এক ছটফটে তরুণী। সারাক্ষণ মজা করতে ভালবাসে। একটু একটু সব কিছুই জানে সে। নাচ, গান, আঁকা, পড়াশোনা, আবৃত্তি। ট্যাক্সি চালানোও জানে? তাও আবার পিঙ্ক ক্যাব নয়, হলদে বড় ট্যাক্সি! মানতে কষ্ট হলেও এটাই হচ্ছে ১২ এপ্রিল থেকে। রাত ১০টায় ট্যাক্সি নিয়ে সোম থেকে শুক্র রোজ পৌঁছে যাবে ঊর্মি। সঙ্গে থাকবে তার কড়া, রাগী প্রশিক্ষক সাত্যকি। পুরোটাই হবে ছোট পর্দায়, জি বাংলায়। হঠাৎ মহিলা ট্যাক্সিচালকের জীবন কেন ছোট পর্দায়? চ্যানেল কর্তৃক্ষের দাবি, এর আগে দর্শকেরা মহিলা টেনিস, ফুটবল খেলোয়াড়, গয়না প্রস্তুতকারী, ঢাকি, পোশাক ডিজাইনারকে মেনে নিলে ট্যাক্সি ড্রাইভার নয় কেন? ২১ শতকে এই পেশা যথেষ্ট পরিচিত।
ঊর্মিরও এই যুক্তি। তাই ধনি পরিবারের মেয়ে হয়ে, অনেক কিছু শিখেও জীবনটাকে উপভোগ করবে বলে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে বলে নিজের ইচ্ছেয় বেছে নিয়েছে ট্যাক্সি চালানো। এর আরও এটি কারণ সাত্যকি। এক দিন বাড়ি ফেরার সময় এক দল বখাটে ছেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ঊর্মির। সে দিন প্রায় ভগবানের মতো তাকে রক্ষা করেছিল সাত্যকি। ওই দিনই সাত্যকির ক্যাব চালানোর দক্ষতা দেখে মুগ্ধ ঊর্মি।
নাছোড়বান্দা ঊর্মি এর পরেই ধরে সাত্যকিকে। একটু একটু করে শিখেও নেয় গাড়ি চালানোর খুঁটিনাটি। এ দিকে মধ্যবিত্ত ঘরের সাত্যকিকে দারুণ পছন্দ ঊর্মির দাদুর। তাকে যখন হবু নাত জামাই হিসেবে ঠিক করেই ফেলেছেন তখনই অঘটন। কী সেটা? জানতে গেলে দেখতে হবে নতুন ধারাবাহিক ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন অন্বেষা হাজরা, ঋত্বিক। ছোট পর্দায় অন্বেষা চেনা মুখ। এর আগে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘চুনি পান্না’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকমনে এখনও টাটকা।