‘জয়ী’র চরিত্রে দেবাদ্রিতা।
ফুটবল বিষয়ক যাবতীয় উন্মাদনা যেন ছেলেদের একচেটিয়া। এখনও অনেকেই মনে করেন, ফুটবল কেবল ছেলেরাই খেলতে পারে। কিন্তু মেয়েরাও যে কম যান না, তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি একাধিকবার।তেমনই এক ফুটবল পাগল মেয়ের গল্প আমরা দেখছি ‘জয়ী’ ধারাবাহিকে।
‘জয়ী’র চরিত্রে অভিনয় করছেন দেবাদ্রিতা।তিনি কি আদৌ ফুটবল ম্যাচ দেখেন? প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বললেন,‘‘অবশ্যই। বিদেশ বসু আমার দাদু। দাদু মোহন বাগানে খেলতেন। স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে ফুটবল নিয়ে চর্চা হত। যদিও আমাকে ফুটবল দেখতে দিতেন না মা,পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে।’’
তবে দেবাদ্রিতা নিজে কোনও দিন ফুটবল খেলেননি। তাঁর কথায়,‘‘জয়ী হয়ে ওঠার জন্য একজন ফুটবলারের স্ট্রাগল ফিল করতে হয়েছে।প্রথমদিকে খুব সমস্যা হত। কারণ জয়ী খুব স্ট্রং একজন মেয়ে। একজন ফুটবল প্লেয়ারের জীবনে অনেক স্ট্রাগল থাকে। সব বাধা টপকে তাকে এগিয়ে যেতে হয়। সব প্লেয়ারের জীবনেই স্ট্রাগল থাকে। সেগুলো বুঝে নিতে হয়েছে।’’
সিরিয়ালের একটি দৃশ্যে সহ অভিনেতার সঙ্গে দেবাদৃতা।
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, বিয়ের আগে জয়ী খুব ইনোসেন্ট ছিল। তার স্বপ্ন, তার ধ্যানজ্ঞান ছিল ফুটবল। অনাথ জয়ী মামা-মামির কাছে বড় হয়। মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে ফুটবল খেলতে খেলতে ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি জয়ীর ভালবাসা তৈরি হয়। কিন্তু বিয়ের পর তাকে অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। শ্বশুরবাড়ির সবাইকে বুঝিয়ে তবেই সে ফুটবল খেলার অনুমতি পায়।
তা হলে কি একজন মেয়ে ফুটবলারকে ছেলেদের থেকে অনেক বেশি বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আসতে নয়। দেবাদৃতার কথায়, “বিয়ের আগে গ্রামে যখন জয়ী ফুটবল খেলত, তখন গ্রামের সবাই ব্যঙ্গ করত। বাস্তবে এমনই হয়। মেয়েরা নির্দিষ্ট কিছু কাজই করবে। এমন ধারণা এখনও আছে। ধারাবাহিকের গল্পে তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর মেয়ে হয়ে ফুটবল খেলবে সে বিষয়ে আপত্তি ধীরে ধীরে কেটে গিয়েছে। এখন শ্বশুরবাড়ির প্রায় সকলের ইচ্ছে জয়ী আরও ভাল ফুটবল খেলুক। আমিও চাই যে মেয়েরা বেশি করে ফুটবল খেলুক। সফল হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy