কণিকা কপূর।
করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফিরেছেন ভারতের সর্বপ্রথম করোনা আক্রান্ত সেলেব কণিকা কপূর। আর ফিরেই তাঁকে পড়তে হল পুলিশি তলবের মুখে।সংবাদ সংস্থা সুত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার লখনউ পুলিশ তাঁর বাড়িতে একটি নোটিস পাঠিয়েছে। আর সেই নোটিসেই আগামি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তাঁকে থানায় তাঁর বয়ান জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে থাকার সময় কণিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ২৭০ এবং ১৮৮ ধারা অনুযায়ী, সংক্রামক ব্যধি ছড়ানো এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশ অমান্য করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করেছিল লখনউ পুলিশ। কণিকা সুস্থ হতেই এ বার তলব শুরু করলেন তাঁরা।
গত ১৫ মার্চ লন্ডন থেকে দেশ ফিরেছিলেন কণিকা। কিন্তু নিজেকে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিন করে রাখার পরিবর্তে বেশ কয়েকটি পার্টিতে যান তিনি। সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং তাঁর পুত্র সাংসদ দুষ্মন্ত সিংহ-ও। বসুন্ধরা-দুষ্মন্ত ছাড়াও ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের আরও ৯৬ জন সাংসদ। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, প্রাক্তন সেনা প্রধান ভি কে সিংহ, গজেন্দ্র শেখাওয়াত, অর্জুন রাম মেঘাওয়াল, কৈলাস চৌধুরি, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর, হেমা মালিনী, রীতা বহুগুণা, সাক্ষী মহারাজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন- করোনার ছোঁয়ায় দীপিকা-প্রিয়ঙ্কাদের টপকে টপে চলে গেলেন কণিকা
নির্দেশিকা অমান্য করে কণিকার এই অবিবেচক কাজে সরব হয়েছিল সাধারণ থেকে সেলেব মহল।
যদিও রবিবার নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে একটি বড়সড় পোস্ট করেন 'বেবি ডল' গায়িকা। তিনি লেখেন, "আমার বিরুদ্ধে অনেক গল্প বানানো হয়েছে। চুপ ছিলাম বলে তা সত্যি মনে করে নেওয়া হয়েছে। চুপ ছিলাম মানে এই না যে আমি ভুল ছিলাম, সত্যি যাতে ঠিক সময়ে প্রকাশ হতে পারে সে প্রতীক্ষাতেই ছিলাম আমি। কারও সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য ছড়ানো মানেই তা সত্যি বদলে দিতে পারে না।"
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য কী করবেন কণিকা? এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy