Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
rhea chakraborty

সিদ্ধার্থ পিঠানি আর রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্কে নতুন মোড়, ফোন কল থেকে উঠে এল তথ্য

সুশান্তের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমকে সুশান্ত নিয়ে নানা কথা বললেও রিয়ার সঙ্গে ফোন কলের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান সিদ্ধার্থ।

রিয়া আর সিদ্ধার্থের কি আলাদা কোনও সম্পর্ক ছিল, যা সুশান্ত জানতেন না? ফাইল ছবি।

রিয়া আর সিদ্ধার্থের কি আলাদা কোনও সম্পর্ক ছিল, যা সুশান্ত জানতেন না? ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ১২:৪৪
Share: Save:

ইডি দফতরে হাজিরার আর্জি খারিজের পর শুক্রবার সকালেই নিজের বয়ান রেকর্ডের জন্য চলে আসেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। ৯ ঘন্টা জেরার পরেও জানা যায়, তিনি ইডি-কে তদন্তে সহযোগিতা করেননি। আজ সুশান্ত এবং রিয়ার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি’র সদর দফতরে হাজিরার জন্য তলব করা হল।

সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। রিয়ার গত এক বছরের কল রেকর্ড থেকে দেখা যায়, গোটা বছরে ১০০ বার রিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে সিদ্ধার্থর । কিন্তু কেন? এত বার কেন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে রিয়ার? রিয়া আর সিদ্ধার্থের কি আলাদা কোনও সম্পর্ক ছিল, যা সুশান্ত জানতেন না?

সুশান্তের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমকে সুশান্ত নিয়ে নানা কথা বললেও রিয়ার সঙ্গে ফোন কলের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান সিদ্ধার্থ। আর সেখানেই সুশান্ত-মৃত্যুর তদন্তে উত্তাপ বাড়তে থাকে।

আরও পড়ুন: দু’টি ফ্ল্যাট, ইউরোপ ভ্রমণ, দামি গাড়ি, রিয়ার জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন ইডি-র​

২৮ জুলাই বান্দ্রা পুলিশকে পাঠানো একটি ই-মেলে সিদ্ধার্থের বন্ধু তথা ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি দাবি করেছিলেন, রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দেওয়ার জন্য তাঁকে জোর করছে সুশান্তের পরিবার। সেই তিনিই আবার বলেন, বড্ড একা হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অন্য দিকে সুশান্তের কাছের মানুষ হিসেবে সুশান্তের ডায়েরির পাতা উধাও প্রসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাইলে সিদ্ধার্থ বলেন, “নায়কের মাঝেমধ্যেই নিজের ডায়রি ছেঁড়ার অভ্যেস ছিল।” সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে সিদ্ধার্থ দাবি করেন, “জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমাকে ফোন করে সুশান্ত। বার বার আমাকে বলছিল ওর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্যে। দু’জনে মিলে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করছিল সুশান্ত। ও বলেছিল, আর অভিনয় করতে ভাল লাগছে না। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি অথবা কনটেন্ট সংক্রান্ত কোনও কাজ শুরু করার কথা ভাবছিল। আমাকে বলেছিল, ওর মতে এই কাজে ওর যোগ্য সহযোগী আমিই হতে পারি। আমাকে চাকরি ছেড়ে চলে আসতে বলে। এমনকি, চাকরিতে যে বেতন পেতাম তাই দেবে বলেছিল ও।"

সিদ্ধার্থ জানান, সুশান্তের ফোন পেয়েই চাকরি ছেড়ে, নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে সোজা চলে আসেন বন্ধুর কাছে। কিন্তু অভিনেতার বাড়ি পৌঁছে দেখেন, সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছেন সুশান্ত। কাঁদতে কাঁদতে সিদ্ধার্থকে তিনি নাকি এও বলেন, তাঁর জীবনে কেউ নেই। তিনি জানান, “সুশান্ত বলে, ওর আপন বলতে কেউ নেই। সব কিছু ছেড়ে পাভনা চলে যাওয়ার কথা ও আমাকে বলেছিল। সেখানে সুশান্তের একটি ফার্ম হাউস আছে। মাঝেমধ্যেই মানসিক চাপ কাটাতে সেখানে পাড়ি দিত। সুশান্ত বলেছিল, ভবিষ্যত্‍ জীবনে চাষ করতে চায় এবং মধ্যবিত্তের মতোই জীবন কাটাতে চায়।"

আরও পড়ুন: মুম্বই পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ? রিয়ার কল রেকর্ড থেকে নয়া তথ্য

সুশান্ত নিয়ে এত কথা বললেও রিয়ার সঙ্গে তাঁর ঘন ঘন ফোনে কথা হচ্ছে, এ বিষয় কোথাও কোনও উল্লেখ করেননি সিদ্ধার্থ। রিয়ার ফোন কল ঘেঁটে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে। তাঁর এই রিয়ার ফোন কল এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর কর্তাদের । সে কারণেই এ বার ডেকে পাঠানো হল সিদ্ধার্থকে। যদিও সিবিআই-এর দায়ের করা মামলায় ছ’জনের মধ্যে নাম নেই সিদ্ধার্থের ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE