মিমি চক্রবর্তী।— নিজস্ব চিত্র।
‘আমি জোনাকি’
আমি ‘টোটাল দাদাগিরি’র জোনাকি। পড়াশোনা করতে ভালবাসি। একেবারেই ঘরোয়া। গার্ল নেক্সট ডোর ইমেজ রয়েছে। বাবা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। বাবা জীবনে কোনও কিছুর জন্য প্রশ্ন করেনি আমায়। তাই বাবা যাকে বলবে তাকেই বিয়ে করে নেব। তার পরই কহানি মে টুইস্ট। যে ছেলেকে বাবা ঠিক করে, আর যার প্রেমে আমি পড়ি দু’জনের মধ্যে হেল অ্যান্ড হেভেন ডিফারেন্স। আমার পছন্দ করা ছেলে পরীক্ষায় ফেল করে, বাওয়াল করার মাস্টার। বাকিটা হলে গিয়ে দেখতে হবে।
ডিরেক্টর হল গ্রোয়িং কিড
এই ছবির ডিরেক্টর পথিকৃত্ বসু। ও রবি কিনাগির অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিল। আমি ওকে দেখেছি অ্যাজ আ গ্রোয়িং কিড। এটা অ্যাজ আ ডিরেক্টর ওর সেকেন্ড ফিল্ম। খুব প্রমিসিং। খুব ভাল কাজ করেছে।
দাদাগিরি=?
দাদাগিরি= সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর আমার মধ্যে দাদাগিরি তো সারাজীবনই ছিল, আছে, থাকবে।
আরও পড়ুন, ‘মা দুর্গার বুক নিয়েও কমেন্ট করছে লোকে, আমি তো কোন ছার’
মিমির দাদাগিরি
এখন দাদাগিরি অনেক কমিয়ে দিয়েছি। কলেজ লাইফ, স্কুল লাইফ, হস্টেল লাইফে প্রচুর দাদাগিরি করেছি। হস্টেলে আমাদের একটা গ্রুপ ছিল। তখন কলেজের ফার্স্ট ইয়ার। হাজরায় হস্টেলে থাকতাম। আমাদের ওপর বাজার করার দায়িত্ব ছিল। কারণ বাজারে ঢুকলে সবার আগে আমাদের জিনিস দিতে শুরু করত। পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেই যা ঝামেলা করতাম তাতে আগেই দিয়ে দিত। আর ফ্রি ছিল লঙ্কা, ধনেপাতা। আমাদের বলত, কতটা চাই? নিয়ে চলে যাও।
সেটের ‘দাদা’গিরি
সৌমিক হালদার। আমাদের ডিওপি। অ্যাকচুয়ালি গোটা টিমকে কন্ট্রোল করত সৌমিকদা। এটা করলে ভাল হয়, ওটা করলে ভাল হয়… এ সব আর কি। পথিকৃত্ ভয় পেত। সিনিয়র অ্যাক্টর আমরা। আর একটা শট দিতে বলবে কিনা, সে সব ভয় পেত। আমরা বলতাম, তুই বল। যেটা ভাল লাগে বল। হাজার বার বল। উই আর হিয়ার ফর দ্যাট। সৌমিকদা বলত, আরে তুমি কি ভাবছ, আমাকেও তো বলবে। আমি তো লাইটটা করব। তবে জোকস অ্যাপার্ট, সৌমিকদা দাদাগিরি করার মানুষই নন। আসলে আমাদের হাতে সময় খুব কম ছিল। ২২ দিনে একটা কমার্শিয়াল শুট করেছি। ফলে সেটে কেউই দাদাগিরিটা করতে পারেননি। মজা করে কাজ হয়েছে।
আরও পড়ুন, একসঙ্গে তিনটি গান! বলিউড ডেবিউ কোন্নগরের ছেলের
ইন্ডাস্ট্রির ‘দাদা’গিরি
ইন্ডাস্ট্রিতে দাদাগিরি করে ভাল কাজ। আমার মনে হয়, যখন যে ভাল কাজ করেছে তার দাদাগিরি চলেছে।
বাড়ির ‘দাদা’গিরি
বাড়িতে মা। মার কথাই শেষ কথা। তবে আমিও দাদাগিরি করি।
বক্স অফিসে ‘দাদা’গিরি
২০১৮ আমার শুরু হচ্ছে ‘টোটাল দাদাগিরি’ দিয়ে। আমার কাছে জানতে চাওয়া হল, এটা কি বক্স অফিসেও দাদাগিরি-র ইঙ্গিত? হা হা হা…। ওয়েল, আমি বলব, তাই যেন হয়। ফিঙ্গার ক্রসড।
আরও পড়ুন, আপনার ফোন নম্বর? দেব বললেন…
‘টোটাল দাদাগিরি’র ইউএসপি
‘গ্যাংস্টার’-এর পর এটা আমার আর যশের দ্বিতীয় ছবি। ওই ছবিতেই কেমিস্ট্রিটা সকলে পছন্দ করেছিলেন। এটাতে ডিফারেন্ট কাইন্ড অফ কেমিস্ট্রি। কিছু অ্যাড হয়েছে। আমি আশা করব এটা দর্শকের আরও ভাল লাগবে। আমাদের কেমিস্ট্রিটাই এই ছবির ইউনিকনেস। বাঙালিদের ভ্যালেন্টাইন ডে’র মরসুমে রিলিজ করছে। দর্শকদের ভালই লাগবে।
আরও পড়ুন, সৌরভকে কারা খুঁজছেন? কেনই বা খুঁজছেন?
নেক্সট প্রজেক্ট?
বিশ্বাস করুন, আমি বেকার। আমার কাছে কোনও কাজ নেই। হা হা…। আসলে কথাবার্তা চলছে কিছু। তবে কোনও সই হয়নি। আর ফ্লোরে গিয়ে শুটিং শুরু না হওয়া পর্যন্ত এখন আর বলতে চাই না। কারণ বম্বের ফ্লোরে গিয়েও শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফিরে এসেছিলাম।
অনুলিখন: স্বরলিপি ভট্টাচার্য
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy