অন্নপূর্ণা দেবী
সাক্ষাৎ কিংবদন্তি বাবা, দাদা বা প্রাক্তন স্বামীর খ্যাতির ছটাতেও ফিকে হয়নি তাঁর উপস্থিতি। প্রকাশ্য সঙ্গীতানুষ্ঠান থেকে দীর্ঘদিন বিরত থাকলেও সঙ্গীত-রসিকেরা তাঁকে মনে রেখেছেন। ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের সেই গুণী শিল্পী অন্নপূর্ণা দেবীর শুক্রবার গভীর রাতে জীবনাবসান হয়েছে।
বার্ধক্যজনিত রোগভোগে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ছিলেন তিনি। রাত তিনটে বেজে ৫১ মিনিটে সেখানেই দীর্ঘ জীবনে যবনিকাপাত। অন্নপূর্ণাদেবীর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। জন্ম মধ্যপ্রদেশের মাইহারে। বাবা উস্তাদ আলাউদ্দিন খান ‘মাইহার সেনিয়া’ ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা। দাদা উস্তাদ আলি আকবর খান। পাঁচ বছর বয়সে বাবার তালিমে সেতারে হাতেখড়ি মেয়ের। ক্রমে সুরবাহারকেই বেছে নেন আলাউদ্দিন-তনয়া। ১৯৪২ সালে রবিশঙ্করের সঙ্গে বিয়ে হয় অন্নপূর্ণার। দু’জনের একমাত্র সন্তান, পুত্র শুভেন্দ্রশঙ্কর। ১৯৫০-এর দশকে রবিশঙ্কর-অন্নপূর্ণা দিল্লি ও কলকাতায় এক সঙ্গে অনুষ্ঠানও করেছেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে নতুন করে জীবন শুরু করেছিলেন অন্নপূর্ণা। ম্যানেজমেন্ট উপদেষ্টা রুশিকুমার পাণ্ড্যকে তিনি ১৯৮২ সাল নাগাদ বিয়ে করেন। পরে রবিশঙ্করও সুকন্যাশঙ্করকে বিয়ে করেছিলেন। অন্নপূর্ণা-রবিশঙ্করের পুত্র শুভেন্দ্রশঙ্কর চলে যান ১৯৯২ সালে, মাত্র ৫০ বছর বয়সে। রুশিকুমার ২০১৩ সালে গত হন। পদ্মভূষণে সম্মানিত অন্নপূর্ণাদেবীর প্রয়াণে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এ দিন শোকপ্রকাশ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy