অবশেষে মুক্তি ‘পদ্মাবতী’র। তবে শর্তসাপেক্ষে।
কেন্দ্রীয় সেন্সর বোর্ডের নির্দেশ— পাল্টে ফেলতে হবে ছবির নাম। ‘পদ্মাবতী’ হবে ‘পদ্মাবত’। বদলাতে হবে ছবির আরও চারটি অংশ। তবেই ‘ইউ/এ’ শংসাপত্র-সহ মুক্তি পাবে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর দেড়শো কোটি বাজেটের ছবি। সেন্সর প্রধান প্রসূন জোশী জানিয়েছেন, ছবির কোনও দৃশ্যই ছেঁটে ফেলতে বলা হয়নি।
গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘পদ্মাবতী’র। কিন্তু ফিল্মের প্রচার শুরু হতেই বিক্ষোভে নেমে পড়ে রাজপুত করণী সেনা। একটি নাচের দৃশ্যে রানি পদ্মাবতীর কোমর দেখতে পাওয়া, আলাউদ্দিন খিলজির স্বপ্নের দৃশ্যে তাঁর সঙ্গে রানিকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখানো— এমন নানা অভিযোগে তুলে বিক্ষোভ চরমে নিয়ে যায় করণী সেনা। ছবির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনের মাথা কাটার হুমকি আসে! বিক্ষোভ-বিতর্ক ছড়ায় দেশজুড়ে। এমনকী জয়পুরের নাহারগড় কেল্লায় মেলে ঝুলন্ত দেহ। পাশে লেখা পদ্মাবতী-বিরোধী স্লোগান। পিছিয়ে যায় ছবির মুক্তি। সংসদীয় প্যানেলে ডেকে পাঠানো হয় ভন্সালীকে। সেখানে তিনি জানান, মালিক মহম্মদ জয়সীর কবিতা ‘পদ্মাবত’ অবলম্বনে ছবিটি বানানো হয়েছে। ঠিক হয়, ছবি নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, সেন্সর বোর্ডই নেবে।
ইতিহাসবিদ এবং রাজপুত পরিবারের সদস্যদের ছবিটি দেখিয়ে সত্যাসত্য যাচাইয়ের দাবি তুলেছিল বিক্ষোভকারীরা। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশই মানেননি, ‘পদ্মিনী’ বলে কোনও রানি ছিলেন। শেষে একটি বিশেষ প্যানেল তৈরি করে সেন্সর বোর্ড। তাতে রাখা হয় মেবারের রাজপরিবারের সদস্য অরবিন্দ সিংহ, জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে কে সিংহ এবং চন্দ্রমণি সিংহকে।
গত ২৮ ডিসেম্বর সেন্সর বোর্ডের বৈঠক বসে। সেখানেই ঠিক হয়, বেশ কিছু অদলবদলের পরে মুক্তি দেওয়া হবে ছবিটিকে। যেমন, ‘ঘুমর’ গানের দৃশ্যে কিছু বদল করতে হবে। সেই সঙ্গে পর্দায় এই বার্তাও দিতে হবে যে, ছবিটি সতীদাহে উৎসাহ দিচ্ছে না।
বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পরিচালকের স্বাধীনতা এবং সমাজ, দুয়ের মধ্যেই ভারসাম্য রাখতে হবে।’’ করণী সেনার প্রধান লোকেন্দ্র সিংহ কালভি আজ অবশ্য মুখ খোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy