ছবির একটি দৃশ্যে পরমব্রত।
ভালবাসা। পরিচিত শব্দ। পরিচিত অনুভূতি। কিন্তু শব্দটা যদি হয় মন্দবাসা? রিলেট করতে পারছেন? চেনা লাগছে কি? এই ‘মন্দবাসার গল্প’ই বলবেন পরিচালক তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রে রয়েছেন এক নারী। আর তাঁকে ঘিরে তিন জন পুরুষ। যাঁর মধ্যে এক জন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আগামিকাল মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তার আগে ‘মন্দবাসার গল্প’ শোনালেন পরম।
আপনার কাছে মন্দবাসা শব্দটার মানে কী?
অভিধানে এই শব্দটা তো নেই। তাই নিজের নিজের প্রেক্ষিত খুঁজে নিতে হবে। তবে এই ছবিটার কনটেক্সটে বলতে পারি মন্দবাসা আমার কাছে অবসেশন।
অবসেশন? যদি একটু ভেঙে বলেন…
আসলে এখনকার দিনে কেউই কম-বেশি নর্মাল নন। কারণটা হয়তো কারও ক্ষেত্রে প্রেম, কারও ক্ষেত্রে শিল্পসৃষ্টি। আর তাই নিয়েই ‘মন্দবাসা’য় থাকেন। সেটাই ডিফাইন করতে হয়েছে।
ব্যক্তি পরমের মন্দবাসার অভিজ্ঞতা রয়েছে?
হুম, আছে তো। মন্দবাসার অভিজ্ঞতা আমাদের প্রত্যেকের আছে। যখন কোনও সম্পর্ক এমন একটা মাত্রায় গিয়েছে যে আর সামলাতে পারছি না, সেটাই তো ‘মন্দবাসা’।
সেটা থেকে বেরোন কী করে?
টু বি ভেরি অনেস্ট সম্পর্কটা ওই পর্যায়ে গেলে সেটা টারমিনেট করা ছাড়া উপায় থাকে না। আবার কখনও কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। সেটা সফলও হয়েছে। এক একটা মানুষ তো এক এক রকম।
আরও পড়ুন, কালিকাদা আর আমার মধ্যে রয়ে গেল ‘বিসর্জন’
‘মন্দবাসার গল্প’তে আপনার চরিত্রটা কেমন?
এই ছবির কেন্দ্রে রয়েছে অহনা সেন। যে চরিত্রটা পাওলি (দাম) করেছে। আমার চরিত্রের নাম সায়ন্তন। অহনার বন্ধু কাম ডাক্তার। সাইকিয়াট্রিস্ট। বলতে পারেন, এখানে বিশেষ রকম বিশেষ ভূমিকা আমার। অহনার জীবন রহস্যের যবনিকা পাত ঘটে সায়ন্তনের হাত ধরেই। শেষ ৩০-৪০ মিনিটে সেটা ঘটবে। সায়ন্তনই কোথাও যেন গেম চেঞ্জার হয়ে ওঠে।
সাইকিয়াট্রিস্টের চরিত্র। বাস্তবে কখনও তাঁদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছে?
অফকোর্স। অনেক বার গিয়েছি আমি। আমার তো মনে হয় প্রত্যেকের যাওয়া উচিত।
ছবির শুটিংয়ে পাওলি, পরম ও কৌশিক।
কেন?
আসলে এখন সম্পর্কগুলো যে ভাবে জটিল হয়ে গিয়েছে, আমাদের যে ভাবে মাল্টিটাস্কিং করতে হয়, তাতে তো মনের কথা বলার জন্য প্রত্যেকের সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যাওয়া উচিত। মনের কথা শেয়ার করতে হবে তো।
এই চরিত্রটা কোথায় আলাদা?
ছবিটার একটা ম্যাজিক আছে। শেষ ৩০ মিনিটে সেটা বোঝা যাবে। ডিফিকাল্ট, ঘটনাবহুল। আর ‘সায়ন্তন’-এর চরিত্রটা অদ্ভুত সুন্দর একটা জায়গায় যায়। সে কারণেই গল্পটা পড়েই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।
আলাদা কোনও প্রস্তুতি ছিল?
না, প্রিপারেশন সে অর্থে ছিল না। সাইকিয়াট্রিস্টরা অনেকের অভিজ্ঞতা শোনেন। অনেক কিছু ডিল করতে হয় তাঁদের। এমন অনেককে চিনি যাঁরা হয়তো বিব্রত হয়েছেন, ঘেঁটে গিয়েছেন। কিন্তু ভিতরে ভিতরে খুব শান্ত থাকতে পারেন সকলেই। সেটা কোথাও মাথায় ছিল আমার।
আরও পড়ুন, ‘বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ডাকলেও যে লেজ উঠিয়ে যেতে হবে, তার কোনও মানে নেই’
আর কী কী কাজ চলছে এখন?
‘যকের ধন’, ‘সমান্তরাল’, ‘মি আমোর’-এর কাজ শেষ। পর পর রিলিজ করবে ছবিগুলো।
পরিচালক পরমকে আবার কবে পাবেন দর্শক?
মনে তো হচ্ছে এ বছর শরত্কালেই আবার পরিচালনার কাজ শুরু করব।
বাহ্, কোন ছবি?
এই রে। এখন এর থেকে বেশি বলাটা মুশকিল। সময় হলেই ঠিক জানাব।
ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy