হানি বাফনা।
বকুলের সঙ্গে পর্দা ও তার বাইরে আপনার কেমন সম্পর্ক?
দর্শক জানেন, অন স্ক্রিন আমাদের মধ্যে মিচকে মিচকে ভালবাসা আছে। পুরোপুরি কেউই প্রকাশ করতে পারছি না। দু’জনেরই মনে হচ্ছে, হ্যাঁ ভালবাসি। পরক্ষণেই মনে হচ্ছে, না, ভালবাসি না। এ দিকে বকুল ভাবছে, এক বছর পর তো চলে যেতে হবে। ও দিকে ঋষি ভাবছে যে, এক বছর বাদে উনি চলে যাবেন না তো? অফ স্ক্রিন যদি বলেন তো আমরা খুবই ভাল বন্ধু।
হানি ও ঋষির মধ্যে মিল আছে?
সত্যি কথা বলতে, আমাকে যখন চরিত্রটা ব্রিফ করা হয় তখন আমার মনে হয়েছিল হানি ও ঋষির সঙ্গে প্রায় থার্টি পারসেন্ট মিল আছে। এ জন্য আমার খুব ভাল লেগেছিল। আর এখন, মানে এক বছরের বেশি ঋষি চরিত্রটি করে ফেলার পর সেভেন্টি ফাইভ পারসেন্ট মিল দেখতে পাই। ঋষির মনে যে কথা থাকে সেটাই মুখে থাকে। হানির ক্ষেত্রেও তাই। সুযোগ-সুবিধা বুঝে সবটাই আমি মুখে বলে দিই। আর দ্বিতীয় কথা লয়্যালটি বলতে পারেন। ঋষি যে রকম লয়্যাল তার ভালবাসার মানুষের কাছে, হানিও কিন্তু তাই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, এই চরিত্রে অভিনয় করতে আমার কতটা ভাল লাগছে।
আপনি ফ্যানদের প্রতিও লয়্যাল?
হ্যাঁ। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনঅ্যাকটিভ। তাই সরাসরি কথা হয় না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন যাই তখন তাঁদের ভালবাসা বুঝতে পারি। রাস্তায় বেরোলেও বুঝতে পারি।
কোনও ঘটনা মনে পড়ছে?
এক বার মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলাম, দিদার বাড়ি। বাড়ির পাশের ক্লাবে গিয়েছিলাম। ওখানে প্রায় তিন-চারশো লোক জমে গিয়েছিল আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য। ওখান থেকে বেরিয়ে গাড়িতে যখন উঠতে যাচ্ছি তখন কুড়ি-একুশ বছর বয়সের একটি মেয়ে সাইকেলে যাচ্ছিল। আমাকে দেখে হঠাৎ সাইকেল থেকে নেমে পাগলের মতো দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, আপনি আমার সামনে!’’
আরও পড়ুন: ঈশার সঙ্গে নীতা অম্বানীর বিয়ের এই সব মিল রয়েছে!
এক জন ইয়ং মেয়ে আপনাকে জড়িয়ে ধরলো?
(লাজুক হাসলেন)।
আপনি কী করলেন?
আমি তাকে বললাম, ‘‘আমি আপনার মতোই রক্তমাংসের মানুষ। এ রকম করবেন না। টেলিভিশনে কাজ করি বলে এ রকম মনে হচ্ছে। আদারওয়াইজ আমিও কিন্তু আপনার মতোই।’ তার পর আমার অটোগ্রাফ নিল, সেলফি তুলল। তো এই যে ওই মেয়েটির মুখে হাসি দেখলাম সেটাই আমার প্রাপ্তি।
আপনার অভিনয়ে আসার জার্নিটা কেমন?
আমি তো মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিলাম। হঠাৎ করে ইচ্ছে জাগে যে আমি এই প্রফেশনে আসবো। তো এই প্রফেশনে থাকা আমার পরিচিত কয়েক জন আমাকে হেল্প করে। তাদের সাহায্যে প্রথমে আমি জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে শুরু করি। প্রথম দিকে ছোট ছোট চরিত্র করতাম। হঠাৎ করে বড় ব্রেক পেলাম। বড় ব্রেক বলতে সেকেন্ড লিড হিসেবে চান্স পাই। কিন্তু আবার আমাকে জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে হয়। কারণ এর পরে আর বড় ব্রেক পাচ্ছিলাম না। আমি যখন ভাবছিলাম যে আবার পুরনো পেশায় ফিরে যেতে হবে অভিনয় ছেড়ে, কারণ আমার ফ্যামিলিকে দেখতে হবে, ঠিক তখনই আবার বড় ব্রেক পাই।
আরও পড়ুন: সাহস আর সদিচ্ছাই কি পারবে ভাল বাংলা ছবির ‘রিইউনিয়ন’ ঘটাতে?
বাড়িতে আপনার অভিনয় নিয়ে কেউ কিছু বলেন?
বাবা টেক্সট করতে থাকেন, ‘তোর অভিনয় দেখলাম। ওই সিনটা দারুণ করেছিস।’ বাবা তো, একটু বাড়িয়েই বলে।
টেক্সট করে বলেন? একসঙ্গে থাকেন না?
হ্যাঁ। আমারা একসঙ্গেই থাকি। কিন্তু আমাদের তো দেখা হয় না। সকালে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসি শুটিংয়ে। আর সেই রাত দশটা নাগাদ ঘরে ফিরি। তাই টেক্সট করে। জানে ফোন করলে পাবে না।
আরও পড়ুন: এই মরসুমে বিয়ে হল বলিউডের এই স্টার কিডেরও, কে জানেন?
ফ্যামিলির সঙ্গে তা হলে সময় কাটানো হয় না?
সত্যি কথা, আগের থেকে ফ্যামিলির সঙ্গে সময় কাটানো অনেক কমে গিয়েছে। রাতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ওরা বুঝতে পারে যে এত খাটাখাটনি হচ্ছে, আমার রেস্ট দরকার। তাই অভিযোগ করে না।
আপনার রোম্যান্টিক লাইফ...
রোম্যান্স? সে তো সব সম্পর্কেই থাকে...(লাজুক হেসে) আমি সিঙ্গল। এখন শুধুই কাজ কাজ আর কাজ।
অভিনয় নিয়ে আপনার প্ল্যানিং?
সিরিয়াল করে খুশি। কিন্তু আমি সিনেমায় অভিনয় করতে চাই। অফার পাচ্ছি। সময় দিতে পারছি না। ভাল অভিনয় করতে চাই, মাধ্যম যা-ই হোক। এটাই আমার টার্গেট।
সিরিয়াল করে স্যাটিসফায়েড নন?
আই অ্যাম ভেরি মাচ স্যাটিসফায়েড। কিন্তু একটা কথা আছে, সিরিয়াল আজ দেখলে কালকে লোকে ভুলে যায়। আর এখানে একটা চরিত্রই অনেক দিন ধরে করি। সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্র করার সুযোগ আছে। সে জন্য এবং আমি লোকের মনের মধ্যে বসতে চাই। তাই সিনেমা করতে চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy