৩৬৪ দিনই তো পুরুষ ‘দি’ বস! মাত্র একটি দিন নারীদের জন্য। কেবল ওই দিনটাই নারী ‘দি’ বস।
আমি অবশ্য এই দিনটির কথা আনন্দবাজার অনলাইনের থেকেই প্রথম জানলাম। আমার পুরুষ বিদ্বেষ নেই। নারীবাদীও নই। তাই নারী-পুরুষ ভেদাভেদে একেবারেই বিশ্বাসী নই। বরং লিঙ্গভেদের ঊর্ধ্বে যে দিন সমাজ উঠতে পারবে, সে দিন সকলের একটাই পরিচিতি হবে। আমরা মানুষ। আমি সে দিন খুব খুশি হব। সে দিন থেকে আর এমন বিশেষ দিবস পালনের প্রয়োজনও পড়বে না
আমরা এখনও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বাসিন্দা। এই ধরনের সমাজের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠার কুফল কী জানেন? পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এক জন নারী আর এক জন নারীকে বিচার করে থাকেন। কটাক্ষ করেন পোশাক নিয়ে, আচার ব্যবহার নিয়ে, বয়স নিয়ে। তাঁরা বুঝতেও পারেন না যে, আসলে তাঁরাও প্রকারান্তরে পুরুষতন্ত্রের শিকার। পুরুষদের মতো করে নিজেরই সমলিঙ্গকে দেখছেন। এবং অবচেতনে সমর্থন করছেন পুরুষতন্ত্রের চিন্তাভাবনাকে।
এ ক্ষেত্রে আমার সঙ্গে কুকুর নিয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার উদাহরণ দিই। আমার যদি তারকা বা নামজাদা স্বামী থাকতেন, তা হলে কিন্তু অন্য রকম ব্যবহার পেতাম। এক জন বিবাহ-বিচ্ছিন্ন মহিলা জিতে যাবেন সব বিষয়ে? স্বাধীন ভাবে চলবেন, কথা বলবেন? গণমাধ্যম কেন তাঁকে সমর্থন জানাবে? কেউ মানতে পারেন না। ফলে, আবাসনের পড়শি মহিলা নির্দ্বিধায় আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন। কেউ তার প্রতিবাদ করেন না।