Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হমারি অধুরি কহানি

ভালবাসা ভেঙে গেলে প্রথম দিকে কিছুটা মান-অভিমান থাকে ঠিক-ই। তখন মুখ ফিরিয়ে থাকাটাই যেন নিয়ম। তার পরে যত দিন যায়, ব্যাপারটা আর ততটাও নাড়া দেয় না। না কি দেয়? সেই জন্যেই কি সুযোগ পেলেই বলিউডের ভালবাসা ভেঙে যাওয়া জুটিরা ‘এক্স’-এর সম্পর্কে নানা কথা বলছেন? তাঁদের কথায় কান পাতলেন অনির্বাণ চৌধুরীভালবাসা ভেঙে গেলে প্রথম দিকে কিছুটা মান-অভিমান থাকে ঠিক-ই। তখন মুখ ফিরিয়ে থাকাটাই যেন নিয়ম। তার পরে যত দিন যায়, ব্যাপারটা আর ততটাও নাড়া দেয় না। না কি দেয়? সেই জন্যেই কি সুযোগ পেলেই বলিউডের ভালবাসা ভেঙে যাওয়া জুটিরা ‘এক্স’-এর সম্পর্কে নানা কথা বলছেন? তাঁদের কথায় কান পাতলেন অনির্বাণ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৫ ২০:২১
Share: Save:

মাশাল্লাহ্

“আমি তো সুযোগ দিয়েছিলাম ক্যাটরিনা খান হওয়ার! তা, তুমি ক্যাটরিনা কপূর হওয়াটাই পছন্দ করলে! কী আর করা!”

বোনের বিয়েতে এক ঘর লোকের সামনেই সলমন খান কথাটা বলে দিয়েছিলেন ক্যাটরিনা কইফকে।

ভুলতে না পারা প্রেমের হতাশা? না কি এতটা সরাসরি ‘এক্স’-এর সম্পর্কে কথা বলাটাই এখন বলিউডের নতুন রীতি?

হয়ত দুটোই! ভালবাসা ভেঙে গেলে প্রথম দিকে কিছুটা মান-অভিমান থাকে ঠিক-ই। তখন মুখ ফিরিয়ে থাকাটাই যেন নিয়ম। তার পরে যত দিন যায়, ব্যাপারটা আর ততটাও নাড়া দেয় না।

না কি দেয়?

সেই জন্যেই কি সুযোগ পেলেই বলিউডের ভালবাসা ভেঙে যাওয়া জুটিরা ‘এক্স’-এর সম্পর্কে নানা কথা বলছেন?

হাতে-নাতে প্রমাণ, ইদানীং মাঝে-সাঝে সুযোগ পেলেই ক্যাটরিনার কথা তোলেন সলমন। এই তো কিছু দিন আগেও শ্যুটিংয়ে গিয়ে টুইট করলেন, কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখে তাঁর ক্যাটরিনাকে মনে পড়ছে। ক্যাটরিনাও যে কাশ্মীরেরই মেয়ে! আবার, দিন কয়েক আগে দুবাইয়ের এক সাংবাদিক বৈঠকে এক্কেবারে খোলাখুলি জানালেন, এত দিন পর্যন্ত যে সব নায়িকাদের সঙ্গে অভিনয় করে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ক্যাটরিনার সঙ্গে জুটিটাই সবার সেরা!

সলাম-এ-ইশ্ক

তবে, ‘এক্স’-কে নিয়ে এমন খোলাখুলি কথা কিন্তু বলছেন বলিউডের এই প্রজন্মের তারারা-ই! এ ব্যাপারে এখনও যথেষ্ট দ্বিধা রয়ে গিয়েছে পুরনো জমানার।

এই যেমন রেখা! কম চেষ্টা কি হয়েছে তাঁর মুখ থেকে অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে কথা বের করার? কিন্তু, সব সময়েই এক গাল হেসে সব প্রশ্ন এড়িয়ে যেতেন মহিলা। এক বার শুধু থাকতে না পেরে সিমি গারেবালকে বলেছিলেন, “আরে, শুধু আমি কেন, ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ে-বাচ্চা অমিতাভ বচ্চনকে পাগলের মতো ভালবাসে”!

আর বলিউডের নতুন প্রজন্ম?

সুভান-আল্লাহ

দীপিকা পাড়ুকোন আর রণবীর কপূর কিন্তু এখন সম্পর্কের তিক্ততাটা বেমালুম ঝেড়ে ফেলেছেন। প্রথম দিকে অবশ্য দীপিকা নানান বেফাঁস মন্তব্য করেছেন ‘এক্স’-কে নিয়ে। কর্ণ জোহরের কফির আসরে যেনমন বলেছিলেন, রণবীরকে তিনি এক বাক্স কন্ডোম দিতে চান! ইদানীং আর সে সবের ধার-কাছ দিয়েও যান না মেয়ে। হালফিলের এক সাক্ষাৎকারে রণবীরকে নিয়ে যথেষ্ট মন-কেমনের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। ‘বম্বে ভেলভেট’ ছবির নিন্দা না করে সাফ বলেছেন দীপিকা, “ওর খারাপ লাগাটা আমি বুঝি। এই সময়ের মধ্যে দিয়ে তো আমিও গিয়েছি।” এও জানাতে ভোলেননি, “এমন কিছু করব না যা রণবীরকে ব্যথা দেয়”!

আর রণবীর? তিনি কি বলছেন তাঁর ‘এক্স’-কে নিয়ে?

দেখা যাচ্ছে, নায়ক একটু কম খবর রাখেন তাঁর ‘এক্স’-এর! যেমন তিনি জানতেনই না যে মাঝখানে খুব বাজে একটা হতাশায় ভুগেছেন দীপিকা। সাংবাদিকের মুখ থেকে খবরটা পেয়ে চমকে উঠেছিলেন তিনি। তার পরে ‘এক্স’—এর বেশ প্রশংসাও করেছেন রণবীর। বলেছেন, রোল-মডেল হওয়ার একটা দায়িত্ব তো থাকেই। দীপিকা এই যে সরাসরি কথা বলেছে ব্যাপারটা নিয়ে, তা খুবই প্রশংসাযোগ্য। এই যে তিনি না লুকিয়ে রেখে জানিয়েছেন তাঁর অসুখের কথা, তাতে হতাশায় ভুগতে থাকা অনেক মানুষ অনুপ্রেরণা পাবে। তারা ব্যাপারটাকে কাটিয়ে ওঠার উৎসাহ পাবে।

দিল ধড়কনে দো

এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই অনুষ্কা শর্মা আর রণবীর সিংহও। দু’জনের কেউ-ই কোনও দিন ভালবাসার ব্যাপারটা স্বীকার করেননি। তাই ‘এক্স’-এর হিসেবটা তাঁদের ক্ষেত্রে খাটে না। কিন্তু তাঁদের কথায় কোথাও একটা মায়া জড়িয়ে আছে। দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন অনুষ্কা, “রণবীরের জন্য আমি সব সময় একটা প্রোটেকটিভ ফর্মে থাকি। একশো বার আমাদের মধ্যে একটা খুব অন্য রকম রসায়ন আছে।” এইটুকু বলেই অবশ্য নিজেকে শুধরে নিয়েছেন মেয়ে। ঘুরিয়ে দিয়েছেন কথা। কিন্তু তাতে ভালবাসা চাপা থাকেনি।

আর রণবীর? অনুষ্কাকে দেখে ভাল-ই শিক্ষা নিয়েছেন তিনি। কুলুপ এঁটেছেন মুখে।

জব উই টক

পটৌডি পরিবারের নয়া বেগম কিছু দিন আগেও ‘এক্স’- শহিদ কপূরকে নিয়ে কিছু জানতে চাইলে ‘মন্তব্য করি না’ গোছের একটা ফর্মে থাকতেন। এখন ধীরে ধীরে সে দশা কেটেছে। শহিদের বিয়ের খবর পেয়ে একটুও দ্বিধা না করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন বেগম করিনা। সহবত তো একেই বলে!

রাজ

শুধু এই সহবতের ধার-কাছ দিয়েও যাচ্ছেন না বিপাশা বসু। এবং এ ব্যাপারে বিপাশার মতোই ব্যবহার করছেন জন আব্রাহামও। ব্রেক-আপের পর থেকে বিপাশাকে নিয়ে তাঁর মুখে কোনও ভাল কথা শোনা যায়নি।

আর বিপাশা? একবার তাঁকে শুধানো হয়েছিল বটে জনের কথা। চোখ কপালে তুলে মেয়ে বলেছিলেন। “কে জন? এই নামে কাউকে আমি চিনি না!”

ভালবাসার সাইড এফেক্ট যাঁর ক্ষেত্রে যেমন হয় আর কী!

নীচের গ্যালারিতে দেখুন তারাদের মিলন-বিরহের কিছু মুহূর্ত

হমারি অধুরি কহানি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE