‘শ্যুট ফ্রম হোম’ বা বাড়ি থেকে কাজ করে ধারাবাহিক চালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিভক্ত আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশন। অন্য দিকে ফুরিয়ে আসছে ধারাবাহিকগুলির আগাম শ্যুট করে রাখা পর্বের ভাণ্ডার।
স্টার জলসায় সম্প্রচারিত ‘শ্রীময়ী’-র শ্যুট করা পর্বের সম্প্রচার শেষ হয়ে যাচ্ছে ২ জুন। একই সঙ্গে ‘মোহর’, দেশের মাটি’ এবং ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের আগাম শ্যুট করা পর্বগুলি দেখা যাবে যথাক্রমে ১, ২ এবং ৪ জুন পর্যন্ত। তার পরে কী ভাবে ধারাবাহিক চলবে, তার সিদ্ধান্তে এখনও পৌঁছতে পারেনি সংগঠনগুলি। ১৬ মে স্টুডিয়ো-পাড়ার ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায় সরকারি নির্দেশে। তার আগে অবধি বেশ কিছু ধারাবাহিকের আগাম দৃশ্য শ্যুট করা ছিল। করোনার জন্য সরকারি বিধি নিষেধ চলতে থাকায় ধারাবাহিকের ভাঁড়ার এখন শূন্য। ঠিক করা হয় বাড়ি থেকে ধারাবাহিকের কাজ চলবে। কিন্তু এই বাড়ি থেকে শ্যুট করা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় ফেডারেশন এবং আর্টিস্ট ফোরামের মধ্যে।
এ রকম অবস্থায় বাড়ি থেকে শ্যুট করা পর্বগুলি সম্প্রচারিত হবে জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় নেটমাধ্যমে। টেলিপাড়ার কয়েকজনের দাবি, ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স (ডব্লিউএটিপি)-এর তরফে এটি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে সেই ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরাও তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবেন। ফেডারেশনের বক্তব্য ছিল, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে শুধু অভিনেতা এবং প্রযোজকের ঘরেই টাকা আসবে। কলাকুশলীরা কিছুই পাবেন না। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলা হয় কাজ চললে, ধারাবাহিক সম্প্রচার হলে সেই ইউনিটের সব সদস্যই ১০ ঘণ্টা কাজের ভিত্তিতে টাকা পাবেন। তার সঙ্গে উল্লেখ করা হয় কোনও কারণে ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ বাধাপ্রাপ্ত হলে বা বাড়ি থেকে শ্যুট করা পর্ব সম্প্রচারিত না হলে ন্যায্য পারিশ্রমিক কাউকেই দেওয়া যাবে না।