রূপসা ভাদুড়ি।
স্মৃতির মধ্যেই প্রেম, হিংস্রতা, বিষাদ! আঠেরোর এক তরুণী তাঁর ক্ষুরধার কলমে লিখে চলেছেন তাঁর প্রথম ইংরেজি চিত্রনাট্য,‘স্মৃতির নিজস্ব চলন নেই। স্মৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মন। আমাদের যা ইচ্ছে আমরা সেটাই মনে রাখি। স্মৃতি কখনওই নিরপেক্ষ নয়। তা ভয়ঙ্কর ব্যক্তিনির্ভর...’
রূপসা ভাদুড়ি, নাম না জানা এক বাঙালি কন্যা সুদূর ইংল্যান্ডে বসে স্বপ্ন বুনছে অভিনেত্রী হওয়ার। ছবির মোড়কে ভিন্ন ধারার গল্প বলার।
সাইকোলজি নিয়ে টুয়েলভ স্ট্যান্ডার্ড পেরিয়ে এ বার তিনি লন্ডনের কিংস কলেজের পথে পা বাড়াবেন। কিন্তু এর মধ্যেই বাংলা ধারাবাহিক। বাংলা ছবিতে কাজ করতে আরম্ভ করেছেন রূপসা। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ড্রামা ক্লাসে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছে ওঁর অভিনয়ের রাস্তাকে অনায়াস করে তোলে। ইংলন্ডে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশনস্, অ্যাক্টিং অ্যাপ্রিসিয়েশনের কোর্স করতে করতে রূপসা বুঝতে পারেন, ভাষা নয়, চোখের এক্সপ্রেশন, দেহের ভঙ্গিমা দিয়ে সংলাপ না বলেও একটা ছবির আত্মাকে জিইয়ে রাখা যায়। সেই শিক্ষার প্রেক্ষিতেই রূপসা যখন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাটি’ ছবিতে ছোট, অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন, তখনকার তাঁর অভিব্যক্তি দেখে বোঝাই যায় না তিনি নবাগতা!
‘‘মাটি আসলে আমারও দেশ খোঁজার, শৈশবের গন্ধ নেওয়ার একটা স্পেস। মেঘলা যখন ওপার বাংলায় তাদের বাড়ির সদর দরজার লক্ষ্মীর পা ছোঁয়, মনে হয় আমিও যেন আমার দমদমের বাড়ির বৃষ্টিভেজা ছাদের গন্ধ পাচ্ছি...’’,বললেন রূপসা।
বার্মিংহাম প্রবাসী হয়েও কলকাতার সঙ্গে যোগ কী ভাবে রূপসার? আসলে তাঁর বাবা-মা আদতে কলকাতার। লন্ডনে ডাক্তারি পড়ে পেশাগত কারণে সেখানেই থাকেন তাঁরা।বাবা-মার ডাক্তারি আর পড়াশোনার বাইরে অভিনয়কে নেশা আর পেশা করে স্বপ্ন দেখতে চান রূপসা। তাঁর পরিবারের এতেই আনন্দ!
আরও পড়ুন, ‘সঞ্জু’ থেকে বাদ পড়েছে যে ১০ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়
‘লালা ল্যান্ড’দেখে মুগ্ধ রূপসা কেটস্ উইনস্লেট আর অ্যালপাচিনোর অভিনয় দেখে বড় হয়েছেন। পারবেন কি তিনি এই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ভাবধারার সঙ্গে মানিয়ে নিতে?
‘‘শিক্ষা দিয়ে সব হয় না। ব্যবহার আর কাজের এথিকস্ ঠিক থাকলেই হল।’’সাফ জবাব রূপসার। সম্পর্কের ছবি দেখতে পছন্দ করলেও নিজে এই মুহূর্তে সম্পর্কে জড়াতে চান না। বন্ধুবান্ধব নিয়ে হুল্লোড়ের চেয়ে তাঁর পছন্দ অন্ধকারের একাকিত্বের জানলা।
বার্মিংহাম তাঁর বাড়ি হলেও কলকাতার বাড়ি তাঁর ঘর! সেই ঘর, দেশ আর মাতৃভাষা নিয়ে তিনি ইংল্যান্ড থেকে ঘরে ফিরতে উন্মুখ! মাটির টানে...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy