সোমবার থেকে মধুর ভাণ্ডারকরকে নন-ক্যাটেগরির পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ছবি: পরিচালকের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে
পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরকে পুলিশি নিরাপত্তা দিল মহারাষ্ট্র সরকার। ‘ইন্দু সরকার’ ফিল্মের ট্রেলার রিলিজের পর থেকেই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন মধুর। এই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন পরিচালক। এর পরেই তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন এই পদক্ষেপ করে।
সত্তরের দশকের জরুরি অবস্থার বেশ কিছু উল্লেখ রয়েছে ‘ইন্দু সরকার’-এর কাহিনিতে। ফিল্মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী ও তাঁর পুত্র সঞ্জয় গাঁধীর ভূমিকার উল্লেখও রয়েছে। এই উল্লেখ যে সঠিক নয়, তা নিয়ে শুরু থেকেই বিক্ষোভ জানাতে শুরু করে কংগ্রেস। তাদের দাবি, ফিল্মের কাহিনিতে ‘ভুল’ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে মধুরের দাবি, ফিল্মের মাত্র ৩০ শতাংশই সত্য ঘটনা অবলম্বনে। বাকিটা কাল্পনিক। এর পরেও বিক্ষোভ থামেনি। মধুর পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও জানান। মুম্বই পুলিশের মুখপাত্র রেশমি করণদিকর বলেন, “সোমবার থেকে মধুরকে নন-ক্যাটেগরির পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।” দু’জন সশস্ত্র কনস্টেবল সারা দিন পরিচালকের সঙ্গে থাকবেন। রাতে আরও দু’জনকে রাখা হয়েছে।
আরও পডুন
ডিভোর্সের পর সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ভয় তৈরি হয়েছে
ফিল্মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী ও সঞ্জয় গাঁধীর ভূমিকার উল্লেখও রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
আগামী ২৮ জুলাই ‘ইন্দু সরকার’-এর রিলিজ। তার আগে কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, এই ফিল্ম তাঁদের না দেখিয়ে রিলিজ করা যাবে না। যদিও সেন্সর বোর্ড ইতিমধ্যেই ফিল্মে ১২টি দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও দুশ্চিন্তা কমছে না মধুরের। শনি ও রবিবার ‘ইন্দু সরকার’-এর প্রচারের জন্য ফিল্ম ইউনিটকে নিয়ে নাগপুর ও পুণেতে গিয়েছিলেন মধুর। কিন্তু ওই দু’দিন কংগ্রেস কর্মীদের ধর্না-স্লোগান-প্রতিবাদের মুখে পড়ে তা ভেস্তে যায়। তার জেরে সাংবাদিক বৈঠকও বন্ধ করতে বাধ্য হন মধুর। তবে এ নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। যদিও গোটা ঘটনায় নজর রাখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy