স্বাতীলেখা-অনূদিত নতুন নাটক নিয়ে আসছে নান্দীকার
‘টু বি অর নট টু বি…’। অতঃপর, প্রশ্ন সেটাই। একটি খুনের মামলা। ১২ জন জুরি সদস্য। প্রশ্ন হল, অভিযুক্ত খুন করেছেন, না করেননি? সে নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এক জুরি বাকি ১১ জনের থেকে ভিন্নমত পোষণ করেন। তার পর কী হল? সে নিয়ে টানটান মুহূর্ত রিহার্সাল রুমে। মহলা চলছে নান্দীকারের নতুন নাটক ‘এক থেকে বারো’-র। রেজিনাল্ড রোজ রচিত পঞ্চাশের দশকের চিত্রনাট্য ‘টুয়েলভ অ্যাংরি মেন’ অবলম্বনে এই নাটক। যা বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। আশির দশকের পরে নান্দীকারের প্রযোজনায় নাটকটি মঞ্চস্থও হয়েছিল বার কয়েক। তবে আর হয়নি।
সেই নাটক স্বাতীলেখার অবর্তমানে আলমারি থেকে টেনে বের করেছেন এই প্রজন্মের নান্দীকারের সদস্যরা। কে পরিচালনা করবেন, কে কোন চরিত্রে— সে সব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে। ইতিমধ্যে নতুন করে সে নাটকের অনুশীলন নিয়ে মেতে উঠেছেন কলাকুশলীরা। রিহার্সাল পরিচালনায় প্রয়াত স্বাতীলেখার জামাই, সপ্তর্ষি মৌলিক। নাটকের এক চরিত্রে নিজেও রয়েছেন।
আনন্দবাজার অনলাইন তাঁকে প্রশ্ন করেছিল, স্বাতীলেখা-পরবর্তী সময়ে দলের প্রেরণা কী? উত্তরে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন ‘মানুষ’-এর অভিনেতা। বললেন, ‘‘স্বাতীদি বাচ্চাদের মতো করতেন। নতুন নাটক লেখা হলেই তাঁর পার্ট আছে কি না, জানতে চাইতেন। না থাকলে মনখারাপ হয়ে যেত তাঁর। এটাই কিন্তু অভিনেতার স্পিরিট। যে কোনও ভাল অভিনেতার মধ্যেই এই চরিত্র পাওয়ার খিদেটা থাকে। এক বছর হয়ে গেল স্বাতীদি নেই, কিন্তু মনে হয় এখনও আছেন। আমাদের সবার মধ্যে, ওই তাড়নাটা কোথাও সঞ্চারিত হয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া সবার মধ্যে এত সুন্দর একটা বোঝাপড়া দেখে আসছি শুরু থেকে, সেটাও আমাদের ঐতিহ্য।’’
প্রতি বছর নান্দীকারে অজস্র নতুন মুখ। প্রতি বারের কর্মশালার পর কিছু মুখ থেকেও যায়। দলের সদস্য হয়ে ওঠার মাঝে সেতু বাঁধে ছোট ছোট নাটক। আপাতত নতুন সদস্যদের এক সূত্রে বাঁধতে চেষ্টা করছেন সপ্তর্ষি। সঙ্গে রয়েছে স্বাতীলেখা-অনূদিত নাটক। সপ্তর্ষি জানান, মূল নাটকে এমনকি সেই নাটক অবলম্বনে সিনেমায় কোথাও মহিলা চরিত্র ছিল না। বিচারকরা সবাই ছিলেন পুরুষ। তবে নান্দীকারের প্রযোজনায় মহিলা বিচারকও থাকবেন। নাটকটি কবে, কোথায় মঞ্চস্থ হবে, সে নিয়ে এখনও কিছু ঠিক হয়নি বলে জানান সপ্তর্ষি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy