Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

‘সৃজিত বলত, পাক্কা আছে…’

টানা টানা চোখ। মায়া জড়িয়ে আছে মুখে। ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ক্লাস সিক্সের পড়ুয়া বাংলার থেকে ইংরেজিতে কথা বলতে বেশি স্বচ্ছন্দ। কিন্তু তাতেও তাকে ‘উমা’ ভাবতে একটুও অসুবিধে হচ্ছে না। সে সারা।

‘উমা’য় সারা। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।

‘উমা’য় সারা। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।

স্বরলিপি ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৮ ১২:২৫
Share: Save:

টানা টানা চোখ। মায়া জড়িয়ে আছে মুখে। ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ক্লাস সিক্সের পড়ুয়া বাংলার থেকে ইংরেজিতে কথা বলতে বেশি স্বচ্ছন্দ। কিন্তু তাতেও তাকে ‘উমা’ ভাবতে একটুও অসুবিধে হচ্ছে না। সে সারা। যিশু-নীলাঞ্জনার কন্যাকে আসন্ন ছবি ‘উমা’র জন্য পছন্দ করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর পছন্দটা যে পারফেক্ট তা রিলিজের আগেই মেনে নিচ্ছেন দর্শকদের একটা বড় অংশ।

উমা ইজ ট্রেন্ডিং

সারার বন্ধুরা তার ডেবিউ ফিল্ম নিয়ে খুব এক্সাইটেড। প্রযোজক সংস্থা এসভিএফ-এর অফিসে বসে সারা বলল, ‘‘আমার অনেকগুলো বেস্ট ফ্রেন্ড। যশ, ধীমান, অভিষিক্তা, জিনেট, সাহির সবাই বেস্ট ফ্রেন্ড। ওরাই আমাকে বলল, উমা ইজ ট্রেন্ডিং নাম্বার ওয়ান ইন ইন্ডিয়া ইন ইউটিউব।’’

প্রথম ছবি

‘উমা’ সারার প্রথম ছবি। কিন্তু সারা যে প্রথমবার ক্যামেরা ফেস করেছে, তা কিন্তু দেখে মনে হয়নি তার কো-স্টারদের। যদিও ওর দাবি, ‘‘প্রথম ছবি তো। নার্ভাস লাগছিল প্রথমে। কিন্তু বাবা ছিল, তাই কমফর্টেবল ছিলাম। সৃজিতও খুব কমফর্টেবল ছিল।’’

আরও পড়ুন, ‘উমা হয়তো ১৫ মিনিট দেখে বেরিয়ে আসব...’

‘উমা’র সঙ্গে সারার কতটা মিল?

এই প্রশ্নটায় এসে বেশ উত্তেজিত সারা। কারণ প্রথম যখন গল্পটা শুনেছিল, তখনই ওর মনে হয়েছিল উমা যা ভালবাসে, সারাও তার অনেক কিছুই ভালবাসে। সোফায় রিল্যাক্স করতে করতে তার উত্তর, ‘‘আমার মনে হয় এখানে একটা লিঙ্ক আছে। খুব ইন্টারেস্টিং। উমা অ্যান্ড সারা আর রিলেটেড টু ইচ আদার। উমা স্পোর্টি। সারাও স্পোর্টি। আমার তো বাস্কেটবল ভাল লাগে, স্প্রিন্টিংও ভাল লাগে।’’


‘উমা’র দৃশ্যে সারা।

সৃজিত বলত, পাক্কা আছে

সারাকে নিজের মতো করে অভিনয় করার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন সৃজিত। সে কথা আগেই সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন যিশু। সারার গলাতেও শোনা গেল একই সুর। গল্প করতে করতে সে শেয়ার করল, ‘‘ওরা সিনটাকে বলে দিত। আমাকে শুধু রিঅ্যাক্ট করতে হত। শুটিং যখন হচ্ছিল, বাড়িতেও অনেক কথা হত। সেটে সবাই হেল্প করেছে। ধরুন একটা লাইন দিয়েছে, একটু ডিফিকাল্ট লাগছে, তখন আমি একরকম ভাবে ফ্রেম করতাম। কিন্তু যা স্ক্রিপ্টে লিখেছে মিনিং সেম রাখতাম। সেটা যখন বলতাম, করব? সৃজিত বলত, ‘পাক্কা আছে। তুমি আর একটু ইজি করে বলে দিলে, সেম মিনিং আছে।’ সবাই খুব সাপোর্টিভ ছিল।’’

আরও পড়ুন, সারাকে লেখা যিশুর চিঠি…

আমি কাউকে ট্রাবল দিতে চাইনি

প্রথম ছবি। কিন্তু প্রত্যেক পদক্ষেপে প্রফেশনালিজমের ছোঁয়া রেখে গিয়েছে সারা। একটা শটে এমন একটা জায়গা দিয়ে দৌড়তে হয়েছিল যেখানে অনেক কাঁটা ছিল। পায়ে সেই কাঁটা ফুটলেও কাউকে কিছু বলেনি সারা। তারপর? ‘‘ফার্স্ট শট হয়েছে, আমি কাউকে বলিনি ব্যথা করছে। ফার্স্ট শট হওয়ার পর বলল, আর একটা শট নেব। আমি তখনও কাউকে বলিনি। আমার স্কিনে লাগছিল কাঁটাগুলো। ব্যথা করছিল। দৌড়তে দৌড়তে সবাই বলছিল, খুব ভাল হচ্ছে। হঠাত্ করেই সবাই দেখল সারা নেই। সারা কোথায় গেল? ক্যামেরা প্যান করছে। হোয়্যার ইজ সারা? সবাই দেখল, আমি নীচে পড়ে গিয়েছি। বাবা ফ্র্যাকশন অফ আ সেকেন্ড বুঝেছিল, সামথিং ইজ রং। দৌড়ে এসে আমাকে কোলে তুলে নিয়েছিল। দেখল হাতে, পায়ে সব জায়গায় কাঁটা ভর্তি। আমি কাউকে ট্রাবল দিতে চাইনি, তাইব্যথা হলেও বলিনি কাউকে।’’


এই দৃশ্যের শুটিংয়েই সারার গায়ে কাঁটা ফুটেছিল।

নিনি, চিনির গল্প

সারার ডাকনাম নিনি। আর তার বোন জারা অর্থাত্ চিনিও এই ছবিতে অভিনয় করেছে। নার্সারির পড়ুয়া জারাকে দু’তিনটে শটে দেখা যাবে। কিন্তু ট্রেলার দেখে কী বলেছে জারা? সারা হাসতে হাসতে বলল, ‘‘জারা ট্রেলার দেখছে আর বলছে, ওয়াও, আমি নেই কেন? ও আমাকে দেখতে পাচ্ছে, ওকে দেখতে পাচ্ছে না। আর আমি যখন বেরব বলে রেডি হই, ও বলে আমিও চুল করব, আমিও মেকআপ করব। ও আসলে প্রত্যেকটা স্টেপে আমাকে ফলো করে। আমি মা-বাবা দু’জনকেই ফলো করি। আর ও আমাকে ফলো করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE