যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন এখনও কাঁদছে। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে গুমরে মরছে প্রজন্মের অভিশাপ।এখনও বারুদের আতঙ্কে কারগিলের প্রান্ত।
মুশকিলো মে হ্যায় জান
খো রাহা ইনসান
সেহমিসি হ্যায় শরজমিন
ঔর সহেমসা হ্যায় আসমান
গানের কথাতেই স্পস্ট যুদ্ধের ভয়াল রূপ।যার ভয়ে হারিয়ে যাচ্ছে জীবন। থমকে আছে আকাশ বাতাস।
এই ছবিকে একটা বাক্যেই ব্যাখ্যা করা যায়. যুদ্ধ কখনওই আমাদের কাছে কাম্য হতে পারে না। যারা যে কারণে যুদ্ধ করে তাদের স্মৃতিতে দুঃখের প্রতিফলন ছাড়া আর কিছুই থাকতে পারেনা।যুদ্ধের বিরুদ্ধে সমবেত প্রতিবাদ করাটাই আমাদের একমাত্র কাজ।যুদ্ধ আমাদের সামাজিক ক্ষত ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনা।
শুধু মুখের কথা নয় এই বোধই এবার এক সুরে বাঁধা পড়ল। ‘রোশনি হো সারহাদো মে’। একটা গান যার মুখবন্ধ বেঁচে থাকার অপর নাম শান্তি।
গানের মাধ্যমে এই শান্তির বার্তা দিয়েছেন গিমা পুরস্কার জয়ী পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়। গানটি শোনা যাবে পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়ের ইউটিউব চ্যানেলে।
গানটির ভাবনা কী ভাবে জানাতে গিয়ে পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায় বলেন,‘‘ আমাদের চারিদিকে ধ্ংস আর অবক্ষয় ছাড়া আর কিছুই নেই।যুদ্ধ আমাদের জীবনে খারাপ দিকটাই বহন করে আনে। দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দেয়।জীবন নিয়ে জুয়া খেলে।বহু প্রাণ শেষ করে দেয়।
কথাপ্রসঙ্গে পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায় রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কথাও বলেন,যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়া-ইউক্রেনের ছবি নেটমাধ্যমে, সংবাদমাধ্যমে দেথে তিনি মর্মাহত। ভারত –চীনের বর্তমান সম্পর্কও তাকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুর বাঁধতে উৎসাহ জুগিযেছে।
গানটি গেয়েছেন পদ্মশ্রী অনুপ জলোটা ও সুপ্রতীক দাস।এই গান তাঁকে অপরিসীম শান্তি দিয়েছে বলেন অনুপ জলোটা। ট্রামপেডে কিশোর সোডা অনুপ্রাণিত হয়েছেন গানের কথায়।পিয়ানো বাজিয়েছেন অভীক গঙ্গোপাধ্যায়। গানের কথা ও ভাবনা নীতু সাইনি ও সুদীপ্ত চন্দ।সঙ্গীতায়োজন পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy