‘ময়ূরপঙ্খী’র তিশাম অর্থাৎ সোহিনী গুহ রায়।
তিশাম ও সোহিনী কী একরকম?
আমার সঙ্গে তিশামের অনেকগুলো মিল আছে। যেমন, আমি স্মল টাউন গার্ল, তিশামও একটা ছোট জায়গা মোহনঝোরার মেয়ে। তিশাম খুব লাজুক। আমিও চুপচাপ থাকতে ভালবাসি, তিড়িং বিড়িং করতে একদম ভাল লাগে না। কিন্তু তিশাম একেবারে আউট স্পোকেন নয়। নিজে যা ভাবে তা লোককে বলতে পারে না। আমি সেরকম নই। এটুকুই ওদের অমিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুজনের চরিত্রের মিল আছে।
আপনি যা ভাবেন বলে দেন?
হ্যাঁ।
অপ্রিয় হলেও?
হ্যাঁ। আমি ক্লিয়ার থাকা পছন্দ করি। মানে, যেটা সত্যি সেটাই বলে দিই।
সৌরদীপ-তিশাম এবং সৌম্য-সোহিনীর সম্পর্ক কেমন?
সৌরদীপ এবং তিশামের সম্পর্ক আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে। সেটা তো দর্শক দেখবেন। এখনও অনেকটা দেখা বাকি। আপাতত দু’জনের মনেই পরস্পরের প্রতি ফিলিং এসেছে। বিয়েটা যে হয়েছে সেটা তিশামের কাছে সত্যি মনে হচ্ছে। সৌরদীপও বিয়েটা সত্যি মনে করছে। কিন্তু তিশামকে গিয়ে বলার সাহস পাচ্ছে না। এটা তো গেল স্ক্রিনের সম্পর্ক। এদিকে আমার আর সৌম্যর মধ্যে প্রচণ্ড সহজ একটা সম্পর্ক। আমরা দুজনেই খুব ফ্রেণ্ডলি। আমরা পরস্পরের কাজ নিয়ে পরস্পরকে বলি। পছন্দ হলেও বলি, পছন্দ না হলে কী ভাবে আমাদের কাজ আরও ভাল হতে পারে সেটা নিয়েও পরস্পরকে বলি।
আরও পড়ুন: ধ্রুপদী নাচ নাকি স্ট্রিট ডান্স? লড়াইয়ের গল্প বলবে ‘বিজয়িনী’
স্ক্রিনের রোম্যান্স কি বাস্তব জীবনেও রয়েছে?
স্ক্রিনের রোম্যান্স কোথায় গিয়ে পরিণতি পাচ্ছে সেটা তো দর্শক দেখতেই পাবে। কিন্তু বাস্তব জীবনে ওরকম রোম্যান্স বলে কিছু নেই। ফ্রেণ্ডশিপ আছে। অ্যাজ আ ফ্রেণ্ড, অ্যাজ আ কো অ্যাক্টর আমি সৌম্যকে অবশ্যই পছন্দ করি।
ময়ূরপঙ্খী-তে অভিনয় করতে কেমন লাগছে?
খুবই ভাল লাগছে। তার প্রথম কারণ হল, আমি লীনাদির গল্পের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আগে থেকেই জানতাম যে লীনাদির গল্প সবসময় হিট। যখন সিলেক্ট হলাম, তখন থেকেই আমি দারুণ এক্সাইটেড। দ্বিতীয় কারণ হল, এখানে যাঁরা সিনিয়র অভিনেতারা আছেন যেমন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, রাজন্যাদি, বিশ্বনাথদা... প্রত্যেকেই কো-অ্যাক্টরদের কম্ফোর্ট ফিল করান এবং ফ্লোরের মধ্যে সবার সঙ্গে খুব ফ্রি। আমি যদি নিজের মতো কিছু অভিনয় করি ওঁরা প্রত্যেকে আমাকে অন্যরকম করে অভিনয় করার জন্যও গাইডেন্স দেন। সিনিয়রদের থেকে অসাধারণ সাপোর্ট পাই। এটা একটা দারুণ ব্যাপার। তাছাড়াও আমাদের ইউনিট প্রচণ্ড ভাল। অনেক আউটডোর ছিল আমাদের। খুব মজা করে কাজ করেছি।
ময়ূরপঙ্খী-র আউটডোর শুটিংয়ে কী কী হল?
আউটডোর শুটিংয়ে তো আমি ভয়ে একেবারে কাঁটা হয়ে ছিলাম। কারণ, পুরো শুটটাই ছিল জলে। আর আমি সাঁতার জানি না। টাকিতে আমাকে তো জলের মধ্যে পড়তে হয়েছে একটা দৃশ্যের জন্য। জলে পড়তে হয়েছে মানে আমার পক্ষে কতটা সাংঘাতিক আমিই জানি! তার ওপর উল্টো হয়ে জলে পড়তে হয়েছিল।
‘ময়ূরপঙ্খী’র একটি দৃশ্য।
তা হলে দৃশ্যটা কী ভাবে করলেন?
সমস্ত লাইফ সেভিং যন্ত্রপাতি ছিল। জলের ভেতর সেফটির জন্য সরকারিভাবে যাঁরা পরিষেবা দেন তাঁরা সবাই ছিলেন। সম্পূর্ণ প্রোটেকশন নিয়ে দৃশ্যটা শুট হয়েছে। আরও একটা দৃশ্য শুট করার জন্য ক্যানিংয়ে ডাবু বলে একটা গ্রামে গিয়েছিলাম। ওখানেও জলের মধ্যে দুটো এপিসোড আমরা শুট করেছি। সেখানেও একটা ভয় ছিল। কারণ নৌকাগুলো সরু সরু এবং জলের ওপর বেঁকে যাচ্ছিস।
তাহলে মোস্ট এক্সাইটিং পার্ট নৌকায় শুটিং?
হ্যাঁ। তা ছাড়া এতটা দূর আউটডোরে আমি কখনও যাইনি। মনে আছে, টাকিতে যেখানে শুট করছিলাম সেখানে কোনও নেটওয়ার্ক নেই। মানে সাংঘাতিক ইরিটেশনের ব্যাপার এটা। মাঝে মাঝে আবার বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক চলে আসছে মোবাইলে। তার মধ্যে রোদের ভেতর শুট করতে করতে পুরো ট্যান হয়ে গিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে অন্যরকম শুটিং ছিল।
‘ময়ূরপঙ্খী’র একটি দৃশ্যে সোহিনী।
বাড়ির সবাই তিশামকে দেখে কী বলছেন?
এটা একটা অন্যরকম চরিত্র করছি। খুব শান্ত, ধীরস্থির। তো বাড়ির সবার খুব পছন্দ হয়েছে (আনন্দের হাসি)। এই যে জলে শুটিং... দেখতে খুব ভাল লাগে, খুব সিনেম্যাটিক লাগে... সবাই খুব মজা পাচ্ছে দেখে। আর লীনাদির গল্পে অভিনয় করার চান্স পেয়েছি বলে আমার বাড়ির সবাই খুব খুশি।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার আপামর অশরীরী আত্মা…’, কে আহ্বান জানালেন?
প্রেম করেন?
আমার যা শিডিউল আমার সঙ্গে হয়তো কেউ প্রেম করতে চাইবে না। আপাতত এরকম মনে হচ্ছে। একটা সিরিয়ালের শুরুতে তো প্রচণ্ড চাপ থাকে। প্রেম করার সময় নেই। তাই কেউ আমার প্রেমে পড়লে বিরক্ত হয়ে যাবে (দুঃখ দুঃখ হাসি)।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy