Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

সোমবারের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হিট ‘ক্যামেরার একাল-সেকাল’

প্রদর্শনীতে সেকালে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা রাখা হয়েছিল। সঙ্গে সেগুলি সম্পর্কে নানান তথ্য। চোখের সামনে পুরনো দিনের অমন দুর্লভ ক্যামেরাগুলিকে দেখে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হল। সত্যজিৎ রায়ও কি এমন ক্যামেরাতেই চোখ রাখতেন?

ক্যামেরার সেকাল... ছবি— মেঘদূত রুদ্র।

ক্যামেরার সেকাল... ছবি— মেঘদূত রুদ্র।

মেঘদূত রুদ্র
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ২০:২১
Share: Save:

সেকালেও ছবি তোলা হত। একালেও হয়। তবু সেকাল আর একালের ছবি তোলার মাঝে অনেক পার্থক্য। ২৩তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের তৃতীয় দিনে এটাই ছিল মনে রাখার মতো একটা এগজিবিশন। বিদেশি ছবি দেখা তো ছিলই। তবে এ দিনের সেরা পাওনা গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় একটি অনবদ্য এগজিবিশন। বিষয়, ক্যামেরার একাল-সেকাল।

আরও পড়ুন, ফিল্ম ফেস্ট: মঙ্গলবারের মাস্টওয়াচ ছবি কোনগুলি

আরও পড়ুন, দেশবিদেশের সিনেমা-নাবিকেরা নোঙর ফেলুক কলকাতায়

প্রদর্শনীতে সেকালে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা রাখা হয়েছিল। সঙ্গে সেগুলি সম্পর্কে নানান তথ্য। চোখের সামনে পুরনো দিনের অমন দুর্লভ ক্যামেরাগুলিকে দেখে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হল। সত্যজিৎ রায়ও কি এমন ক্যামেরাতেই চোখ রাখতেন?

প্রদর্শনীতে সেকালের ক্যামেরা। — নিজস্ব চিত্র।

সবচেয়ে বেশি করে যেটা বলার, যাঁরা সিনেম্যাটোগ্রাফি বা ক্যামেরা নিয়ে পড়াশোনা ও কাজ করছেন, তাঁদের জন্য এ ধরনের প্রদর্শনীগুলি খুবই কাজের। কারণ, এতে ক্যামেরার বিবর্তন, বিশেষত কী কী পরিবর্তন হয়েছে তার একটা ধারণা পাওয়া যায়। পুরনো বাংলা ছবির অন্যতম সেরা সিনেম্যাটোগ্রাফারদের শ্রদ্ধার্ঘও জানানো হয়েছে এই প্রদর্শনীতে।

নন্দনে এ দিন সিনেপ্রেমীদের ভিড় ছিল। তবে তা একটু হালকা। হয়তো সোমবার বলেই...

তবে ভিড় চোখে পড়ল শিশির মঞ্চে। কারণ, এখানে বিভিন্ন শর্ট ফিল্ম এবং ডকুমেন্টারি দেখতে লাইন দিয়েছিলেন দর্শকরা। উপরি পাওনা, এগুলি দেখতে কোনও পাস লাগে না। আর এই প্রতিটি শর্ট ফিল্ম ও ডকুমেন্টারি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। বিজয়ীদের ভাল প্রাইজমানিও দেওয়া হবে। নবীন প্রজন্মের ফিল্মমেকারদের জন্য এটা খুবই অনুপ্রেরণামূলক বলে মনে হয়।

কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় দিনও সকাল থেকেই জমজমাট। সোমবার হলেও সিনেপ্রেমীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় ফিল্ম একজিবিশনের বিষয় ‘ক্যামেরার একালসেকাল’। চলছে বহু দেশবিদেশি ছবিও। আমরা আছি আপনি আসছেন তো?

সব শেষে বলি, একটি ইরানি ছবি ‘কুপাল’ দেখলাম সোমবার। একজন আত্মসর্বস্ব মধ্যবয়স্ক ধনী মানুষের জীবনে হঠাত্ করে একদিন রাতে ঘটে যায় এক অদ্ভুত ঘটনা। যেন দুঃস্বপ্ন। কিন্তু আসলে তা বাস্তব। নিজের বাড়িতেই আটকে পড়েন লোকটি। কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে না। কী হয় তাঁর পরিণতি?

‘কুপাল’ ছবির একটি দৃশ্য। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।

ড্রামাধর্মী এই গল্প বেশ ভালই পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালককাজেম মোল্লাই। মনে বেশ দাগ কাটল...

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE