রূপঙ্কর। ছবি: রূপঙ্করের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
ধরুন, আপনি কোনও গান শুনছেন। যে কোনও ভাষার হতে পারে। গান শুরুর আগে কখনও ভায়োলিন, কখনও পিয়ানো, কখনও সেতার, কখনও বাঁশি— কত রকম বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ শোনা যায়, তাই না? শুনেছেন নিশ্চয়ই? কিন্তু সেই বাজনা যদি গলার আওয়াজে শোনানো হয়, কোনও যন্ত্র ছাড়াই? কেমন হবে বলুন তো?
ঠিক এই কঠিন কাজটাই খুব সহজে করে ফেলেছেন রূপঙ্কর। তাঁর নতুন ব্যান্ড ‘ইউনিসন’ তৈরি করছে হিউম্যান সিম্ফনি। রূপঙ্কর এই ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট। তিনি কোরাসেও গান গাইছেন। সঙ্গে রয়েছেন চৈতালি, শঙ্কর, সুজয়, রৌনক, অয়ন, আর্য এবং শর্মি।
রূপঙ্করের কথায়: ‘‘এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট বিদেশে হয়েছে। কিন্তু ভারতে এমন কাজ আগে হয়নি। আমার চিরকালই গানের থেকেও পিয়ানোর কাউন্টার কী বাজছে, ভায়োলিন কী বাজছে সেটা শোনার ঝোঁক বেশি ছিল। এই কাজের স্বপ্নটা অনেকদিনের। কিন্তু সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আমাদের একটা থিয়েটারের দল রয়েছে ‘কৃষ্টিপটুয়া’। সেখানে ২০১৩ থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ, ছ’টা প্রোডাকশনে এমন কাজ করার চেষ্টা করেছি। ভাল সাড়া পেয়েছি। তার পরই নিজেদর জন্য গান তৈরির সাহস পেলাম। এখানে আমরা ভোকাল হারমনি, ভোকাল সিম্ফনি করেছি।’’
আরও পড়ুন, বিয়ের পর কতটা বদলেছে ঋদ্ধিমার জীবন?
‘ইউনিসন’-এর সদস্যেরা মোট ছ’টি গান গাইছেন। প্রযোজনা করছে এসভিএফ। গানগুলি লিখেছেন রূপঙ্কর, গৌরব এবং সুজয়। সুরের দায়িত্ব রূপঙ্করের। তিনি বললেন, ‘‘এমন একটা পরীক্ষামূলক কাজ অনেকের কাছে পৌঁছতে গেলে ভাল প্ল্যাটফর্মের দরকার ছিল। সে জন্যই এসভিএফের কাছে গিয়েছিলাম আমরা।’’ এক একটা গানের ভিডিও রিলিজ করার ভাবনা রয়েছে টিমের। পরে সবক’টি গান একসঙ্গেও প্রকাশ করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy