Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
entertainment news

প্রযোজকের ঘরে চা খাওয়ার হাজিরা দিতে পারব না: প্রতীম

শ্রীকান্তদা, রানে, দেব আমার ছবি দেখে ওদের ব্যানারে কাজ করতে বলেছে— বললেন প্রতীম ডি গুপ্ত। প্রযোজকের ঘরে বসে পিআর নয়, ভাল কাজ করে তিনি ইন্ডাস্ট্রির নজরে আসতে চান, শুনলেন স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রতীম ডি গুপ্ত। ছবি স‌ৌজন্য: ফেসবুক।

প্রতীম ডি গুপ্ত। ছবি স‌ৌজন্য: ফেসবুক।

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৮ ১৪:২৯
Share: Save:

মাছের ঝোলের পরেই কি প্রতীমের 'আহা রে মন' দেখতে দর্শক এত উন্মুখ?
নিশ্চই তাই। কারণ 'পাঁচ অধ্যায়'-এর সময় তো সকলের মনে হয়েছিল 'ওকে সরাও', ও আবার ছবি কেন তৈরি করবে?' 'সাহেব বিবি গোলাম'-এ যেমন কিছু দর্শক আমার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু 'মাছের ঝোল' মানুষের এত ভাল লেগেছে— সেই কারণেই 'আহা রে মন' নিয়ে একটা উৎসাহ মানুষের তৈরি হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে একটা ছবির সাফল্য তো তার পরবর্তী দর্শক তৈরি করে রাখে।

মানে?
ধরুন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা। দর্শক এখন নিশ্চিত এদের ছবি থেকে কিছু একটা পাবেই। 'ইচ্ছে' থেকে 'অ্যাক্সিডেন্ট'— লোকে তো এত নিশ্চিত ছিল না। 'বেলাশেষে' থেকে ট্রেন্ড বদলে গেল।

আপনি যে ইন্ডাস্ট্রির কথা বলছেন সেখানে আপনার মতো মানুষ আছে কেমন করে?
মানে?

আপনি পার্টিতে যান না...লোকে বলে আপনি পাকা, নাক উঁচু...
ওহ! বুঝেছি। আমার বন্ধুরাও বলেছে আমি কথা বলতে পারি না। মিশতে পারি না। প্রেস কনফারেন্স হলে এক কোণে বসে থাকি দেখে লোকে আমায় পাকা ভাবে, নাক উঁচু ভাবে। আসলে আমি সত্যি এমন না! হ্যাঁ, আমি প্রিমিয়ারে যাই না।

তা হলে বলুন তো লোকে আপনার প্রিমিয়ারে যাবে কেন?
সত্যি তো নাও আসতে পারে। তবে যে আমি ইচ্ছে করে যাই না, এমন কিন্তু নয়। মানে ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম অনেক দেখেছি যে নিজের ছবির কাজ ফেলে অন্য পরিচালকের ছবির প্রিমিয়ারে গেছেন। সেটা আমি পারব না। আমার ছবি আগে। আমি প্রযোজকের ঘরে মাঝে মাঝে চা খাওয়ার হাজিরা দিয়ে একটা ছবি করার জন্য আমি কতটা লোভী, সেটা জানাতে পারব না। আর আমি জানি কোনও কারণে কৌশিকদা (গঙ্গোপাধ্যায়) বা সৃজিত (মুখোপাধ্যায়)-এর ছবির প্রিমিয়ারে না গেলে যে ওরাও আমার ছবি দেখতে আসবে না, সম্পর্কটা এমন নয়। সত্যি কথা বলতে কি, লোকে জানে আমি এ রকম ভাবে ছবির কাজ পেতে চাই না।

তা হলে ছবির কাজ কী ভাবে পেতে চান?
ছবি দেখিয়ে। আমি ব্যক্তি মানুষের জন্য নয়। আজ শ্রীকান্তদা, রানে, দেব প্রত্যেকেই বলেছে আমায় ওদের ব্যানারে ছবি করার কথা। সেটা আমার ছবি দেখেই তারা বলেছে। আমার জন্য নয়।

আপনি ছবির ক্ষেত্রে নিজের অনুভূতি দিয়ে চরিত্র তৈরির ক্ষেত্রে কতটা সংযমী?
আমার ছবির গল্পটা আমার জীবন থেকে নেওয়া নয়। কিন্তু ছবির চরিত্রগুলোর যে ছোট ছোট অনুভূতি সেগুলো হয়তো আমার জীবন থেকে পাওয়া।

যেমন?
'আহা রে মন' এর ক্ষেত্রে যেমন পাওলি-আদিলের চরিত্রটার পারস্পরিক অনুভূতি আমার জীবন থেকে নেওয়া। আমি আমার প্রেমিকার জন্য এক সময় শিয়ালদাহ থেকে ব্যারাকপুর ট্রেনে যেতাম। এই যে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষা, সেটা এই ছবিতে মমতাশংকর আর অঞ্জন দত্তর সম্পর্কের মাঝে আছে।

লেটারবক্সগুলো দেখছেন? ‘আহা রে মন’-এ দেখা পাবেন এঁদের। ছবি স‌ৌজন্য: ফেসবুক

সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে গান লেখালেন কেন?
এই গান লেখানো কিন্তু ও পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলে নয়। আমি আর নীল (এ ছবির সঙ্গীত পরিচালক) অঞ্জন দত্ত, শ্রীজাত, অনিন্দ্য সকলের কথাই ভেবেছিলাম। কিন্তু ছবির ওই জায়গায় এমন গান দরকার যেটা আলাদা করে খুব অন্যরকম শব্দ দিয়ে তৈরি হবে না। বরং সিনেমার সংলাপের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে। সেই জন্যই সৃজিতকে বলা।

বাংলা ছবিতে গান তা হলে এখন ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক?
আসলে বাংলা ছবি এখন এত রিয়্যালিস্টিক যে হঠাৎ করে প্লেব্যাক আসা মুশকিল। তাও অঞ্জনদা তো এ ছবিতে 'চিনি গো চিনি' গেয়েছে।

'আহা রে মন' করতে করতেই 'ইঙ্ক' ছবির কাজ করলেন...
একসঙ্গে দুটো ছবির কাজ করার পক্ষে আমি কোনও দিন ছিলাম না। আমার তো মনে হয় স্ক্রিপ্টের জন্য কমপক্ষে ছ’মাস পড়ে থাকা উচিত। একটা ছবি তৈরি করতে মিনিমাম এক বছর লাগে। 'ইঙ্ক'-এর চিত্রনাট্য করা ছিল। ঋত্বিক আর পাওলি কাজ করছে এই ছবিতে।

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তো ছ'মাস অন্তর একটা ছবি বানায়...
উনি ব্যতিক্রম। কী ভাল সব ছবি! সবাই পারে না ওরকম। ছবি ছাড়া কৌশিকদা বোধহয় এক মুহূর্ত থাকে না।

আপনি যেমন ঋত্বিককে ছাড়া ছবি ভাবতে পারেন না!
হ্যাঁ, ও আমায় না ছাড়লে আমি ওকে ছাড়ব না। ও আমার স্ক্রিপ্টটা নিয়ে তার ওপর অনেক নিজস্ব টাচ দিয়ে আমায় অবাক করে। ওকে আমি 'মাছের ঝোল' এ শেফ ভাবতে পারি, আবার 'আহা রে মন' এ ছিঁচকে চোর। ওই পারে! ওকে কেউ ছাড়ে?তবে এ বার আদিল হুসেন ও চমকে দিয়েছে মিঠে বাংলা বলে। এ বারের ছবির কাস্টিং-ই ছবির ইউএসপি। আর সকলের জন্য আছে মন, যে মন ভালবাসার দরজাগুলো খুলে দেয়...

আরও পড়ুন: মুখ অস্পষ্ট, গায়ে হাত দিয়েছে কেউ! কে ইনি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE