• বিরসা দাশগুপ্তের ‘ক্রিসক্রস’-এও তো প্রথমে রাজি হয়েছিলেন। পরে আর করলেন না।
একেবারে ভুল কথা। আমি তো স্ক্রিপ্ট পড়িনি। বিরসা তো তার আগেই নামটাম সব ছাপিয়ে দিল। আমাকে ফোনে বলেছিল, আমি একটা ছবি করছি। তাতে পাঁচ জন মেয়ে আছে। তোর চরিত্রটা শুনলে না করতে পারবি না। তার পর গিয়ে দেখলাম পোস্টারে আমার নাম দিয়ে দিয়েছে। তখন বিরসাকে বলেছিলাম, দাঁড়া স্ক্রিপ্ট আগে পড়ি। তার পর হয়তো করলামই না, তখন কিন্তু পুরো কেস খাবি।
• সেটাই তো হল?
হ্যাঁ। তাই তো। স্ক্রিপ্টটা পড়ে আমার রোলটা ভাল লাগেনি। দেখুন ‘আমি আসব ফিরে’তে যে চরিত্রটা করেছি, তার পরে যা ছবি করব, সেই চরিত্রগুলোয় পারফরম্যান্সের সেই লেভেল থাকতে হবে বা তার থেকে বেটার কিছু হতে হবে। তার থেকে কম হলে আমি কেন করব? আমি তো অর্ডিনারি কিছু করতে চাইব না।
আরও পড়ুন, ‘হয়তো রাজনীতির শিকার হয়েছি কোথাও...’
• নাকি, ওখানে আরও অনেক নায়িকা রয়েছেন বলে রাজি হলেন না?
দেখুন, ২২ বছরের মেয়ের মায়ের পার্ট করতে যদি অসুবিধে না হয়, তা হলে ওখানে পাঁচ জন থাকলে আমার কী হবে? যে ছবিতেই অভিনয় করি না কেন, সেখানে বাকিরাও তো থাকে। মেনস্ট্রিম হিরোইন হয়তো থাকে না। কিন্তু বাকি অ্যাক্টরসরা তো থাকে।
• শোনা যায়, ভেঙ্কটেশের সঙ্গে আপনি ঝগড়া মিটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ওদের প্রযোজনায় ‘ক্রিসক্রস’ করলেন না। ‘দুপুর ঠাকুরপো’ করবেন না। এতে সম্পর্ক নষ্ট হয় না?
আরে ওরাও তো প্রফেশনাল অ্যাট দি এন্ড অব দ্য ডে। ফলে এক জন অভিনেতার রোল পছন্দ হয়নি, তাই ছবি করেনি। সেটা কেনই বা একটা ইস্যু হতে যাবে? তা ছাড়া ঝামেলা হলে হবে। ঝামেলা হবে ভেবে, যা পছন্দ নয় সেটা করব না। কোনও দিনই করলাম না। এখন কেন করতে যাব? সেটা তো কেরিয়ারের শুরু থেকেই করতে পারতাম। ওই ইনসিকিওরিটিটাতেই তো মানুষ মরে। এটা বাবা বলব না, ও আমাকে কাজে ডাকবে না। ওই টাকাটা চাইব না, না হলে পরের ছবিতে নেবে না। যার যখন আমাকে প্রয়োজন পড়বে নেবে। ১৭ বছর পর এটা তো করবই না।
আরও পড়ুন, পুরনো প্রেম থেকে কী শিখলেন ইমন?
• মুম্বইতে নতুন কাজ কিছু করলেন?
এই তো একমাস ভোপালে ছিলাম। কে কে মেননের সঙ্গে একটা ছবি করলাম। ইটস লাইক আ ড্রিম কাম ট্রু ফর মি।
• বাহ! কী ছবি?
ছবিটার নাম ‘লাভ অল’। ব্যাডমিন্টনের লাভ অল। সুধাংশু শর্মা ডিরেক্টর। ওটা আমার কাছে ফ্যান মোমেন্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি তো শুটিংয়ের দু’দিন আগে চলে গিয়েছিলাম। যাতে ফ্যান মোমেন্টের ব্যবস্থা করে নিতে পারি। না হলে তো ডায়লগই ভুলে যাব। মাথা জ্যাম হয়ে থাকবে। হা হা হা…।
• এ ছাড়া আর কোনও কাজ চলছে?
কথাবার্তা চলছে। বলিউডে বড় ব্যানারের ছবি। আমি এখান থেকে অনেকগুলো অডিশন করে পাঠালাম। ওরা অনেক সময় নিয়ে কাজ করে। একটা ছবির পিছনে অনেক সময় দেয়। এক জন ডিরেক্টর হয়তো দু’বছরে তিন বছরে একটা ছবি করে। আমাদের এখানে তো অর্ধেক পরিচালকই একটা ছবি অর্ধেক বন্ধ হয়ে পড়ে থাকার পরও আর একটা ছবি করতে শুরু করে দেয়।