ক্যাটরিনা কাইফ। নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে অনুরাগ বসুর ‘জগ্গা জাসুস’ মুক্তি পাচ্ছে চার বছর পর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানই শুধু নয়, ছবিতে রণবীর কপূর আর ক্যাটরিনা কাইফকেও যে সাত বছর পর আবার একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে! ফিল্মটা নিয়ে আগ্রহের আরও একটা কারণ, এই ছবির শ্যুটিং চলাকালীন ব্রেক আপ হয়ে যায় নায়ক-নায়িকার। মুম্বইয়ের মেহবুব স্টুডিয়োয় বসে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে কথা বললেন ক্যাটরিনা কাইফ...
প্র: চার বছরে কখনও ‘জগ্গা জাসুস’ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল?
উ: আসলে চার বছরে আমরা কোনও দিন নিছক বসে থাকিনি। সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি। কোনও মাসে একটি গানের সিকোয়েন্স তো পরের মাসেই প্লেনের সিকোয়েন্স শ্যুট করেছি। মনের মধ্যে একটা ধারণা প্রবল ছিল যে, ‘জগ্গা জাসুস’ একটা খুব ভাল ছবিতে পরিণত হবে।
প্র: অনুরাগ বসু তাঁর ফিল্মের উন্মাদনার জন্য পরিচিত। সেই পরিচয়টা কেমন পেলেন?
উ: দাদার (অনুরাগ বসু) মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন সব হিরোইনই দেখে। আমিও দেখতাম। ‘জগ্গা জাসুস’ ফিল্মে এমন অনেক কিছু আছে, যেগুলো যে-কোনও অভিনেতার কাছেই খুব বড় ব্যাপার। দাদা সহজেই অভিনেতার ভিতরের সামর্থ্য বুঝে নেন এবং তাঁকে সেই ভাবে ব্যবহার করেন। সব সময়ে চেষ্টা করেন অভিনেতা যেন তাঁর শ্রেষ্ঠ অভিনয়টা ওঁর ছবিতেই করেন।
প্র: শ্যুটিং চলাকালীন এমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যখন মনে হয়েছিল, ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’?
আরও পড়ুন: হাফ ইয়ারলি রেজাল্ট
উ: হ্যাঁ হয়েছিল। কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ করেছি, এই ফিল্মের সঙ্গে যাঁরা জুড়ে রয়েছেন, তাঁদের সবারই প্যাশন খুব প্রবল। ‘জগ্গা...’র সেটে সকলেই দাদার উন্মাদনায় বিশ্বাস রাখতেন। আর সেটাই ছিল আমাদের ড্রাইভিং ফোর্স। এই চার বছরে আমি তো বিয়ে করে বাচ্চার মা-ও হয়ে যেতে পারতাম (হেসে)। কিন্তু দাদার বিশ্বাস আমার কাছে একটা বড় সম্বল ছিল।
প্র: ছবিতে আপনি একজন সাংবাদিকের ভূমিকায়। মিডিয়ার কাউকে কোনও উপদেশ দিতে চান?
উ: এই ফিল্মে আমি একজন ইনভেস্টিগেটিং জার্নালিস্টের রোলে। সাংবাদিকদের জীবন কিন্তু খুব কঠিন। ছোট থেকে বড় যে কোনও খবরের জন্য তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। একটাই উপদেশ দিতে চাই, সাক্ষাৎকার নিতে যাওয়ার আগে সেই সেলিব্রিটি সম্বন্ধে ভাল করে হোম ওয়ার্ক করে যান। আপনি যতটা জানবেন আপনার সামনের লোকটি ততই বেশি কথা বলবে।
প্র: রণবীর কপূর তো আবার এই ফিল্মের প্রযোজকও বটে। উনি কি সেটে অন্য রকম আচরণ করতেন?
উ: আমার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি কানেকশন ছিল দাদার। চিত্রনাট্য থেকে কস্টিউম, সব ব্যাপারেই দাদা ছিলেন আমার বাউন্সিং বোর্ড। তবে দাদাকে ফোনে না পেলে রণবীরকেই ধরতাম। ও ছিল আমার কন্ট্যাক্ট পয়েন্ট।
প্র: রণবীরের থেকে কী শিখলেন?
উ: রণবীর একজন খুব বড় মাপের অভিনেতা। সেটে সব সময় ভীষণ সতর্ক থাকে। সব সময় চেষ্টা করতে থাকে কী ভাবে আরও ভাল ভাবে পারফর্ম করবে ক্যামেরার সামনে। এটা একটা বিশাল গুণ।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে তো চোদ্দো বছর কাটালেন। কেরিয়ারের দিকে ফিরে তাকালে কী মনে হয়?
উ: নিজের সম্পর্কে প্রতিদিন অনেক কিছুই আবিষ্কার করি। একটা জিনিস খুব ভাল ভাবে জানি, মেঘের পর রোদ আবার উঠবে। যে কোনও পরিস্থিতিতে পজিটিভ থাকাটা সবচেয়ে জরুরি। কখনও আমরা জীবনকে খুব সিরিয়াসলি নিয়ে নিই। সেটা ঠিক নয়। আমি যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাই, তখনও শিখি। কিন্তু একটা বিশ্বাস খুব প্রবল থাকে, খারাপ সময় বেশি দিন থাকবে না। আর একটা জিনিস ফলো করি, সেটা হল আমি একদম জাজমেন্টাল নই। আমার সঙ্গে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে, তা হলে তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও কারণ থাকবে। আমি সেটা বোঝার চেষ্টা করি। হঠাৎ করে কাউকে খারাপ ভাবতে পারি না।
প্র: বলিউডে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যাও তো কম নয়। তা নিয়ে ভয় পান না?
উ: না, না, ১৪ বছর পর ওই ভয়টা আর নেই। জীবনের প্রত্যেকটা দিনই আমার কাছে একটা নতুন উপহার। আমি জানি, সততার সঙ্গে কাজ করলে যেটা আমার, সেটা আমারই থাকবে।
প্র: ‘জগ্গা জাসুস’-এর পরেও তো আপনার হাতে ছবির পাহাড় জমে আছে...
উ: ‘জগ্গা...’ রিলিজ করার চার দিন পরে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর শ্যুটিং শুরু করব। তার পর আনন্দ এল রাইয়ের ফিল্ম আছে শাহরুখ খােনর সঙ্গে। তার পর আমির খান, অমিতজির সঙ্গে ‘ঠগ্স
অব হিন্দোস্তান’।
প্র: অভিনয় ছাড়া আর কিছু করার প্ল্যান আছে?
উ: ফিল্ম প্রোডিউস করব একদিন। দেখা যাক
কবে করি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy