আমার সিনেমা দুনিয়ার ‘মা-বাবা’ সন্ধ্যা রায়, তরুণ মজুমদার। সবাই বলেন, ওঁরা আমায় আবিষ্কার করেছেন। আমি জানি, আমি তখন এক তাল মাটির ঢেলা। ওঁরা দু’জনে মিলে সেই মাটি থেকে মূর্তি বানিয়েছেন। তাতে প্রাণ ঢেলেছেন। ‘চুমকি’ থেকে ‘দেবশ্রী’ হয়ে নতুন জন্ম হয়েছে আমার। সেই ‘বাবা’ আর নেই। ওঁর পারলৌকিক কাজ করব। তনুদা সব সময় বলতেন, ‘‘মা রে, আমার তো কোনও সন্তান নেই। তুই, মৌসুমী আর মহুয়া আমার তিন মেয়ে। যখন থাকব না তোরাই শেষ কাজ করবি।’’ বাবার কথা ফেলি কী করে?
মুখাগ্নি করতে পারব না। ওই নিষ্ঠুর কাজ আমার দ্বারা হবে না। আমার বাবা, মা, দাদার সময়েও এই কাজ করিনি। আমি দেখতে পারি না। বাকি সব নিয়ম পালন করব।
সকাল থেকেই সন্ধ্যা রায় ফোনে অঝোরে কাঁদছেন। আর সমানে বলছেন, ‘‘তুই আমার কাছে চলে আয়। তোকে আমার এখন খুব দরকার। আমি একা একা আর পারছি না।’’ আমি উল্টে মৃদু ধমক দিয়েছি, ‘‘এত কান্নাকাটি করছ কেন? কিচ্ছু হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। মানুষের কি শরীর খারাপ হয় না?’’ আমিই ভুল ছিলাম। ভাল-মন্দ সবটাই সবচেয়ে কাছের মানুষ সবার আগে বুঝতে পারেন, এটা বুঝতে পারিনি। সকালে মানত করা পুজো দিতে বেরিয়েছি। ফোন পেয়েই গাড়ি ঘুরিয়ে ওঁর কাছে যাচ্ছি। সন্ধ্যাদিও খুবই অসুস্থ। কোভিডের পর থেকে প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে গিয়েছেন।