ইনি আসলে কে?
অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে এখন তিনি প্রথম সারির সদস্য। এখন তিনি অনেকের কাছেই আদর্শ। তিনি অর্থাত্ দীপিকা পাড়ুকোন।
কিন্তু কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো এত মসৃণ ছিল না। নানা রকম পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাঁকেও। সমালোচনা শুনেছেন। এমনকি সেক্সিস্ট মন্তব্য থেকেও ছাড় পাননি নায়িকা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে দীপিকা শেয়ার করেছেন, কেরিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর ‘ভালর জন্য’ জ্ঞান দেওয়ার মোড়কে স্তনের গঠন নিয়েও কথা শুনিয়েছিলেন অনেকে। তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই মনে করতেন, এই ভাবেই হয়তো বলিউডের পরিচালক বা প্রযোজকদের নজরে পড়া সম্ভব। কিন্তু তিনি চিরকালই নিজের শর্তে বাঁচেন। ফলে অভিনয় ছাড়া অন্য কোনও ভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে চাননি দীপিকা।
আরও পড়ুন, কী ভাবে ফিগার মেনটেন করেন মোনালিসা?
‘ওম শান্তি ওম’ দিয়ে শাহরুখের বিপরীতে দীপিকার ডেবিউ হয়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তখন হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন, এই মেয়ের এগিয়ে যাওয়া নিছকই স্বপ্ন। কিন্তু সেই সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করেছেন দীপিকা। তিনি খেলোয়াড় হতে চাইতেন। কোনওদিনই মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেননি।
নিজের জীবনের অনেক অজানা কথা সামনে এনেছেন দীপিকা। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
দীর্ঘ কেরিয়ারে ডিপ্রেশনেরও শিকার হয়েছিলেন দীপিকা। তাঁর মতে, ঠিক সময়ে ডিপ্রেশন ধরা না পড়লে কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্য ভাল যে, চরম পরিস্থিতিতে পৌঁছনোর আগেই তাঁর ডিপ্রেশন ধরা পড়েছিল।
আরও পড়ুন, ‘অন্দরকাহিনির শুটিং আমার কাছে বাঁচার এক্সকিউজ ছিল’
সব মিলিয়ে নিজের জীবনের অনেক অজানা কথা সামনে এনেছেন দীপিকা। আর তার থেকেই উঠে এসেছে এই চরম সত্য। সেক্সিস্ট মন্তব্য বলি মহলের আনাচে-কানাচে প্রতিদিনই সামলাতে হচ্ছে অনেককেই।
এর আগে কখনও সোনম কপূর, কখনও বা সোনাক্ষী সিংহকে এই ধরনের মন্তব্য শুনতে হয়েছে সোশ্যাল ওয়ালে। কখনও নায়িকারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছেন। কখনও বা গোটা বিষয়টা অবজ্ঞা করেছেন। কিন্তু এ ভাবে প্রকাশ্যে কি কাউকে সেক্সিস্ট মন্তব্য করা যায়? তার কোনও শাস্তি নেই কেন? বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, কেন এ দেশ থেকে ‘মিটু’র মতো প্রতিবাদের সূচনা হয় না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy