কঙ্গনা রানাউত। ছবি: ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনার ফ্যান পেজের সৌজন্যে।
সোর্ড ফাইটিংয়ের সময় কপালে তরোয়ালের আঘাত। শুটিং ফ্লোরে রক্তপাত। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বলিউডের ‘কুইন’ কঙ্গনা রানাউত। কপালে পড়েছে ১৫টি সেলাই।
সংবাদপত্র মিড ডে-র খবর অনুযায়ী, গতকাল হায়দরাবাদের একটি স্টুডিওতে তাঁর আগামী ছবি ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’র শুটিং চলছিল। নীহার পাণ্ড্যর সঙ্গে সোর্ড ফাইটিংয়ের দৃশ্যের শুট করছিলেন কঙ্গনা। একটি দৃশ্যে নীহারের তরোয়ালের সামনে বসে পড়ার কথা ছিল কঙ্গনার। কিন্তু টাইমিং সামান্য ভুল হওয়ায় নীহারের তরোয়াল সোজা গিয়ে লাগে কঙ্গনার দুই ভ্রু-র মাঝখানে। কপাল কেটে রক্তপাত শুরু হয়ে যায়।
কোনও রকম দেরি না করে, সেট থেকে সোজা অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কঙ্গনাকে। আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কঙ্গনার জখম গুরুতর। অল্পের জন্য কপালের হাড়ে আঘাত লাগেনি। আরও বড় দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারত। তবে আগামী কয়েক দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
আরও পড়ুন, ‘স্বজনপোষণ’ তত্ত্ব থেকে সরে এলেন কর্ণ জোহর
‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’র প্রযোজক কমল জৈন কঙ্গনার সাহসের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, ‘‘বেশ কয়েক বার রিহার্সাল করার পরই শুটিং শুরু হয়েছিল। কঙ্গনা নিজেই স্টান্ট করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরও রানি ঝাঁসির মতোই ব্যথা সহ্য করে, প্রায় আধ ঘণ্টার দূরত্ব পার করে হাসপাতালে গিয়েছেন অভিনেত্রী।’’
কপালের গভীর ক্ষতের দাগ সারাতে কঙ্গনাকে কসমেটিক সার্জারি করাতে হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে কঙ্গনা নাকি বলেছেন, ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই-এর চরিত্রে অভিনয়ের খাতিরে সেই দাগ রেখে দিতে চান তিনি। তবে দুর্ঘটনার জেরে আগামী ২৫ জুলাই মানব গাঙ্গওয়ানির শোস্টপ করা হবে না কঙ্গনার। কোচার উইকে র্যাম্পে হাঁটার কথা ছিল তাঁর।
পরিচালক ক্রিশ-এর ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ২০১৮-র এপ্রিলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy