ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
এটাই আমাদের প্রথম কাজ। প্রথমে উনি একজন মিনিস্টার বা পলিটিশিয়ান এত কিছু মাথায় ছিল। সেটা নিয়ে একটু ভাবতাম। কী হবে বাবা! যদি স্ট্রিক্ট হয়। ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সিন রয়েছে তো (হাসি)। কিন্তু যখন দেখা হল, মনে হল ওই ব্যাগেজটা একেবারেই নেই। ছবিতে যা যা হয়েছে আমাদের, তাতে সব রকম কাজের এক্সপিরিয়েন্সই হয়ে গেল। গত ইলেকশনের সময় শুটিং করেছি আমরা। যদিও খুব মাথা ঠান্ডা করেই কাজ করেছেন ব্রাত্যদা। তবে বুঝতে পারছিলাম কোথাও একটা পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর মতো ব্যাপারও কাজ করছে।
মজা করে কাজ হয়েছে তা হলে?
না। মানে ঠিক মজা বলব না। কোনও মজার সিন নেই। বরং সবটাই খুব এক্সহস্টিং ছিল। ইমোশনালি এক্সহস্টিং।
ব্যক্তি স্বস্তিকার জীবনে কোনও অসমাপ্তি রয়েছে? বা কোনও অসমাপ্ত সম্পর্ক?
সবার জীবনেই তো এমন নানা ঘটনা রয়েছে। দেখুন, সম্পর্ক আগেও হয়েছে। হয়তো থাকেনি। দানা বাঁধেনি। ফুল সার্কেল ক’টা ঘটনাতেই বা হয় আমাদের জীবনে? ফলে অসমাপ্তি থাকেই। খারাপ লাগাটাও থাকে। আমরা ওই খারাপ লাগাগুলোর সঙ্গে বাঁচতে শিখে যাই।
আরও পড়ুন, ‘পোশাক কোনও কোনও ক্ষেত্রে উত্তেজনা তৈরি করে, এটা মেয়েরাও জানে’
সুমনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায় কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও সুবিধে হয়েছে কি?
আসলে কাজের জায়গায় ব্যক্তিগত সম্পর্কটা ম্যাটার করে না। তবে সুবিধে একটাই হয়েছিল যে, স্ক্রিপ্টটা আগে আমি বহু বার পড়েছি। ১০ শতাংশ স্ক্রিপ্ট পড়েই বলেছিলাম ‘টুকি’টা আমার। আমি করব (হাসি)।
পরিচালক আপনার কথাতেই রাজি হয়ে গেলেন?
আমি তো বলেছিলাম, তুমি যদি বেটার কাউকে পাও তো নিতে পার। কিন্তু আমার মনে হয় না আর বেটার কাউকে পেত। দেখুন, এখনও পর্যন্ত যে সব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি, যে সব চরিত্র করেছি, কেউ তো বলেনি কখনও যে খারাপ হয়েছে।
‘টুকি’র সঙ্গে স্বস্তিকার কোনও মিল রয়েছে?
আমরা মানে অভিনেতারা যে চরিত্রেই অভিনয় করি, তার সঙ্গে কোথাও না কোথাও মিল খুঁজে পাই বলে আমার মনে হয়। হয়তো আপাদমস্তক নয়। ফলে টুকির সঙ্গে আমার মিল কিনা জানি না, তবে একা বসে কখনও ভাবলে টুকির জন্য আমার যন্ত্রণা হয়। আমার সব সময়ই মনে হয়, শেষ পর্যন্ত কী হল টুকির? ওদের কি ভুল বোঝাবুঝি মিটল? ওরা কি আবার ভালবাসতে পারল? মানুষ হিসেবে তো আমাদের মধ্যে অনেক সত্ত্বা রয়েছে। মনে হয় ওকে যদি কেউ সাপোর্ট করত, ওর যদি কোনও বন্ধু থাকত…।
শুটিংয়ের অবসরে বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বস্তিকা।