Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ শারীরিক হেনস্থা? সমর্থন করলেন মিনি!

নিশান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানিয়েছেন, ওই শো চলাকালীন তাঁকে নাকি শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল। তিনি ২০১২ সালের প্রতিযোগী ছিলেন। সম্প্রতি এই বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

২০০৪-২০০৭ পর্যন্ত ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সঞ্চালনা করেছিলেন মিনি।

২০০৪-২০০৭ পর্যন্ত ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সঞ্চালনা করেছিলেন মিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ১৩:১৭
Share: Save:

‘ইন্ডিয়ান আইডল’। এই জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো-এর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই পরিচিত দর্শক। বহু প্রতিভা উঠে এসেছে এই শো থেকে। কিন্তু আলোর পিছনে অন্ধকারের মতো এই শো-এরও কিছু খারাপ দিক রয়েছে। সম্প্রতি প্রাক্তন প্রতিযোগী নিশান্ত কৌশিকের বক্তব্যে প্রকাশ্যে এসেছে সে সব তথ্য। ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সঞ্চালিকা মিনি মাথুর নিশান্তের বক্তব্যকে সমর্থন করায় বিতর্ক আরও বেড়েছে।

নিশান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানিয়েছেন, ওই শো চলাকালীন তাঁকে নাকি শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল। তিনি ২০১২ সালের প্রতিযোগী ছিলেন। সম্প্রতি এই বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নিশান্তকে সোশ্যাল মিডিয়ার সমর্থন জানিয়ে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর এক সময়ের সঞ্চালিকা মিনি মাথুর লেখেন, ‘আমি ২০১২-তে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। কিন্তু আমি জানি, ও যেটা বলছে সেটা সত্যি। কারণ বেশিরভাগ রিয়ালিটি শোতে এটাই হয়। আমার রিয়ালিটি শো ছেড়ে দেওয়ার অনেক কারণের মধ্যে এটাও একটা।’ ২০০৪-২০০৭ পর্যন্ত ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সঞ্চালনা করেছিলেন মিনি।

২০১২-এ নিশান্ত তৃতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে যান তিনি। অডিশনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন নিশান্ত। তিনি লিখেছেন, ‘নিজের স্বপ্নকে ধ্বংস করার প্ল্যাটফর্ম ইন্ডিয়ান আইডল। আমি সাতটার সময় অডিশনের লাইনে দাঁড়াই। দরজা খোলে দুপুর একটায়। অনেকে ভোর পাঁচটা থেকে লাইন দিয়েছিল। কেউ বা আগের দিন রাত থেকে ছিল ওখানে। কারণ আমাদের বলা হয়েছিল আগে আসার ভিত্তিতে অডিশন দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু কেন দেরি হল, তা আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি কেউ।’

আরও পড়ুন, প্রিয়ঙ্কা-নিকের এনগেজমেন্ট কেক নাকি সোনার তৈরি?

নিশান্তের আরও অভিযোগ, দীর্ঘ সময় প্রতিযোগীরা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের জন্য খাবার, জল বা বাথরুমের ব্যবস্থা ছিল না। সকলেই ট্যালেন্টেড নন। ফলে যাঁরা গান গাইতে পারেন না, তাঁদেরও বিচারকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। যাতে সেই সব প্রতিযোগীদের নিয়ে বিচারকরা মজা করতে পারেন। এমনকি খারাপ গান গাইলে প্রতিযোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছেন নিশান্ত। অর্থাত্ পরোক্ষে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিচারকদের দিকেও। অনু মালিক, সুনিধি চৌহান এবং সালিম মার্চেন্ট ২০১২-এ বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন।

তবে এতদিন পর নিশান্ত এই অভিযোগ কেন প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। তার কোনও সদুত্তর তিনি দেননি। অন্যদিকে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর তরফে এখনও পর্যন্ত কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেননি।

(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের সমস্ত গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE