#মিটু আন্দোলনে সমর্থন নেই পামেলার। ছবি: পামেলা অ্যান্ডারসনের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত।
#মিটু আন্দোলনের সূচনা হলিউডে।অথচ সেই হলিউডেরই এক তারকা আন্দোলনের বিরুদ্ধে। তিনি আর কেউ নন, নব্বইয়ের দশকের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসন। তাঁর বক্তব্য, যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে বইকি! তবে আজকাল একটু বাড়াবাড়িই হচ্ছে। যা পুরুষদের পঙ্গু করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
অস্ট্রেলিয়ার একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন পামেলা। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন। বলেন,‘‘আমি নিজে নারীবাদী। তবে এখন যে নারীবাদী আন্দোলনের জোয়ার এসেছে, তাতে মোটে সায় নেই আমার।ব্যাপারটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যা পুরুষদের পঙ্গু করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। অনেকেই হয়ত আমার সঙ্গে একমত হবেন না। এমন মন্তব্যের জন্য হয়ত মেরেও ফেলা হতে পারে আমাকে। তবে দুঃখিত, এই আন্দোলনকে সমর্থন করতে পারছি না।’’
হলিউডে #মিটু আন্দোলনের সূচনা প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলার অভিযোগ ঘিরে। যৌন নির্যাতন তো বটেই, ধর্ষণের অভিযোগও জমা পড়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগকারিণীদের প্রতি সমব্যথী হওয়ার বদলে, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার জন্য তাঁদেরই দায়ী করেছেন পামেলা। তাঁর মতে, ‘‘কেরিয়ারের শুরুতে মা আমাকে বুঝিয়েছিল, অচেনা লোকের সঙ্গে হোটেলের ঘরে ঢোকা উচিত নয়।বাথরোব পরে কেউ দরজা খুললে তো কথাই নেই, সেটা কখনওই পেশাগত মিটিং হতে পারে না। তাই কখনও অচেনা লোকের সঙ্গে হোটেলে দেখা করতে গেলে সঙ্গে কাউকে নিতে হয়। এইটুকু সাধারণ বুদ্ধি তো সকলেরই থাকা উচিত। তাসত্ত্বেও যদি কেউ যদি অচেনা কারও হোটেলের ঘরে ঢোকে, তাহলে আগুপিছু ভেবেই নিশ্চয়ই গিয়েছে। তাহলে আর প্রতিবাদ কেন? কাজ হাসিল করে বেরিয়ে এসো।’’
আরও পড়ুন: বিয়ের পর প্রথম দীপাবলি, কী ভাবে সেলিব্রেট করলেন শুভশ্রী?
আরও পড়ুন: টলিউডে কারা ভাই-বোন জানেন?
তাঁর মন্তব্য ঘিরে যে বিতর্ক শুরু হতে পারে, তা মেনে নিয়েছেন পামেলা। তবে মাপজোখ করে কথা বলা তাঁর ধাতে নেই বলে সাফ জানিয়েছেন। যা মনে হয় তা বলাতেই নাকি বিশ্বাসী তিনি।
নব্বইয়ের দশকে মডেলিং করতে বেভারলি হিলসে পা রাখেন পামেলা। জনপ্রিয় ‘প্লে বয়’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে একাধিকবার সাহসী ভঙ্গিমায় ধরা দিয়েছেন তিনি। তবে ঘরে ঘরে পরিচিতি পান টিভি সিরিয়াল ‘বে ওয়াচ’-এ অভিনয় করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy