বর্ধমান উৎসবে সুপ্রিয়া দেবী। ফাইল চিত্র
মাসখানেক আগে হুইলচেয়ারে বসে শহরবাসীকে ‘ভাল থাকার’ শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার ভোরে তিনিই সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই মুখ ভার সে দিনের অনুষ্ঠানে থাকা অনেকের।
২৩ ডিসেম্বর বর্ধমান উৎসবের উদ্বোধনে এসেছিলেন সুপ্রিয়া। সে দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়েই রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার বিধায়ক স্বপন দেবনাথ শনিবার বলেন, ‘‘১৯৮৭ সালে সুপ্রিয়াদেবী যাত্রার জগতে পা দেন। সে বছরই ‘কাঁটার বাসররাত’ করার জন্য আমার গ্রাম বিদ্যানগরে নিয়ে এসেছিলাম ওঁকে। ধুলো ভরা রাস্তা দিয়ে এসে স্কুলের ঘরে দিনভর ছিলেন। কোনও তারকাসুলভ আচরণ করেননি। বর্ধমানের অনুষ্ঠানে সে কথা বলতেই গড়গড় করে সব বলে গেলেন। ৮৫ বছর বয়সেও স্মৃতি কী তাজা ছিল!’’
বর্ধমানের পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত বলেন, ‘‘সে দিন দু’চার কথা হয়েছিল ওঁর সঙ্গে। ওঁর সিনেমার সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘দাদা আমি বাঁচতে চাই’ প্রসঙ্গ উঠতেই আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছিলেন।’’ ওই দিন অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন বর্ধমানের পুর পারিষদ খোকন দাস। তাঁর কথায়, ‘‘উনি খুব অসুস্থ ছিলেন। তবু আমাদের কথা ফেলতে পারেননি। ওঁর চলে যাওয়ার খবরে আমরা ব্যথিত।’’ আইনজীবী উদয় কোনার বলেন, ‘‘ওঁকে দেখতেই সে দিন উৎসবের মাঠে গিয়েছিলাম।’’
শুধু উদয়বাবু নন, সুপ্রিয়াদেবীকে দেখার জন্য সে দিন শহরের অনেকেই উৎসবের মাঠে ভিড় করেছিলেন। সেই ভিড় দেখে সুপ্রিয়া দেবী বলেছিলেন, ‘‘বর্ধমান শহর আমার চেনা। যাত্রা-নাটক করতে আমি অনেক বার এই শহরে এসেছি। এই শহর শিল্পীদের কদর করে, আমাকেও ভালবেসেছিল। আপনারা ভাল থাকবেন।’’
সে দিন অনুষ্ঠানে দর্শকসানে ছিলেন মালতী হাজরা, সঙ্গীতা পোদ্দারেরা। তাঁরা বলেন, “মাসখানেক আগে যাঁকে কথা বলতে দেখলাম, যিনি আমাদের ভাল থাকার উপদেশ দিলেন, তিনিই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন! খুব খারাপ লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy