডিউল। আমার জীবনে স্মৃতিতে থাকবে এই ছবিটা।

আর এক মাস বাকি রিলিজের। ডেফিনিটলি প্রোমোশন প্ল্যান রেডি...
অফকোর্স। আমাদের বিশ্বকর্মা পুজোর থিম আলাদা। ফ্ল্যাশ মব শুরু হবে ১২ তারিখ থেকেই। পশ্চিমবঙ্গের ৮০টা জায়গা আমরা বেছে নিয়েছি। বর্ধমান, আসানসোল, শিলিগুড়ি গিয়ে ১০ জনের একটা টিম ফ্ল্যাশ মব করবে। এটাই তো হইচই। ‘হইচই’-এর জন্য এটা তো করতেই হবে।

আচ্ছা, যে গানটা রিলিজ হয়েছে, ‘সরাসরি মারো ঝাড়ি, উঁকিঝুঁকি না...’ এটাই কি দেবের সাজেশন?
হা হা হা...। দেখুন, এই কথাটা কেউ বলে না। কিন্তু মনের মধ্যে চলতে থাকে। শুধু ছেলেরা না, মেয়েরাও। সবাই ঝাড়ি মারে। চোখ, মন এমন জিনিস, কন্ট্রোলে থাকে না। যে কোনও সুন্দর জিনিসের ওপর চোখ তো যাবেই। আমার মনে হয়, কারও ক্ষতি না করে, কাউকে দুঃখ না দিয়ে কিছু করলে তো কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু তোমার কেউ আছে, তা-ও ঝাড়ি মারছ, সেটা আনফেয়ার। ডোন্ট হার্ট এনিওয়ানস্ ইমোশন।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE