‘কবীর’-এর লুকে দেব এবং রুক্মিণী। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
রাত পোহালেই মুক্তি পাবে দেব-রুক্মিণীর ‘কবীর’। পরিচালকের সিটে অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। আপনি হয়তো আগাম টিকিট কেটেছেন। তার আগে পরিচালকের বয়ানে জেনে নিন এই ছবির অজানা তথ্য।
গুলি ভরা বন্দুক নিয়ে শুটিং
নর্থ বেঙ্গলে শুট করতে গিয়েছিলাম আমরা। আমাদের সঙ্গে ওখানকার সিআরপির লোকেরা ছিলেন। যখন শুট শুরু হয়ে গিয়েছে তখন ওদের লোকেরা এসে বলল, গান গুলো আনলোড করো। অর্থাত্ আমরা প্রায় পাঁচ-সাত মিনিট শুট করেছি উইথ লোডেড এ কে ৪৭! একবার হাত পড়ে গেলেই কেলেঙ্কারি কাণ্ড হত!
এত খাবার কী হবে?
মুম্বইতে শুট করে ফিরছি। দেবের বাবা বিশাল প্যাকেটে প্রচুর চিকেন আর পরোটা নিয়ে এলেন। আমাদের কাছেও প্রচুর খাবার ছিল। সবাই বলেছিল, এত খাবার কী হবে? এর পর ট্রেন প্রচুর লেট করেছিল। তখন ওই খাবারটাই ৫৭ ঘণ্টা ধরে সকলে খেতে খেতে এসেছিলাম।
আরও পড়ুন, মুম্বই বিস্ফোরণের সঙ্গে ‘কবীর’-এর কী সম্পর্ক? দেখুন ভিডিও
বাইনোকুলার কেড়ে নিয়ে শট
মুম্বইতে শুট করছি। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে ঘুরছি। আমাদের একটা বাইনোকুলার দরকার ছিল। আমার ক্যারেক্টার কবীরের তখন সেটা লাগবে। ওর প্রপসে বাইনোকুলারটা ইনস্ট্যান্ট ভাবা হচ্ছে। আগে ভাবনায় ছিল না। আর সেটা তখন আমাদের কাছে নেই। হঠাত্ করে একজনের হাতে বাইনোকুলার দেখে লাফিয়ে উঠলাম আমরা। তার কাছ থেকে একরকম কেড়ে নিয়েই শট নিয়েছি। তার পর শট নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আমরা চলে আসছি। তখন সে চিত্কার করছে, আরে দাদা আমি তো বাইনোকুলার দিয়ে দেখার বিনিময়ে ১০ টাকা করে নিই!
‘কবীর’-এর প্রচারে দেব-রুক্মিণী এবং অনিকেত। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
প্রোডিউসার দেব অনেক এগিয়ে
প্রোডিউসার দেব অ্যাক্টর দেবের থেকে অনেক এগিয়ে। দেবের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। তার আগে ধারণা হচ্ছে সুপারস্টার। কী ভাবে কাজ করে, কতক্ষণ কাজ করে জানি না। কাজ করতে পারব কিনা, মিস করে যাব কিনা। মিস করলে কী হবে। রিয়েল টাইম শুট করছি। শেষ করতে না পারলে কোন মুখে বলব আবার ট্রেন ভাড়া কর? ফলে অ্যাজ আ প্রোডিউসার দেব অসাধারণ।
আরও পড়ুন, ‘দেব বলেছিল, নাও ইউ হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইওরসেল্ফ’
চন্দ্রকোনাতে জাভেরি বাজারের সেট
পাঁচ বছর আগের স্ক্রিপ্ট এটা। অনেককে বলেছি, তাঁরা করেননি। অনেকের ভাল লাগেনি। যাঁদের ভাল লেগেছিল তাঁরা আমাকে রিয়েল লোকেশন, রিয়েল টাইম দিতে চাননি। এখানে কিছু জিনিস দেখাতেই হবে। ফলে বাজেট বেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দেব ওগুলো নিয়ে কোনও কথাই বলেনি। চন্দ্রকোনাতে গিয়ে জাভেরি বাজার সেট ফেলা হয়েছে। ব্লাস্ট করানো হয়েছে। এই খরচা অন্য কেউ করতে রাজি হয়নি।
এটাই কি সেই বাইনোকুলার? ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
দেবের সঙ্গে পর পর কাজ করছেন, বাকিরা হিংসে করছে?
দেখুন, ইন্ডাস্ট্রিতে প্রত্যেকেই কাজ করছেন। কে হিংসে করছে আমি জানি না। আমি কৌস্তভের ওখানে কাজ করতাম। যতদিন ও প্রোডিউস করতে পেরেছে ততদিন আমি ওখান থেকে বেরোইনি। আমি খুব কুঁড়ে মানুষ। যখন এক জায়গায় হচ্ছে, আমি ছেড়ে অন্য জায়গায় যাব কেন? কে সি দাসের হেড কুক অন্য জায়গার রসগোল্লা খায় বলে তো জানা নেই। (হাসি)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy